০৪:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা

সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে রাজধানীর বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। বেশির ভাগ বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। টানা বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের দাম এমন অস্বাভাবিক বেড়েছে বলে অভিমত ব্যবসায়ীদের। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, কার্যকরী বাজার তদারকি ব্যবস্থা না থাকায় হঠাৎ হঠাৎ পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এতে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী মুনাফা লুটে নিলেও ভুগতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের লোকদের। এদিকে কাঁচা মরিচের দাম বাড়লেও পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের বিস্তর পার্থক্য রয়েছে।

পাইকারি বাজারের দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। কারওয়ান বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। অর্থাৎ পাইকারিতেও সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচ মরিচের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। হঠাৎ কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সোহেল বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে মরিচের অনেক খেত নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে দাম বেড়েছে। বৃষ্টি থামলে দুই-একদিনের মধ্যে দাম কমে যেতে পারে। আর যদি বৃষ্টি অব্যাহত থাকে তাহলে সামনে দাম আরও বাড়তে পারে। রামপুরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়ছে ১৬০-২০০ টাকা।

একই দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে মালিবাগ হাজীপাড়া ও সেগুনবাগিচা বাজারে। তবে শান্তিনগর বাজারে কাঁচা মরিচের পোয়া ৬০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। খিলগাঁও তালতলা বাজারে কাঁচা মরিচের পোয়া বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। মরিচের দামের বিষয়ে শান্তিনগরের ব্যবসায়ী মিলন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন ধরেই কাঁচা মরিচের দাম একটু বেশি। তবে গত মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার দাম একটু কমেছে। গত মঙ্গলবার এক পোয়া কাঁচা মরিচ ৭০ টাকা বিক্রি করেছি। কারওয়ান বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, তাহলে আপনারা এক পোয়ার দাম ৬০ টাকা রাখছেন কেন? এমন প্রশ্ন করা হলে এ ব্যবসায়ী বলেন, ‘পাইকারির সঙ্গে খুচরা বাজারের দাম মেলালে হবে না। কারওয়ান বাজার থেকে মাল আনতে আমাদের একটা খরচ আছে।

এখানে দোকান ভাড়া আছে। আবার যে মরিচ নিয়ে আসি তার সবই বিক্রি হবে এর নিশ্চয়তা নেই। অনেক মরিচ নষ্ট হয়। এ কারণে দামে একটু পার্থক্য থাকে। কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ বাড়ার বিষয়ে খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘গত বুধবার এক পোয়া কাঁচা মরিচ কিনেছিলাম ২০ টাকা দিয়ে। বুধবার সেই মরিচের পোয়া নিতে হচ্ছে ৫০ টাকায়। গত মঙ্গলবার তো দাম আরও বেশি ছিল। গত মঙ্গলবার কোনো ব্যবসায়ী ৬০ টাকার নিচে মরিচের পোয়া বিক্রি করেনি। এ গৃহিণী আরও বলেন, ‘এর আগেও দেখেছি বৃষ্টি হলেই মরিচের দাম বেড়ে যায়। এটা কিছুতেই স্বাভাবিক না। বাজারে কোনো তদারকি না থাকায় যে যেমন খুশি দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে। এতে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। যাদের টাকা আছে তাদের তো কোনো সমস্যা নেই।

রামপুরার বাসিন্দা শিমুল আক্তার বলেন, ‘মরিচের কেজি আগেও ২০০ টাকা হয়েছে। তবে আগে যে মরিচ ২০০ টাকা বিক্রি হতো সেই মরিচে বেশ ঝাল ছিল। কিন্তু এখন যে মরিচ বিক্রি হচ্ছে এ মরিচের ঝাল খুব বেশি না। এখনকার বেশির ভাগ মরিচই অপরিপক্ক। তরকারিতে অনেক বেশি মরিচ দিয়েও ঝাল হয় না।’

ট্যাগ :

মেঘনা  উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক  নয়ন ও শহীদুলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা

