০৬:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

” বনানী ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ফের পিছিয়ে গেল”

বাদী না আসায় রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ফের পিছিয়ে গেল। আজ রোববার তাঁর সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। পরে রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করলে ১৬ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। আদালত সূত্র মতে জানা গেল, এ নিয়ে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুনানি চারবার পেছাল।আজ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ ধার্য করেন।ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আলী আকবর বলেন, মামলার বাদী আজ আদালতে হাজির ছিলেন না। আজ তিনি এলে তাঁর সাক্ষ্যগ্রহণ নেওয়া হতো। তিনি জানান, আজ আসামিরা আদালতে জামিন চান। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের জামিন আবেদন নাকচ করেন।

রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় গত ১৩ জুলাই আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে শাফাত আহমেদ ও তাঁর বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আর শাফাতের আরেক বন্ধু সাদমান সাফিক, গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো পুরুষের বিরুদ্ধে নারী বা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই সঙ্গে আদালত অর্থদণ্ডও করতে পারবেন। আর অপরাধে প্ররোচনা বা সহায়তার বিষয়ে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি অন্য কাউকে অপরাধ সংগঠনে সহায়তা করেন, তাহলে অপরাধ সংঘটনের জন্য যে শাস্তি নির্ধারিত, প্ররোচনাকারীও এই একই দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

জন্মদিনের পার্টির কথা বলে গত ২৮ মার্চ রাতে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার ৪০ দিন পর এ ব্যাপারে বনানী থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে বাদীকে পুলিশ হয়রানি করে। পরে গত ৬ মে শাফাত, নাঈমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা নেয়। পাঁচ আসামিকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা এখন কারাগারে আছেন।

ট্যাগ :

” বনানী ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ফের পিছিয়ে গেল”

প্রকাশিত : ০৫:৩২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০১৭

বাদী না আসায় রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ফের পিছিয়ে গেল। আজ রোববার তাঁর সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। পরে রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করলে ১৬ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। আদালত সূত্র মতে জানা গেল, এ নিয়ে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুনানি চারবার পেছাল।আজ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ ধার্য করেন।ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আলী আকবর বলেন, মামলার বাদী আজ আদালতে হাজির ছিলেন না। আজ তিনি এলে তাঁর সাক্ষ্যগ্রহণ নেওয়া হতো। তিনি জানান, আজ আসামিরা আদালতে জামিন চান। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের জামিন আবেদন নাকচ করেন।

রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় গত ১৩ জুলাই আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে শাফাত আহমেদ ও তাঁর বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আর শাফাতের আরেক বন্ধু সাদমান সাফিক, গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো পুরুষের বিরুদ্ধে নারী বা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই সঙ্গে আদালত অর্থদণ্ডও করতে পারবেন। আর অপরাধে প্ররোচনা বা সহায়তার বিষয়ে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি অন্য কাউকে অপরাধ সংগঠনে সহায়তা করেন, তাহলে অপরাধ সংঘটনের জন্য যে শাস্তি নির্ধারিত, প্ররোচনাকারীও এই একই দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

জন্মদিনের পার্টির কথা বলে গত ২৮ মার্চ রাতে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার ৪০ দিন পর এ ব্যাপারে বনানী থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে বাদীকে পুলিশ হয়রানি করে। পরে গত ৬ মে শাফাত, নাঈমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা নেয়। পাঁচ আসামিকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা এখন কারাগারে আছেন।