০৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামে নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জাল জন্মনিবন্ধন ও ভুয়া তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির অভিযোগে ফেনী জেলার অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলমসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের (সংযুক্তি) সহকারী পরিচালক অং টি চৌধুরী।

অভিযুক্তরা হলেন- আবদুল জলিল (৫০), সাবেক নগরের বন্দর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম এবং সাবেক জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ। তিনি বলেন, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় নথি জাল করেছেন।

প্রাথমিকভাবে অপরাধের সত্যতা পাওয়ায় দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে। তদন্তের সময় অন্য কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে তা আমলে নেওয়া হবে।এজাহারে বলা হয়েছে, কক্সবাজারের বাসিন্দা আবদুল জলিল বৈধ কোনো নাগরিকত্বের কাগজপত্র ছাড়াই জাল জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। এ কাজে তাঁকে সহায়তা করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে এবং বন্দর থানার তৎকালীন নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম। আবদুল জলিলের জন্ম, নাগরিকত্ব বা তাঁর পিতা–মাতার কোনো সরকারি রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়নি। ২০১১ সালের ২২ জুলাই তিনি বৈধ নথি ছাড়া জাল জন্মনিবন্ধন তৈরি করেন। পরে ২০১৭ সালের মে মাসে আবারও ভুয়া স্বাক্ষর ও জাল সনদ ব্যবহার করে জন্মনিবন্ধন নবায়ন করেন।

পরে ওই জাল সনদ ব্যবহার করে নির্বাচন অফিসে ভুয়া তথ্য ও ঠিকানা দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশনের ফর্মে তাঁর পিতা-মাতা, স্ত্রী ও অন্যান্য তথ্যের ঘর ফাঁকা রাখা হয়। একইসঙ্গে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা হিসেবে যে ঠিকানাগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোয় তাঁর বসবাসের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। দুদকের ফরেনসিক পরীক্ষায় জন্মনিবন্ধনের স্বাক্ষর ও নিবন্ধকের সই জাল প্রমাণিত হয়েছে।

ডিএস./

ট্যাগ :

চট্টগ্রামে নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

চট্টগ্রামে নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিত : ০৪:৫১:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

জাল জন্মনিবন্ধন ও ভুয়া তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির অভিযোগে ফেনী জেলার অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলমসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের (সংযুক্তি) সহকারী পরিচালক অং টি চৌধুরী।

অভিযুক্তরা হলেন- আবদুল জলিল (৫০), সাবেক নগরের বন্দর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম এবং সাবেক জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ। তিনি বলেন, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় নথি জাল করেছেন।

প্রাথমিকভাবে অপরাধের সত্যতা পাওয়ায় দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে। তদন্তের সময় অন্য কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে তা আমলে নেওয়া হবে।এজাহারে বলা হয়েছে, কক্সবাজারের বাসিন্দা আবদুল জলিল বৈধ কোনো নাগরিকত্বের কাগজপত্র ছাড়াই জাল জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। এ কাজে তাঁকে সহায়তা করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে এবং বন্দর থানার তৎকালীন নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম। আবদুল জলিলের জন্ম, নাগরিকত্ব বা তাঁর পিতা–মাতার কোনো সরকারি রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়নি। ২০১১ সালের ২২ জুলাই তিনি বৈধ নথি ছাড়া জাল জন্মনিবন্ধন তৈরি করেন। পরে ২০১৭ সালের মে মাসে আবারও ভুয়া স্বাক্ষর ও জাল সনদ ব্যবহার করে জন্মনিবন্ধন নবায়ন করেন।

পরে ওই জাল সনদ ব্যবহার করে নির্বাচন অফিসে ভুয়া তথ্য ও ঠিকানা দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশনের ফর্মে তাঁর পিতা-মাতা, স্ত্রী ও অন্যান্য তথ্যের ঘর ফাঁকা রাখা হয়। একইসঙ্গে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা হিসেবে যে ঠিকানাগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোয় তাঁর বসবাসের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। দুদকের ফরেনসিক পরীক্ষায় জন্মনিবন্ধনের স্বাক্ষর ও নিবন্ধকের সই জাল প্রমাণিত হয়েছে।

ডিএস./