০৫:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের পথে শষ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধ

শষ্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর অবয়ব ফুটিয়ে তোলার কার্যক্রম ‘শষ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার পথে রয়েছে। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) ‘শষ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এ কার্যক্রমের আহ্বায়ক ও প্রধান সমন্বয়ক এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ হ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। ধানের চারায় জাতির জনকের চিত্র ফুটিয়ে তোলার কাজ চলছে বগুড়ার শিবগঞ্জের শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামে। যা ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শস্য চিত্র’ হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নিতে পারবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’ দুই মাস আগে ১০৫ বিঘা জমিতে এই কাজের প্রস্তুতি শুরু করে। কোনো নেতার গিনেস বুকের ‘লার্জেস্ট ক্রপ ফিল্ড মোজাইক (ইমেজ)’ শাখার নতুন রেকর্ড হবে এটি। বর্তমানে রেকর্ডটি চীনের দখলে। ১৯১৯ সালে ৭৯ হাজার ৫০৫.১৯ বর্গমিটার আয়তনের জমিতে চার রঙের ধানের চারায় কাউ ফিশের ছবি ফুটিয়ে তুলে সাংহাইয়ের লেজিদাও টুরিজম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিডেট ওই রেকর্ড গড়েছিল। সভায় কৃষিবিদ বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ইতোমধ্যে সকল শষ্য রোপণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আগামী দশ দিনের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর মুখচ্ছবি সেখানে দৃশ্যমান হবে। আর একুশে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই গিনেজ কর্তৃপক্ষকে সকল ডকুমেন্টরি পাঠানো হবে। আশা করছি ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মদিনে আমরা নতুন এ বিশ্ব রেকর্ড অর্জন এবং উদযাপন করতে পারব। তিনি বলেন, আমরা এ কার্যক্রম অনেক আগে শুরু করেছি। বিদেশ থেকে বীজ এনেছি। গিনেজ কর্তৃপক্ষ নির্দেশিত পথে আমরা চলছি। পূর্বের সকল রেকর্ড সম্পর্কে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। আমাদের আয়োজন বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং কোনো নেতার প্রথম এতবড় মুখচ্ছবি। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাসীর কাছে আমরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ আয়োজন স্মরণীয় করে রাখতে চাই। আমরা মুজিববর্ষে সেরা প্রোগ্রাম করতে চাই। বঙ্গবন্ধু যে প্রান্তিক মানুষের নেতা, ক্ষুধামুক্ত জনগণের নেতা, সেটা প্রমাণ করতে চাই। ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার জানিয়েছে, বিএনসিসির ১০০ জন সদস্য এবং ৫০ জন শ্রমিক-কর্মচারী বৃহস্পতিবার চারা রোপন সম্পন্ন করেছেন। এসব কার্যক্রমে খরচ হবে প্রায় দেড় কোটি টাকা। চীন থেকে বেগুনি ধান এবং দেশীয় সবুজ জনকরাজ ধানের চারা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর অবয়ব দৃশ্যমান করা হবে। ধান পাকার পর গোঁফ, চোখ, চুল, ভ্রু খয়েরি আর অন্য অংশ সোনালী রঙের হবে। উপর থেকে মাঠের মধ্যে স্পষ্ট প্রতিকৃতি দেখা যাবে। আগামী দশ দিন পর থেকেই অনেকটা দৃশ্যমান হবে মুখচ্ছবিটি। মতবিনিময় সভায় কৃষকলীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দসহ শষ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত কৃষি সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১২ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা জরিমানা

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের পথে শষ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধ

প্রকাশিত : ১২:০১:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

শষ্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর অবয়ব ফুটিয়ে তোলার কার্যক্রম ‘শষ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার পথে রয়েছে। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) ‘শষ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এ কার্যক্রমের আহ্বায়ক ও প্রধান সমন্বয়ক এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ হ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। ধানের চারায় জাতির জনকের চিত্র ফুটিয়ে তোলার কাজ চলছে বগুড়ার শিবগঞ্জের শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামে। যা ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শস্য চিত্র’ হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নিতে পারবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’ দুই মাস আগে ১০৫ বিঘা জমিতে এই কাজের প্রস্তুতি শুরু করে। কোনো নেতার গিনেস বুকের ‘লার্জেস্ট ক্রপ ফিল্ড মোজাইক (ইমেজ)’ শাখার নতুন রেকর্ড হবে এটি। বর্তমানে রেকর্ডটি চীনের দখলে। ১৯১৯ সালে ৭৯ হাজার ৫০৫.১৯ বর্গমিটার আয়তনের জমিতে চার রঙের ধানের চারায় কাউ ফিশের ছবি ফুটিয়ে তুলে সাংহাইয়ের লেজিদাও টুরিজম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিডেট ওই রেকর্ড গড়েছিল। সভায় কৃষিবিদ বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ইতোমধ্যে সকল শষ্য রোপণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আগামী দশ দিনের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর মুখচ্ছবি সেখানে দৃশ্যমান হবে। আর একুশে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই গিনেজ কর্তৃপক্ষকে সকল ডকুমেন্টরি পাঠানো হবে। আশা করছি ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মদিনে আমরা নতুন এ বিশ্ব রেকর্ড অর্জন এবং উদযাপন করতে পারব। তিনি বলেন, আমরা এ কার্যক্রম অনেক আগে শুরু করেছি। বিদেশ থেকে বীজ এনেছি। গিনেজ কর্তৃপক্ষ নির্দেশিত পথে আমরা চলছি। পূর্বের সকল রেকর্ড সম্পর্কে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। আমাদের আয়োজন বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং কোনো নেতার প্রথম এতবড় মুখচ্ছবি। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাসীর কাছে আমরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ আয়োজন স্মরণীয় করে রাখতে চাই। আমরা মুজিববর্ষে সেরা প্রোগ্রাম করতে চাই। বঙ্গবন্ধু যে প্রান্তিক মানুষের নেতা, ক্ষুধামুক্ত জনগণের নেতা, সেটা প্রমাণ করতে চাই। ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার জানিয়েছে, বিএনসিসির ১০০ জন সদস্য এবং ৫০ জন শ্রমিক-কর্মচারী বৃহস্পতিবার চারা রোপন সম্পন্ন করেছেন। এসব কার্যক্রমে খরচ হবে প্রায় দেড় কোটি টাকা। চীন থেকে বেগুনি ধান এবং দেশীয় সবুজ জনকরাজ ধানের চারা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর অবয়ব দৃশ্যমান করা হবে। ধান পাকার পর গোঁফ, চোখ, চুল, ভ্রু খয়েরি আর অন্য অংশ সোনালী রঙের হবে। উপর থেকে মাঠের মধ্যে স্পষ্ট প্রতিকৃতি দেখা যাবে। আগামী দশ দিন পর থেকেই অনেকটা দৃশ্যমান হবে মুখচ্ছবিটি। মতবিনিময় সভায় কৃষকলীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দসহ শষ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত কৃষি সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।