প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনায় বিপাকে পুরো বিশ্ব, অধিক জনবহুল বাংলাদেশেও লকডাউন থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়ছে খেটে খাওয়া মানুষজন। নুন আনতে পানতা ফুরানো মানুষগুলোকে অভাব -অনটনে পার করতে হচ্ছে দিন।
পাশাপাশি এমন দূর্যোগকালীন সময়ে অনেক দরিদ্র পিতা-মাতা অর্থ সংকটে থাকাতে পুষ্টিহীনতা ভুগছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা।
ঠিক এমন মুহূত্বে মানবিকতার প্রত্যয় নিয়ে ৬ মাস থেকে ২ বছরের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের জান্নাতুন নাঈমা আকন্দ জানা নামের এক শিক্ষার্থী।
শনিবার ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় নিজ উদ্যোগে এসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে তুলে দিয়েছেন প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। শিশুদের প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী উপহার পেয়ে উপকৃত হয়েছেন শিশুদের অভিভাবকরাও।
সংকটময় মুহূর্ত্বে শিশুদের পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য বলে মনে করে জান্নাতুন নাঈমা জানান,বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীতে থমকে গেছে সকল কিছু। সবথেকে সমস্যায় দিন পার করছে হতদরিদ্র মানুষগুলো। এই দুর্দিনে মহামারির আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। তারা খাদ্য ও পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তারা সুস্থ না থাকলে আমাদের এই সোনার বাংলার ভিত্তিটাই দুর্বল থেকে যাবে। এদের বাবা- মা যেখানে কাজ না পেয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে সেখানে নতুন করে হাজার -হাজার শিশু পুষ্টিহীনতায় ভুগছে এই মহামারির কবলে পড়ে। প্রতিনিয়ত এই বাঙ্গালি জাতির ভাগ্যাকাশে নতুন এক ঝড়ের হুশিয়ারি দিচ্ছে। তাই নিজের জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব আমি এবং আমার এলাকার ছোট ভাই, বোনরা মিলে এই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা ফুলের মত শিশুদের পাঁশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি সামনে আরো চেষ্টা করে যাব। সকলকে অনুরোধ আপনারাও আপনাদের আশে- পাশের সকল সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়ান।
প্রসঙ্গত, জান্নাতুন নাঈমা আকন্দ জানা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে সুবিধা বঞ্চিত বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করছেন।
বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক