হবিগঞ্জের হাওর এলাকায় ধান কাটা শ্রমিকদের উৎসাহ যোগাতে তাদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বিরাট হাওরের কৃষকরা জানিয়েছেন, গত বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ওই হাওরে যান জেলা প্রশাসক। সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধান কাটা শ্রমিকদের সারি সারি করে বসিয়ে প্রত্যেককে চাল, ডাল, পাউরুটি ও বিস্কুটসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দেন তিনি।
এ মৌসুমে হবিগঞ্জের হাওর এলাকায় প্রায় ৪৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে ধান কাটা শ্রমিক সংকটের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন কৃষকরা। তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন ডিসি ও এসপি। তারা শ্রমিক সংগ্রহ করে দেন কৃষকদের। বর্তমানে হবিগঞ্জের হাওরগুলোতে প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক ধান কাটছেন। এসব শ্রমিকদের উৎসাহ দিতে ও তাদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে মাঝে মাঝে হাওর এলাকায় যাচ্ছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
করোনাভাইরাসের কারণে একদিকে দিনমজুর, রিকশা-ঠেলাগাড়ির চালক, রেঁস্তোরাকর্মীসহ খেটে খাওয়া মানুষরা বেকার হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে, মানুষ ঘরবন্দি থাকায় ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছিলেন না কৃষকরা। তাই ঘরে বসে থাকা প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে ধান কাটার কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করেছে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এই ১৫ হাজার মানুষ হাওর এলাকায় গিয়ে কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছেন। বিনিময়ে তারা একদিকে কৃষকের কাছ থেকে মজুরি পাচ্ছেন, অন্যদিক জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে মিলছে ত্রাণ সহায়তা। ধান কাটতে বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের আহ্বানে প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক ধান কাটায় নিয়োজিত হয়েছেন। এর বাইরে হাজারো স্বেচ্ছাসেবী এ কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান