০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

নরসিংদীতে মা-মেয়ে হত্যার অভিযোগ

নরসিংদীর ঘোড়াদিয়া এলাকার মেয়ে ও স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী কবির হোসেনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শহরের ঘোড়াদিয়া এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কবির ঘটনার পর থেকে পলাতক।

নিহতরা হলেন, জেলার রায়পুরা উপজেলার চরমধুয়া ইউনিয়নের গাজীপুরা গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী হাফেজা বেগম (৩৫) ও তার মেয়ে সাদিয়া বেগম (৫)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, হাফেজা বেগম অন্ধ ছিলেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আর স্বামী কবির হোসেন রিকশাচালক। মাদকাসক্ত কবির হোসেন টাকার জন্য অন্ধ হাফেজাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন।

মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরতলীর ঘোড়াদিয়া বণিকপাড়ার ওই ঘরের দরজা বন্ধ দেখে বাড়ির ভাড়াটিয়া রাশিদা ও মিনারা বেগমের সন্দেহ হয়। তারা ঘরের ভেতর ঢুকে মেঝেতে হাফেজার ও বিছানায় তার মেয়ে সাদিয়ার লাশ দেখতে পান। পরে ভাড়াটিয়া রাশিদা বাড়ির মালিক দেলোয়ার হোসেনকে বিষয়টি জানান। দেলোয়ার হোসেন তাৎক্ষণিক পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক তাপস কান্তি রায় জানান, নিহতদের গলায় হাতের ছাপ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে মা-মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করেছে।

ট্যাগ :

নরসিংদীতে মা-মেয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত : ০৪:২১:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৭

নরসিংদীর ঘোড়াদিয়া এলাকার মেয়ে ও স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী কবির হোসেনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শহরের ঘোড়াদিয়া এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কবির ঘটনার পর থেকে পলাতক।

নিহতরা হলেন, জেলার রায়পুরা উপজেলার চরমধুয়া ইউনিয়নের গাজীপুরা গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী হাফেজা বেগম (৩৫) ও তার মেয়ে সাদিয়া বেগম (৫)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, হাফেজা বেগম অন্ধ ছিলেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আর স্বামী কবির হোসেন রিকশাচালক। মাদকাসক্ত কবির হোসেন টাকার জন্য অন্ধ হাফেজাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন।

মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরতলীর ঘোড়াদিয়া বণিকপাড়ার ওই ঘরের দরজা বন্ধ দেখে বাড়ির ভাড়াটিয়া রাশিদা ও মিনারা বেগমের সন্দেহ হয়। তারা ঘরের ভেতর ঢুকে মেঝেতে হাফেজার ও বিছানায় তার মেয়ে সাদিয়ার লাশ দেখতে পান। পরে ভাড়াটিয়া রাশিদা বাড়ির মালিক দেলোয়ার হোসেনকে বিষয়টি জানান। দেলোয়ার হোসেন তাৎক্ষণিক পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক তাপস কান্তি রায় জানান, নিহতদের গলায় হাতের ছাপ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে মা-মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করেছে।