০১:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খোকসা কালীপূজায় পূজা দিতে আসা পুণ্যার্থীদের মূল্যবান সম্পদ চুরি

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী কালীপূজায় পুণ্যার্থীরা সর্বস্ব হারিয়ে বাড়ি ফিরছে।  এমন অভিযোগ মনসা দিতে আসা পুণ্যার্থীদের, শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার বিসর্জনের আগ পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন পুণ্যার্থী মনসা দিতে গিয়ে নিজেদের স্বর্ণের গলার হার , দামি মোবাইল ফোন, কানের দুল সহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ ছিনতায়ের শিকার হয়েছেন।  ক্ষতিগ্রস্ত পুণ্যার্থী এ সকল ব্যক্তিরা পূজা উদযাপন কমিটির কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি।  পূজা উদযাপন কমিটি ও প্রশাসনের উদাসীনতায় দুষ্ট চক্র সুপরিকল্পিতভাবে মূল মন্দির প্রাঙ্গণ ও মন্দিরের ভেতরেও ছিনতায়ের মতন কার্যক্রম পরিচালিত করেছে।  যদিও পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে মন্দির এলাকায় সংরক্ষিত ও সিসি ক্যামেরার আওতায়।  অথচ একাধিক মৌখিক ও লিখিত  অভিযোগ থানায় জমা দিলেও পূজা উদযাপন কমিটি ও পুলিশ প্রশাসন কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি। 
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দ মোঃ আশিকুর রহমান বলেন, চুরি ছিনতাইয়ের কয়েকটি ঘটনা জেনেছি।  তাৎক্ষণিক অভিযানে দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।  তারা বেদে সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ছিনতাই হওয়া তিন জন মহিলার মধ্যে খোকসা বিষ্ণুপ্রিয়া (৬০), মাগুরা শ্রীপুর থানার উন্নতি দেউড়ি (৪৫) ও কুমারখালী উপজেলার ধলনগর গ্রামের কৃষ্ণ মালতি (৬২) উক্ত শ্যামপুরের তাপসী শর্মা  ক্ষতিগ্রস্ত তিনজন  মৌখিক ও কিছু লিখিত অভিযোগ করেছে থানা ও পূজা উদযাপন কমিটির কাছে।  এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তেমন কোনো প্রতিকার তারা পায়নি বলে জানিয়েছেন।  ক্ষতিগ্রস্থ বিষ্ণুপ্রিয়া (৬০) এর ছেলে খোকসা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি রঞ্জন ভৌমিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মন্দিরের গর্ভগৃহে এ ধরনের ঘটনা মোটেই গ্রহন যোগ্য না এটা কমিটির উদাসীনতারই বহি:প্রকাশ।
অপরদিকে কালীবাড়ি পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি ।
পনে ৬’শ বছরের ঐতিহ্য বহনকারী খোকসা কালীবাড়ি পূজা উদযাপনে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও বিগত বছর থেকে তার ব্যতিক্রম হচ্ছে।  দূর-দুরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা মনসা দিতে এসে নিজেদের মূল্যবান সম্পদ ও অলংকার হারিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও ধিক্কার জানিয়ে কালিবাড়ি ত্যাগ করেন।
পূজা উদযাপন কমিটি  ও পুলিশ প্রসাশনের এমন উদাসীনতায় আগামীতে কালী পূজা কতটুকু পুণ্যার্থীরা আসবে সেটাই এখন বিবেচ্য বিষয়।
ট্যাগ :
জনপ্রিয়

দ্বিতীয়বারের মতো মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের খেতাব জিতলেন মিথিলা

খোকসা কালীপূজায় পূজা দিতে আসা পুণ্যার্থীদের মূল্যবান সম্পদ চুরি

প্রকাশিত : ০৮:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী কালীপূজায় পুণ্যার্থীরা সর্বস্ব হারিয়ে বাড়ি ফিরছে।  এমন অভিযোগ মনসা দিতে আসা পুণ্যার্থীদের, শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার বিসর্জনের আগ পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন পুণ্যার্থী মনসা দিতে গিয়ে নিজেদের স্বর্ণের গলার হার , দামি মোবাইল ফোন, কানের দুল সহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ ছিনতায়ের শিকার হয়েছেন।  ক্ষতিগ্রস্ত পুণ্যার্থী এ সকল ব্যক্তিরা পূজা উদযাপন কমিটির কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি।  পূজা উদযাপন কমিটি ও প্রশাসনের উদাসীনতায় দুষ্ট চক্র সুপরিকল্পিতভাবে মূল মন্দির প্রাঙ্গণ ও মন্দিরের ভেতরেও ছিনতায়ের মতন কার্যক্রম পরিচালিত করেছে।  যদিও পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে মন্দির এলাকায় সংরক্ষিত ও সিসি ক্যামেরার আওতায়।  অথচ একাধিক মৌখিক ও লিখিত  অভিযোগ থানায় জমা দিলেও পূজা উদযাপন কমিটি ও পুলিশ প্রশাসন কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি। 
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দ মোঃ আশিকুর রহমান বলেন, চুরি ছিনতাইয়ের কয়েকটি ঘটনা জেনেছি।  তাৎক্ষণিক অভিযানে দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।  তারা বেদে সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ছিনতাই হওয়া তিন জন মহিলার মধ্যে খোকসা বিষ্ণুপ্রিয়া (৬০), মাগুরা শ্রীপুর থানার উন্নতি দেউড়ি (৪৫) ও কুমারখালী উপজেলার ধলনগর গ্রামের কৃষ্ণ মালতি (৬২) উক্ত শ্যামপুরের তাপসী শর্মা  ক্ষতিগ্রস্ত তিনজন  মৌখিক ও কিছু লিখিত অভিযোগ করেছে থানা ও পূজা উদযাপন কমিটির কাছে।  এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তেমন কোনো প্রতিকার তারা পায়নি বলে জানিয়েছেন।  ক্ষতিগ্রস্থ বিষ্ণুপ্রিয়া (৬০) এর ছেলে খোকসা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি রঞ্জন ভৌমিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মন্দিরের গর্ভগৃহে এ ধরনের ঘটনা মোটেই গ্রহন যোগ্য না এটা কমিটির উদাসীনতারই বহি:প্রকাশ।
অপরদিকে কালীবাড়ি পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি ।
পনে ৬’শ বছরের ঐতিহ্য বহনকারী খোকসা কালীবাড়ি পূজা উদযাপনে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও বিগত বছর থেকে তার ব্যতিক্রম হচ্ছে।  দূর-দুরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা মনসা দিতে এসে নিজেদের মূল্যবান সম্পদ ও অলংকার হারিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও ধিক্কার জানিয়ে কালিবাড়ি ত্যাগ করেন।
পূজা উদযাপন কমিটি  ও পুলিশ প্রসাশনের এমন উদাসীনতায় আগামীতে কালী পূজা কতটুকু পুণ্যার্থীরা আসবে সেটাই এখন বিবেচ্য বিষয়।