বিশ্বকাপ খেলেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা—এমনটাই ছিল আলোচনায়। মাশরাফির নিজেরও ইঙ্গিত ছিল তেমনটাই। কিন্তু হঠাৎই দুটি সংবাদমাধ্যমকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার কথা শুনিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। মাশরাফির এই সিদ্ধান্তটা শুধু তার ওপরই ছেড়ে দিচ্ছেন আকরাম খান।
মাশরাফি অবসরের সিদ্ধান্ত কেন ‘পাল্টেছেন’, তার কোনও ব্যাখ্যা দেননি সংবাদমাধ্যম দুটিতে। তবে একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে তার স্পন্সর সংক্রান্ত চুক্তির কারণেই তিনি আরও কিছুদিন খেলা চালিয়ে যেতে চাইছেন।
মাশরাফির অবসরের ব্যাপারে বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেছেন, ‘মাশরাফি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। তার সিদ্ধান্তকে বিসিবি অবশ্যই সম্মান জানাবে। মাশরাফি কবে জাতীয় দল থেকে অবসর নেবে, এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের তরফ থেকে কিছু বলার নেই।’
দেশ ছাড়ার আগে নিজের অবসর নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও ইঙ্গিত ছিল বিশ্বকাপ খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর। সাউদাম্পটনে কথা প্রসঙ্গেও মাশরাফি নিজেই জানিয়েছিলেন বিদায়ের খবর। এমনকি সাকিব আল হাসানের অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ কেমন করবে, সেই আলোচনাও হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার দুটি সংবাদমাধ্যমে ‘আরও কিছুদিন খেলা চালিয়ে যাওয়ার’ মন্তব্য করার পর ফের তার অবসর নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা।
সংবাদমাধ্যম দুটিকে মাশরাফি অবসর নিয়ে বলেছেন, ‘এখনই খেলা ছাড়ছি না। আরও খেলব। বোর্ড থেকে কোনও নির্দেশনা এলে আলাদা কথা। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার আপাতত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার চিন্তা নেই।’
মাশরাফির সময়কার ক্রিকেটারদের কেউই এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেই। অথচ তিন চোট নিয়েই খেলে যাচ্ছেন বিশ্বকাপে। হাঁটুতে আছে সাতটি অস্ত্রোপচার। এভাবেই ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর ১৮ বছর পার করে দিয়েছেন।
২০১৪ সালে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব পেয়ে দলকে একের পর এক সাফল্য এনে দিয়েছেন মাশরাফি। তার নেতৃত্বেই বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল, এশিয়া কাপে ফাইনাল, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনাল, প্রথমবারের মতো ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের সাফল্য তো আছেই।
বিবি/এমএ
























