নেপালে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করার প্রতিবাদে এবং নতুন নির্বাচনের দাবিতে দেশজুড়ে সরকারবিরোধীদের বিক্ষোভ থেকে এক সাবেক মন্ত্রীসহ অন্তত ৭৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে, ২০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির পরামর্শে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি দেশটির পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। সে সময় নিজদল নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির (এনপিসি) অভ্যন্তরীণ বিভেদের কথা উল্লেখ করে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায়, এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান ওলি। পার্লামেন্ট বিলুপ্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ১২টির বেশি পিটিশন দায়ের করা হয় নেপালের সুপ্রিম কোর্টে। চলতি মাসেই ওই পিটিশনগুলোর রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। যদি তারা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে রায় দেন, তবে এপ্রিল ৩০ থেকে মে মাসের ১০ তারিখের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু, ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে পার্লামেন্ট বিলুপ্তির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত আছে। ওই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এনপিসি’র শীর্ষনেতা এবং ওলি’র সাবেক মিত্র পুষ্প কমল দহল প্রচণ্ড। তার ডাকেই বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী ধর্মঘট পালিত হয়। এ ব্যাপারে এনপিসি নেতা বিষ্ণু রিজাল বার্তাসংস্থা এএফপি’কে জানিয়েছেন, পার্লামেন্ট বুইলুপ্ত করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার একক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সকল রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই তাদেরকে রাজপথে নামতে হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানাচ্ছে, ধর্মঘটের কারণে নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক এলাকার দোকানপাট বন্ধ ছিল। এছাড়াও নেপালের পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় জড়ো হয়ে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ ব্যাপারে পুলিশের মুখপাত্র বসন্ত বাহাদুর কুনওয়ার জানিয়েছেন, পুলিশের কাজে বাধার সৃষ্টি এবং সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৭৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে, আন্দোলনকারীরা বলছেন, মোট ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে।