প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রাণশক্তিতে ভরপুর আমাদের যুবসমাজ তাদের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখবে।’
‘জাতীয় যুব দিবস ২০১৭’ উপলক্ষে মঙ্গলবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার ১ নভেম্বর ‘জাতীয় যুব দিবস’। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘যুবদের জাগরণ, বাংলাদেশের উন্নয়ন’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসকল লক্ষ্য অর্জনে যুবসমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল আন্দোলন, সংগ্রাম ও অগ্রগতি অর্জনের পথে যুবসমাজের অবদান অনস্বীকার্য। আত্মোন্নয়ন ও সমাজ বিনির্মাণে গতিশীল ভূমিকা রাখার পাশাপাশি মহিলা, শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠ, প্রতিবন্ধী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিও যুবসমাজকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ যুবসমাজ। এরাই জাতির প্রাণপ্রবাহ, দেশের মূল্যবান সম্পদ, স্বপ্ন ও সম্ভাবনার প্রতীক। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের মধ্যে নেতৃত্ব, দেশপ্রেম, নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তোলা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের মূলধারায় যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করতে সরকার দেশব্যাপী বিভিন্ন প্রকল্প ও যুব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে। ‘যুবসমাজকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন কারিগরি, বৃত্তিমূলক এবং কৃষিভিত্তিক বহুমুখী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। যুবঋণ দিয়ে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দক্ষ জনশক্তি হিসেবে প্রবাসেও যুবদের কর্মসংস্থানের প্রসার ঘটেছে।’