০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

অভিনেতা রাজীবের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ঢাকাই ছবির এক সময়ের শক্তিমান অভিনেতা ওয়াসীমুল বারী রাজীবের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালের এই তারিখে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রুপালি পর্দার দাপুটে এ অভিনেতা তার অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে তিনি ‘রাজীব’ নামেই বেশি পরিচিত। প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন প্রয়াত এই খল নায়ক।

এ প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীদের কাছে রাজীব ‘আইডল’। তিনি আসলে সবার কাছে খলনায়ক হিসেবে পরিচিত। তবে তিনি অনেক চলচ্চিত্রে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রেও অভিনয় করেছেন।

অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ রাজীব শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেন। অভিনয়ের বাইরে তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশের অন্যতম সফল খলনায়ক রাজীব। চিত্রপরিচালক কাজী হায়াতের খোকন সোনা নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন তিনি। রাশভারী এই অভিনেতার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে হাঙর নদী গ্রেনেড, প্রেম পিয়াসী, সত্যের মৃত্যু নেই, স্বপ্নের পৃথিবী, আজকের সন্ত্রাসী, দুর্জয়, দেনমোহর, স্বপ্নের ঠিকানা, মহামিলন, বাবার আদেশ, বিক্ষোভ, অন্তরে অন্তরে, ডন, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, ভাত দে, অনন্ত ভালোবাসা, রাজা শিকদার ও বুকের ভেতর আগুন, সাহসী মানুষ চাই, বিদ্রোহ চারিদিকে, দাঙ্গা প্রভৃতি।

রাজীব শ্রেষ্ট পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন চারবার- হীরামতি (১৯৮৮), দাঙ্গা (১৯৯১), বিদ্রোহ চারিদিকে (২০০০) ও সাহসী মানুষ চাই (২০০৩)। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেন তিনি।

রাজীব চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম ফ্রেন্ডস মুভিজ।

ট্যাগ :

অভিনেতা রাজীবের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত : ০১:৫৩:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৭

ঢাকাই ছবির এক সময়ের শক্তিমান অভিনেতা ওয়াসীমুল বারী রাজীবের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালের এই তারিখে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রুপালি পর্দার দাপুটে এ অভিনেতা তার অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে তিনি ‘রাজীব’ নামেই বেশি পরিচিত। প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন প্রয়াত এই খল নায়ক।

এ প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীদের কাছে রাজীব ‘আইডল’। তিনি আসলে সবার কাছে খলনায়ক হিসেবে পরিচিত। তবে তিনি অনেক চলচ্চিত্রে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রেও অভিনয় করেছেন।

অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ রাজীব শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেন। অভিনয়ের বাইরে তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশের অন্যতম সফল খলনায়ক রাজীব। চিত্রপরিচালক কাজী হায়াতের খোকন সোনা নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন তিনি। রাশভারী এই অভিনেতার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে হাঙর নদী গ্রেনেড, প্রেম পিয়াসী, সত্যের মৃত্যু নেই, স্বপ্নের পৃথিবী, আজকের সন্ত্রাসী, দুর্জয়, দেনমোহর, স্বপ্নের ঠিকানা, মহামিলন, বাবার আদেশ, বিক্ষোভ, অন্তরে অন্তরে, ডন, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, ভাত দে, অনন্ত ভালোবাসা, রাজা শিকদার ও বুকের ভেতর আগুন, সাহসী মানুষ চাই, বিদ্রোহ চারিদিকে, দাঙ্গা প্রভৃতি।

রাজীব শ্রেষ্ট পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন চারবার- হীরামতি (১৯৮৮), দাঙ্গা (১৯৯১), বিদ্রোহ চারিদিকে (২০০০) ও সাহসী মানুষ চাই (২০০৩)। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেন তিনি।

রাজীব চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম ফ্রেন্ডস মুভিজ।