০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সিরাজুল হক আলমগীর

টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হক আলমগীর আসন্ন টাঙ্গাইল পৌরসভার পৌর মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

টাঙ্গাইল পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হক আলমগীর তৃনমূলে জনপ্রিয় এবং অন্যতম যোগ্য প্রার্থী।

তিনি টাঙ্গাইল সদর পৌরসভার (১৫নং) ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সিরাজুল হক আলমগীর শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষক আলহাজ হাফেজ রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র। তিনি ১৯৭০ সনে এস এস সি এবং তার ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে ১৯৮০ সালে অর্থনীতিতে এবং ৮২ সালে ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে এম.এ কৃতিত্বের সাথে শেষ করেন। বর্তমানে তিনি রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলাসহ জেলা আওয়ামী রাজনীতিতে রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি। দলের মধ্যেও তাকে নিয়ে তেমন কোন বিভক্তি নেই। অনেক আওয়ামী লীগ নেতাই মনে করেন বহুধাবিভক্ত আওয়ামী লীগের ভরসাস্থল তিনিই। তিনি দলীয় মনোনয়ন পেলে টাঙ্গাইল পৌরসভার উন্নয়ন হবে। দলীয় যেসকল ছোট খাটো বিরোধ রয়েছে তা অনেকটাই কেটে যাবে বলে জানান দলের মাঠ পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী।

রাজনৈতিকভাবে সিরাজুল হক আলমগীর ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৬৯-৭০ সালে তিনি শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৭০-৭২ সাল পর্যন্ত টাঙ্গাইল শহর ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর ১৯৭২-৭৩ সালে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক এবং পরে ১৯৭৬-৭৯ সালে জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও পরে ১৯৭৯-৮১ সালে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিগত ১৯৮১-৮২ সালে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ১৯৮৫-৯২ সাল পর্যন্ত শহর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
পরবর্তীতে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি যুগ্ম সম্পাদক ও একই সাল থেকে আজ পর্যন্ত তিনি শহর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি ১৯৯২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত¦ও পালন করেছেন।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে হামলা মামলা ও কারাবরণ করেছেন তিনি। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় ২ মাস কারাবরণ করেন তিনি। ১৯৭৬ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১ম শাহাদত বার্ষিকীতে জেলায় প্রথম বঙ্গবন্ধুর ছবি সংম্বলিত পোস্টার লাগানো ও দেয়াল লিখনের ফলে পুলিশী হয়রানী ও দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকতে হয় তাকে।

১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে বিএনপি’র সন্ত্রাসীদের হামলায় নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান।
১৯৮১-৮২ সালে স্বৈরাচার সামরিক সরকারের সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তদের দ্বারা একাধিকবার হামলার শিকার হন তিনি।
১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে মিছিলের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশি নির্যাতনে হাতের দুটি আঙুল ভেঙে যায় ফলে র্দীঘদিন চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাকে। বিগত ২০০৭ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার পতনের আন্দোলন ও ওয়ান ইলেভেনের সময় টাঙ্গাইল জেলায় আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গসংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক হিসেবে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন এই তৃনমূলের ত্যাগী নেতা সিরাজুল হক আলমগীর। টাঙ্গাইলের রাজপথে তার এই তীব্র আন্দোলনের চাপের মুখে পড়ে সেই সময়ে খালেদা জিয়া সিরাজগঞ্জ থেকে নির্ধারিত গতিপথ পরিবর্তন করে পাবনা হয়ে ঢাকা যেতে বাধ্য হন।

১/১১ এর সামরিক শাষন চলমান সময়ে সময় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের র্দীঘদিনের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল নিজস্ব উৎস হতে পরিশোধ করেন এবং সেই সাথে অফিসের বিদ্যুত বিল নিয়মিত পরিশোধের দ্বায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন তিনি।

আওয়ামী লীগের এই ত্যাগী নেতা সিরাজুল হক আলমগীর টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগ অফিসের জমি ক্রয় করার সময় এক লক্ষ টাকা প্রদানসহ অফিসের দাপ্তরিক রুম নির্মাণ, পানির টিউবয়েল স্থাপন, ওয়াশরুমসহ যাবতীয় নির্মাণ কাজ পরিচালনা করেন ।

বিগত দিনগুলোতে তার এই বর্ণাঢ্য আওয়ামী রাজনীতির মাঠে সর্বদা বিচরন ও ত্যাগের উপর ভর করেই আসন্ন টাঙ্গাইল পৈৗরসভা নির্বাচনে আ.লীগ থেকে নৈৗকা প্রতীক প্রাপ্তির প্রার্থী সিরাজুল হক আলমগীর বলেন, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও উপজেলা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করতে সভা-সমাবেশসহ নির্বাচনী সকল কার্যক্রম সক্রিয়ভাবে পরিচালনা করেছি। তিনি আক্ষেপ করে এও বলেন, বর্তমান মেয়র ও তৎকালীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা জামিলুর রহমান মিরণের নেতৃত্বে আমার মোটরসাইকেলের শো-রুম সন্ত্রাসীরা ভাংচুর করে। দুঃখজনক হলেও সত্য, সেই মিরন আজকে দল কর্তৃক মনোনিত হয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র হয়েছে।

