নবীনগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ২ জন নিহত ও ৪ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় রিফাত বাহিনীর প্রধান রিফাত আহমেদসহ আরও একজনকে গ্রেফতার আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব র্যাব জানায়, বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণিশাহ মাজার এলাকায় থোল্লাকান্দি গ্রামের রিফাত বাহিনী ও নুরজাহানপুর গ্রামের শিপন বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত (১ নভেম্বর) রাতে শিপন গণিশাহ মাজার সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার সময় রিফাত বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায়। এতে শিপন, ইয়াসিন ও নুর আলম গুলিবিদ্ধ হন।
পরে শিপন বাহিনীও পাল্টা আক্রমণ চালালে এমরান মাষ্টার নামে একজন গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর শিপন সেদিন রাতেই মারা যান এবং পরদিন ইয়াসিনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর রিফাত ও তার সহযোগীরা পলাতক ছিলেন। র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারিতে (৭ নভেম্বর) বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮টি পাইপগানের মূল বডিসহ ৪৫টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে (১০ নভেম্বর) ভোরে বাঞ্ছারামপুরের উজানচর খোসকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে রিফাত আহমেদকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার সহযোগী লিমন মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন থোল্লাকান্দি গ্রামের রিফাত আহমেদ (২৫) ও লিমন মিয়া (১৯)।
র্যাব-৯ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গ্রেপ্তার আসামি ও উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গুলিসহ আলামত নবীনগর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। সংঘর্ষে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
ডিএস./



