প্রকাশিত : ০৯:২৭:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯

সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে রাজধানীর বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। বেশির ভাগ বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। টানা বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের দাম এমন অস্বাভাবিক বেড়েছে বলে অভিমত ব্যবসায়ীদের। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, কার্যকরী বাজার তদারকি ব্যবস্থা না থাকায় হঠাৎ হঠাৎ পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এতে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী মুনাফা লুটে নিলেও ভুগতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের লোকদের। এদিকে কাঁচা মরিচের দাম বাড়লেও পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের বিস্তর পার্থক্য রয়েছে।

পাইকারি বাজারের দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। কারওয়ান বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। অর্থাৎ পাইকারিতেও সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচ মরিচের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। হঠাৎ কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সোহেল বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে মরিচের অনেক খেত নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে দাম বেড়েছে। বৃষ্টি থামলে দুই-একদিনের মধ্যে দাম কমে যেতে পারে। আর যদি বৃষ্টি অব্যাহত থাকে তাহলে সামনে দাম আরও বাড়তে পারে। রামপুরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়ছে ১৬০-২০০ টাকা।

একই দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে মালিবাগ হাজীপাড়া ও সেগুনবাগিচা বাজারে। তবে শান্তিনগর বাজারে কাঁচা মরিচের পোয়া ৬০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। খিলগাঁও তালতলা বাজারে কাঁচা মরিচের পোয়া বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। মরিচের দামের বিষয়ে শান্তিনগরের ব্যবসায়ী মিলন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন ধরেই কাঁচা মরিচের দাম একটু বেশি। তবে গত মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার দাম একটু কমেছে। গত মঙ্গলবার এক পোয়া কাঁচা মরিচ ৭০ টাকা বিক্রি করেছি। কারওয়ান বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, তাহলে আপনারা এক পোয়ার দাম ৬০ টাকা রাখছেন কেন? এমন প্রশ্ন করা হলে এ ব্যবসায়ী বলেন, ‘পাইকারির সঙ্গে খুচরা বাজারের দাম মেলালে হবে না। কারওয়ান বাজার থেকে মাল আনতে আমাদের একটা খরচ আছে।

এখানে দোকান ভাড়া আছে। আবার যে মরিচ নিয়ে আসি তার সবই বিক্রি হবে এর নিশ্চয়তা নেই। অনেক মরিচ নষ্ট হয়। এ কারণে দামে একটু পার্থক্য থাকে। কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ বাড়ার বিষয়ে খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘গত বুধবার এক পোয়া কাঁচা মরিচ কিনেছিলাম ২০ টাকা দিয়ে। বুধবার সেই মরিচের পোয়া নিতে হচ্ছে ৫০ টাকায়। গত মঙ্গলবার তো দাম আরও বেশি ছিল। গত মঙ্গলবার কোনো ব্যবসায়ী ৬০ টাকার নিচে মরিচের পোয়া বিক্রি করেনি। এ গৃহিণী আরও বলেন, ‘এর আগেও দেখেছি বৃষ্টি হলেই মরিচের দাম বেড়ে যায়। এটা কিছুতেই স্বাভাবিক না। বাজারে কোনো তদারকি না থাকায় যে যেমন খুশি দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে। এতে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। যাদের টাকা আছে তাদের তো কোনো সমস্যা নেই।

রামপুরার বাসিন্দা শিমুল আক্তার বলেন, ‘মরিচের কেজি আগেও ২০০ টাকা হয়েছে। তবে আগে যে মরিচ ২০০ টাকা বিক্রি হতো সেই মরিচে বেশ ঝাল ছিল। কিন্তু এখন যে মরিচ বিক্রি হচ্ছে এ মরিচের ঝাল খুব বেশি না। এখনকার বেশির ভাগ মরিচই অপরিপক্ক। তরকারিতে অনেক বেশি মরিচ দিয়েও ঝাল হয় না।’