০৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাভারে বন্যায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

সাভারে বন্যার পানি বেড়ে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে; তলিয়ে গেছে আঞ্চলিক সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

এছাড়া সাভারের বংশী ও তুরাগ নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে সাভার-আশুলিয়া-ধামরাইয়ের (ঢাকা বিভাগ-২) পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বরত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাহাত রশিদ জানান।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই তুরাগ ও বংশী নদীর পানি বাড়ছে; বৃহস্পতিবার তুরাগ নদীর পানি বিপদ সীমার ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয।অন্যদিকে বংশী নদীর পানি বিপদ সীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া খাল-বিল ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাভারে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, রাস্তা-ঘাট, বসতবাড়ি, বাজার, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি, মাছের ঘের ও পুকুরসহ বিভিন্ন স্থাপনা তলিয়ে যাচ্ছে বলে জানান রশিদ।

সাভার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে বন্যায় পানিবন্দিদের দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। পানিতে যাদের বাড়ি-ঘর তলিয়েছে তারা কোনোমতে রাতদিন যাপন করছে।

এছাড়া শিল্পাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় বিভিন্ন বাসা বাড়ি ও শ্রমিক কলোনিসহ রাস্তাঘাটে কলকারখানার বর্জ্য মিশ্রিত বিষাক্ত পানিতে চলাচল করতে গিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক নাসিমা আক্তার বলেন, “বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘরের ভেতরে হাঁটু পানি। ছোট বাচ্চাকে বাড়িতে রেখে কারখানায় যেতে হয়। পানি আরেকটু বৃদ্ধি পেলে পড়তে হবে মহা বিপদে। তখন বাচ্চাকেই দেখবে কে? আর থাকবোই বা কোথায়।”

বন্যায় সাভার উপজেলার শিমুলিয়া, ধামসোনা, পাথালিয়া, তেতুঁলঝোড়া ও বনগাঁও ইউনিয়নের কৃষকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিয়াত আহমেদ জানান।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

আমি কুমিল্লার মানুষের হৃদয়ে নাম লিখতে চাই : নবাগত জেলা প্রশাসক

সাভারে বন্যায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত : ০৪:২৫:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০

সাভারে বন্যার পানি বেড়ে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে; তলিয়ে গেছে আঞ্চলিক সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

এছাড়া সাভারের বংশী ও তুরাগ নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে সাভার-আশুলিয়া-ধামরাইয়ের (ঢাকা বিভাগ-২) পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বরত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাহাত রশিদ জানান।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই তুরাগ ও বংশী নদীর পানি বাড়ছে; বৃহস্পতিবার তুরাগ নদীর পানি বিপদ সীমার ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয।অন্যদিকে বংশী নদীর পানি বিপদ সীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া খাল-বিল ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাভারে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, রাস্তা-ঘাট, বসতবাড়ি, বাজার, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি, মাছের ঘের ও পুকুরসহ বিভিন্ন স্থাপনা তলিয়ে যাচ্ছে বলে জানান রশিদ।

সাভার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে বন্যায় পানিবন্দিদের দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। পানিতে যাদের বাড়ি-ঘর তলিয়েছে তারা কোনোমতে রাতদিন যাপন করছে।

এছাড়া শিল্পাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় বিভিন্ন বাসা বাড়ি ও শ্রমিক কলোনিসহ রাস্তাঘাটে কলকারখানার বর্জ্য মিশ্রিত বিষাক্ত পানিতে চলাচল করতে গিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক নাসিমা আক্তার বলেন, “বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘরের ভেতরে হাঁটু পানি। ছোট বাচ্চাকে বাড়িতে রেখে কারখানায় যেতে হয়। পানি আরেকটু বৃদ্ধি পেলে পড়তে হবে মহা বিপদে। তখন বাচ্চাকেই দেখবে কে? আর থাকবোই বা কোথায়।”

বন্যায় সাভার উপজেলার শিমুলিয়া, ধামসোনা, পাথালিয়া, তেতুঁলঝোড়া ও বনগাঁও ইউনিয়নের কৃষকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিয়াত আহমেদ জানান।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর