০৪:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৭০০ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ: ৫ যাত্রীকে সতর্ক করে ছেড়ে দিল কাস্টমস

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে ৭০০ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করেছে বিমানবন্দর কাস্টমস। বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেদ্দা থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএজি–১৩৬ থেকে আগত পাঁচজন যাত্রীর কাছ থেকে এসব স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্মকর্তারা যাত্রীদের তল্লাশি চালান। এতে মোট ১২০০ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। তবে ব্যাগেজ বিধিমালা অনুযায়ী প্রতিজন যাত্রীকে ১০০ গ্রাম করে অনুমোদিত পরিমাণ স্বর্ণ রেখে বাকি অংশ জব্দ করা হয়।

জব্দ স্বর্ণের বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলো—

জেসমিন আক্তার: ২০০ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম অনুমোদিত, ১০০ গ্রাম জব্দ।

মো. নাসির: ২৫০ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম অনুমোদিত, ১৫০ গ্রাম জব্দ।

মোহাম্মদ মাসুম করিম চৌধুরী: ৩০০ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম অনুমোদিত, ২০০ গ্রাম জব্দ।

কীজা মনোয়ারা বেগম: ২৫০ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম অনুমোদিত, ১৫০ গ্রাম জব্দ।

ইয়াসমিন আক্তার: ২০০ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম অনুমোদিত, ১০০ গ্রাম জব্দ।

সব মিলিয়ে পাঁচজন যাত্রীর কাছ থেকে মোট ১২০০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার হয়। এর মধ্যে ৭০০ গ্রাম স্বর্ণ বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং ৫০০ গ্রাম স্বর্ণ নিয়ম অনুযায়ী যাত্রীদের ফেরত দেওয়া হয়।

কাস্টমসের হিসাব অনুযায়ী জব্দকৃত স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা (৭০০×৫০০০ টাকা)।

বিমানবন্দর কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যাত্রীরা ব্যাগেজ বিধি সম্পর্কে অজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এজন্য তাদের মৌখিকভাবে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

কাস্টমস সূত্র বলছে, নিয়মিত অভিযান জোরদার থাকায় সম্প্রতি স্বর্ণ চোরাচালানকারীরা নানা কৌশল অবলম্বন করছে। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নজরদারি বেড়েছে এবং সন্দেহজনক যাত্রীদের তল্লাশি আরও কঠোর করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্য ফেরত যাত্রীদের ব্যাগেজে স্বর্ণ আনার প্রবণতা রয়েছে। এসব স্বর্ণ অনেক সময় “বাণিজ্যিক চোরাচালান” হিসেবে ব্যবহৃত হয় বলে শুল্ক গোয়েন্দারা মনে করেন। নিয়মিত অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ আমদানি রোধের চেষ্টা করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

ডিএস,.

ট্যাগ :

চট্টগ্রামে নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৭০০ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ: ৫ যাত্রীকে সতর্ক করে ছেড়ে দিল কাস্টমস

প্রকাশিত : ০৪:৩৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে ৭০০ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করেছে বিমানবন্দর কাস্টমস। বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেদ্দা থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএজি–১৩৬ থেকে আগত পাঁচজন যাত্রীর কাছ থেকে এসব স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্মকর্তারা যাত্রীদের তল্লাশি চালান। এতে মোট ১২০০ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। তবে ব্যাগেজ বিধিমালা অনুযায়ী প্রতিজন যাত্রীকে ১০০ গ্রাম করে অনুমোদিত পরিমাণ স্বর্ণ রেখে বাকি অংশ জব্দ করা হয়।

জব্দ স্বর্ণের বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলো—

জেসমিন আক্তার: ২০০ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম অনুমোদিত, ১০০ গ্রাম জব্দ।

মো. নাসির: ২৫০ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম অনুমোদিত, ১৫০ গ্রাম জব্দ।

মোহাম্মদ মাসুম করিম চৌধুরী: ৩০০ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম অনুমোদিত, ২০০ গ্রাম জব্দ।

কীজা মনোয়ারা বেগম: ২৫০ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম অনুমোদিত, ১৫০ গ্রাম জব্দ।

ইয়াসমিন আক্তার: ২০০ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম অনুমোদিত, ১০০ গ্রাম জব্দ।

সব মিলিয়ে পাঁচজন যাত্রীর কাছ থেকে মোট ১২০০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার হয়। এর মধ্যে ৭০০ গ্রাম স্বর্ণ বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং ৫০০ গ্রাম স্বর্ণ নিয়ম অনুযায়ী যাত্রীদের ফেরত দেওয়া হয়।

কাস্টমসের হিসাব অনুযায়ী জব্দকৃত স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা (৭০০×৫০০০ টাকা)।

বিমানবন্দর কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যাত্রীরা ব্যাগেজ বিধি সম্পর্কে অজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এজন্য তাদের মৌখিকভাবে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

কাস্টমস সূত্র বলছে, নিয়মিত অভিযান জোরদার থাকায় সম্প্রতি স্বর্ণ চোরাচালানকারীরা নানা কৌশল অবলম্বন করছে। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নজরদারি বেড়েছে এবং সন্দেহজনক যাত্রীদের তল্লাশি আরও কঠোর করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্য ফেরত যাত্রীদের ব্যাগেজে স্বর্ণ আনার প্রবণতা রয়েছে। এসব স্বর্ণ অনেক সময় “বাণিজ্যিক চোরাচালান” হিসেবে ব্যবহৃত হয় বলে শুল্ক গোয়েন্দারা মনে করেন। নিয়মিত অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ আমদানি রোধের চেষ্টা করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

ডিএস,.