০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

পরিবারে সবাই প্রতিবন্ধি, মাথা গোঁজার ঠাই নেই

শাহাদত মন্ডল শারীরিক প্রতিবন্ধি। বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়েছেন। কাজ করতে পারেন না। তারপরেও পরিবারের অপর ৩ প্রতিবন্ধি সদস্যদের জন্য কাজ করতে হয়। ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুু উপজেলার ৪নং দৌলতপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের একই পরিবারে ৪ জন প্রতিবিন্ধ রয়েছে। সবার প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড থাকলেও রাতে মাথাগোঁজার ঠাই নেই। ভাঙ্গাচোরা বাড়িতে তাদের বসবাস।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে শাহাদত মন্ডলের ছেলে শহিদুল ইসলাম, খালা হাসিরন নেছা ও ছোটখালা কুলসুম সবাই প্রতিবন্ধি। এদের মধ্যে একজন শারীরিক ও তিনজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধি। শাহাদত মন্ডল জানান, আমি একজন অসহায় গরিব মানুষ। ঠিকমত চলতে পারি না। পায়ে সমস্যা। নিরুপাই হয়ে খোড়া পা নিয়ে ভ্যানগাড়ী চালিয়ে সংসার চালাতাম। বয়সের ভারে তাও পারি না। এখন ঝুড়ি বুনিয়ে সংসার চালাতে হয়। ঝুড়ি বিক্রি না হলে অনাহারে দিন কাটে। তিনি বলেন আমার দৈনিক আয় দুই শত টাকা। বর্তমান বাজারে এই টাকা দিয়ে কিছুই হয় না। ফলে খুব কষ্ট আমার দিন কাটে। তিনি বলেন আমার কোন ঘরবাড়ী নেই। শুনেছি প্রধানমন্ত্রী অসহায় মানুষের বাড়ী তৈরী করে দিচ্ছেন। যদি তিনি একটি আমার ঘর করে দিতেন তবে এই প্রতিবন্ধীদের নিয়ে বাকী জীবনটা পার করতাম।

শাহাদত মন্ডল জানান, আমার পরিবারে আমিসহ চারজন প্রতিবন্ধী। এর মধ্যে শহিদুল, হাষিরণ ও কুলসুম সরকার থেকে ভাতা পায়। তাদের টাকা দিয়ে সংসার চলে। পরিবারটির ভাষ্য, অনেক সচ্ছল পরিবারকে সরকারী ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ আমাদের ঘর হয় না। আমরা টাকা দিতে পারি না বলে আমাদের কেও ঘর করে দেয় না বলে প্রতিবন্ধি পরিবারটি মনে করেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সৈয়দা নাফিস সুলতানা জানান, ঘটনাটি আসলেই মর্মান্তিক। একই পরিবারে চারজন প্রতিবন্ধি এটা আমার জানা ছিল না। তিনি বলেন এই পরবিারের কথা কেও আমাকে বলেনি। তিনি খোঁজ নিয়ে ঘর করে দিবেন বলে জানান।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

লালমনিরহাটে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের গ্রাহক সমাবেশ

পরিবারে সবাই প্রতিবন্ধি, মাথা গোঁজার ঠাই নেই

প্রকাশিত : ০৪:৫৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০

শাহাদত মন্ডল শারীরিক প্রতিবন্ধি। বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়েছেন। কাজ করতে পারেন না। তারপরেও পরিবারের অপর ৩ প্রতিবন্ধি সদস্যদের জন্য কাজ করতে হয়। ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুু উপজেলার ৪নং দৌলতপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের একই পরিবারে ৪ জন প্রতিবিন্ধ রয়েছে। সবার প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড থাকলেও রাতে মাথাগোঁজার ঠাই নেই। ভাঙ্গাচোরা বাড়িতে তাদের বসবাস।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে শাহাদত মন্ডলের ছেলে শহিদুল ইসলাম, খালা হাসিরন নেছা ও ছোটখালা কুলসুম সবাই প্রতিবন্ধি। এদের মধ্যে একজন শারীরিক ও তিনজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধি। শাহাদত মন্ডল জানান, আমি একজন অসহায় গরিব মানুষ। ঠিকমত চলতে পারি না। পায়ে সমস্যা। নিরুপাই হয়ে খোড়া পা নিয়ে ভ্যানগাড়ী চালিয়ে সংসার চালাতাম। বয়সের ভারে তাও পারি না। এখন ঝুড়ি বুনিয়ে সংসার চালাতে হয়। ঝুড়ি বিক্রি না হলে অনাহারে দিন কাটে। তিনি বলেন আমার দৈনিক আয় দুই শত টাকা। বর্তমান বাজারে এই টাকা দিয়ে কিছুই হয় না। ফলে খুব কষ্ট আমার দিন কাটে। তিনি বলেন আমার কোন ঘরবাড়ী নেই। শুনেছি প্রধানমন্ত্রী অসহায় মানুষের বাড়ী তৈরী করে দিচ্ছেন। যদি তিনি একটি আমার ঘর করে দিতেন তবে এই প্রতিবন্ধীদের নিয়ে বাকী জীবনটা পার করতাম।

শাহাদত মন্ডল জানান, আমার পরিবারে আমিসহ চারজন প্রতিবন্ধী। এর মধ্যে শহিদুল, হাষিরণ ও কুলসুম সরকার থেকে ভাতা পায়। তাদের টাকা দিয়ে সংসার চলে। পরিবারটির ভাষ্য, অনেক সচ্ছল পরিবারকে সরকারী ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ আমাদের ঘর হয় না। আমরা টাকা দিতে পারি না বলে আমাদের কেও ঘর করে দেয় না বলে প্রতিবন্ধি পরিবারটি মনে করেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সৈয়দা নাফিস সুলতানা জানান, ঘটনাটি আসলেই মর্মান্তিক। একই পরিবারে চারজন প্রতিবন্ধি এটা আমার জানা ছিল না। তিনি বলেন এই পরবিারের কথা কেও আমাকে বলেনি। তিনি খোঁজ নিয়ে ঘর করে দিবেন বলে জানান।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর