০২:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

‘৩৫ এর দাবী বাস্তবায়নে সাহায্যের হাত বাড়াতে একজন ছাত্রলীগ কর্মীর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে খোলা চিঠি’

  • নাজমুল হোসেন
  • প্রকাশিত : ০৩:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৮
  • 4080

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ থেকে বাড়িয়ে ন্যূনতম ৩৫ বছরে উন্নীত করণের দাবী নিয়ে দীর্ঘ ৬ বছরেরও বেশী সময় ধরে সারাদেশ ও ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আন্দোলন করে আসছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। আর এই দাবী বাস্তবায়নে তাদের পাশে দাঁড়াতে বিনীত অনুরোধ জানিয়ে ৪০ লক্ষ উচ্চ শিক্ষিত বেকারের পক্ষ থেকে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’কে খোলা চিঠি।

হে উদীয়মান সুদৃঢ় নেতৃত্বের প্রতীক,

আপনারা জানেন আমরা দীর্ঘ ছয় বছরেরও বেশী সময় ধরে রাজপথে অরাজনৈতিক ও অহিংস পদ্ধতিতে চাকরির আবেদনে বয়স বাড়াতে দাবী জানিয়ে আন্দোলন করে আসছি। বিষয়টা আজ একটা জাতীয় দাবীতে পরিণত হয়েছে। আমরা তো আপনাদেরই মত ছাত্র-ছাত্রী। আর আপনারা সারাদেশব্যাপী সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণে বিভিন্ন রকম উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকেন। আপনাদের মধ্য থেকেই একসময় বেরিয়ে আসবে দেশে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব। আর ছাত্র রাজনীতিতে আপনাদের সুশৃঙ্খল ও সুদৃঢ় নেতৃত্বের ফল আমরাই ভোগ করছি। পাশাপাশি আপনাদের সাথে অঙ্গসংগঠনের কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে আমরা জড়িত আছি সাড়া দেশের সকল উপজেলা পর্যায়ের স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত। আজ তেমনি একটি দাবী চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছরে বর্ধিত করণের দাবী নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। আমাদের এই প্রাণের দাবী বাস্তবায়নে আপনারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে আমরা ৪০ লক্ষ শিক্ষিত বেকার ছাত্রছাত্রীরা আশাবাদী।

হে ইতিহাসখ্যাত ঐতিহ্যবাহী সংগঠন,

উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। যার অসামান্য নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্ম আধুনিক উন্নয়নমুখী রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করছে। এমন সঠিক নেতৃত্ব অন্য কোন সংগঠন দিতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা ভাগ্যবান কারণ এমনই এক নেতৃত্বের ছত্রছায়ায় আমরা বেড়ে উঠছি আগামীর উন্নয়নশীল ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে। এসব কিছুর মুলে রয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি না থাকলে হয়ত এমন সঠিক দিকনির্দেশনা আমাদের প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পেত না। এ জন্য দেশনেত্রীর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার সীমা তুঙ্গে। তাই এমন ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনকে আমাদের এমন সংকটময় ও দুর্যোগময় মুহূর্তে এই দাবী বাস্তবায়নে সাহায্যের হাত বাড়ানোসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জোর সুপারিশ করার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।

হে যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের ক্ষেত্র,

কোন দেশের তরুণরা যা পারে তা অন্যরা পারে না। আর সেটাই প্রমাণ করে যাচ্ছে যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের ক্ষেত্র বা ফ্লাটফর্ম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। অতীতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ভাষা আন্দোলন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ছাত্রদের বিভিন্ন অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে সফল হয়েছে। এমন যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র শিক্ষিত তরুণদের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিতে পেরেছে এবং পারছে। দেশের সার্বিক কল্যাণে, দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে, তরুণদের বিভিন্ন আইন বিরোধী অপরাধ যেমন-মাদক ব্যবসা, সেবন ইত্যাদি থেকে থেকে দূরে রাখতে এবং আধুনিক, উন্নয়নশীল ও সমৃদ্ধশালী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে অতিশীঘ্রই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো উচিৎ। আর এমন একটি সার্বজনীন শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর দাবী ও দেশের কল্যাণমুখী দাবীকে আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকেই বাস্তবায়নে সহায়তা করতে মাঠ পর্যায় থেকে সরকার মহল পর্যন্ত সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে আমরা বেকাররা আপনাদেরকে হাত জোর সমেত বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

৪০ লক্ষ বেকারের পক্ষে

এম এ আলী (রাজপথ কাঁপানো ছাত্রলীগ কর্মী)

ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ,

লেখকঃ নাজমুল হোসেন

প্রকৌশলী

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক বুধবার

‘৩৫ এর দাবী বাস্তবায়নে সাহায্যের হাত বাড়াতে একজন ছাত্রলীগ কর্মীর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে খোলা চিঠি’

প্রকাশিত : ০৩:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৮

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ থেকে বাড়িয়ে ন্যূনতম ৩৫ বছরে উন্নীত করণের দাবী নিয়ে দীর্ঘ ৬ বছরেরও বেশী সময় ধরে সারাদেশ ও ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আন্দোলন করে আসছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। আর এই দাবী বাস্তবায়নে তাদের পাশে দাঁড়াতে বিনীত অনুরোধ জানিয়ে ৪০ লক্ষ উচ্চ শিক্ষিত বেকারের পক্ষ থেকে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’কে খোলা চিঠি।

হে উদীয়মান সুদৃঢ় নেতৃত্বের প্রতীক,

আপনারা জানেন আমরা দীর্ঘ ছয় বছরেরও বেশী সময় ধরে রাজপথে অরাজনৈতিক ও অহিংস পদ্ধতিতে চাকরির আবেদনে বয়স বাড়াতে দাবী জানিয়ে আন্দোলন করে আসছি। বিষয়টা আজ একটা জাতীয় দাবীতে পরিণত হয়েছে। আমরা তো আপনাদেরই মত ছাত্র-ছাত্রী। আর আপনারা সারাদেশব্যাপী সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণে বিভিন্ন রকম উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকেন। আপনাদের মধ্য থেকেই একসময় বেরিয়ে আসবে দেশে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব। আর ছাত্র রাজনীতিতে আপনাদের সুশৃঙ্খল ও সুদৃঢ় নেতৃত্বের ফল আমরাই ভোগ করছি। পাশাপাশি আপনাদের সাথে অঙ্গসংগঠনের কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে আমরা জড়িত আছি সাড়া দেশের সকল উপজেলা পর্যায়ের স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত। আজ তেমনি একটি দাবী চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছরে বর্ধিত করণের দাবী নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। আমাদের এই প্রাণের দাবী বাস্তবায়নে আপনারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে আমরা ৪০ লক্ষ শিক্ষিত বেকার ছাত্রছাত্রীরা আশাবাদী।

হে ইতিহাসখ্যাত ঐতিহ্যবাহী সংগঠন,

উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। যার অসামান্য নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্ম আধুনিক উন্নয়নমুখী রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করছে। এমন সঠিক নেতৃত্ব অন্য কোন সংগঠন দিতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা ভাগ্যবান কারণ এমনই এক নেতৃত্বের ছত্রছায়ায় আমরা বেড়ে উঠছি আগামীর উন্নয়নশীল ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে। এসব কিছুর মুলে রয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি না থাকলে হয়ত এমন সঠিক দিকনির্দেশনা আমাদের প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পেত না। এ জন্য দেশনেত্রীর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার সীমা তুঙ্গে। তাই এমন ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনকে আমাদের এমন সংকটময় ও দুর্যোগময় মুহূর্তে এই দাবী বাস্তবায়নে সাহায্যের হাত বাড়ানোসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জোর সুপারিশ করার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।

হে যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের ক্ষেত্র,

কোন দেশের তরুণরা যা পারে তা অন্যরা পারে না। আর সেটাই প্রমাণ করে যাচ্ছে যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের ক্ষেত্র বা ফ্লাটফর্ম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। অতীতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ভাষা আন্দোলন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ছাত্রদের বিভিন্ন অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে সফল হয়েছে। এমন যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র শিক্ষিত তরুণদের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিতে পেরেছে এবং পারছে। দেশের সার্বিক কল্যাণে, দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে, তরুণদের বিভিন্ন আইন বিরোধী অপরাধ যেমন-মাদক ব্যবসা, সেবন ইত্যাদি থেকে থেকে দূরে রাখতে এবং আধুনিক, উন্নয়নশীল ও সমৃদ্ধশালী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে অতিশীঘ্রই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো উচিৎ। আর এমন একটি সার্বজনীন শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর দাবী ও দেশের কল্যাণমুখী দাবীকে আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকেই বাস্তবায়নে সহায়তা করতে মাঠ পর্যায় থেকে সরকার মহল পর্যন্ত সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে আমরা বেকাররা আপনাদেরকে হাত জোর সমেত বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

৪০ লক্ষ বেকারের পক্ষে

এম এ আলী (রাজপথ কাঁপানো ছাত্রলীগ কর্মী)

ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ,

লেখকঃ নাজমুল হোসেন

প্রকৌশলী