২০১৯ সালের ২২ জুলাই মাসব্যাপী আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সমাপনী মিছিলে আমার নেতৃত্বে বিশাল মিছিল করেছি এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা মিছিল শেষে আমার উপর হামলা চালায়। এতে আমি মারাত্মকভাবে আহত হই। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। এতো জুলুম নির্যাতনের পরেও থেমে যাননি বরং প্রানের সংগঠন আওয়ামী লীগের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতেও পিছপা হবেন না বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সিরাজুল হক আলমগীর তৃণমূলের সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের জনমানুষের সাথে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইল শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদ, টাঙ্গাইল পুরাতন বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ, লায়ন্স ক্লাব অব টাঙ্গাইল, টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, জেলা মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি বোয়ালী হোসাইনী জামিয়া মাদ্রাসা, টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, টাঙ্গাইল শহর সমাজসেবা উন্নয়ন সমন্বয় পরিষদের সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও টাঙ্গাইল চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনসহ তিনি মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের গভনিং বডি, জেলা শিল্পকলা একাডেমির এডহক কমিটি, এফবিসিসিআই এর সাধারণ পরিষদ, জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি, জেলা এলজিএসপি, জেলা অপরাধ দমন ও সংশোধন কমিটি এবং জেলা বাস-কোচ মালিক সমিতির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি করোনেশন ড্রামাটিক ক্লাব, সাধারণ গ্রন্থাগার ও কেন্দ্রীয় গোরস্থান কমিটির কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি টাঙ্গাইল চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক, এলিট ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা ব্যবসায়ী ঐক্যজোটের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সিরাজুল হক আলমগীর আরও বলেন, আমার সততা আছে, আছে বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও সততা নিয়ে শেখ হাসিনীর নির্দেশনায় ট্ঙ্গাাইল পৌরবাসীর কল্যান ও শান্তির সংস্কৃতি এবং শান্তির জনপথ গড়ে তুলতে চাই।
আওয়ামী লীগ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা আসন্ন টাঙ্গাইল পৌরসভা নির্বাচনে তাকে আ’লীগ থেকে দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন দিলে টাঙ্গাইলে আওয়ামীলীগ এবং আ’লীগের সকল অঙ্গ ও সহযোগ সংগঠনেরী নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করবে এবং সেই সাথে তিনি বর্তমানে পৌরসভার জনমানুষের বিভিন্ন দুর্ভোগ লাঘব করে একটি সুন্দর আধুনিক তিলোওমা নগরী গড়ে তুলবো যার মাধ্যমে পৌরবাসীর সকল নাগরিক সুযোগ সুবিধা এবং সর্বস্তরের মানুষের সম্মান ও মর্যাদা সমন্বত রেখে উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ ইএম

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

পিরোজপুরে ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিতে হত্যা মামলায় ২ আসামী গ্রেপ্তার

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সিরাজুল হক আলমগীর

প্রকাশিত : ০৫:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০

টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হক আলমগীর আসন্ন টাঙ্গাইল পৌরসভার পৌর মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

টাঙ্গাইল পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হক আলমগীর তৃনমূলে জনপ্রিয় এবং অন্যতম যোগ্য প্রার্থী।

তিনি টাঙ্গাইল সদর পৌরসভার (১৫নং) ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সিরাজুল হক আলমগীর শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষক আলহাজ হাফেজ রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র। তিনি ১৯৭০ সনে এস এস সি এবং তার ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে ১৯৮০ সালে অর্থনীতিতে এবং ৮২ সালে ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে এম.এ কৃতিত্বের সাথে শেষ করেন। বর্তমানে তিনি রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলাসহ জেলা আওয়ামী রাজনীতিতে রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি। দলের মধ্যেও তাকে নিয়ে তেমন কোন বিভক্তি নেই। অনেক আওয়ামী লীগ নেতাই মনে করেন বহুধাবিভক্ত আওয়ামী লীগের ভরসাস্থল তিনিই। তিনি দলীয় মনোনয়ন পেলে টাঙ্গাইল পৌরসভার উন্নয়ন হবে। দলীয় যেসকল ছোট খাটো বিরোধ রয়েছে তা অনেকটাই কেটে যাবে বলে জানান দলের মাঠ পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী।

রাজনৈতিকভাবে সিরাজুল হক আলমগীর ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৬৯-৭০ সালে তিনি শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৭০-৭২ সাল পর্যন্ত টাঙ্গাইল শহর ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর ১৯৭২-৭৩ সালে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক এবং পরে ১৯৭৬-৭৯ সালে জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও পরে ১৯৭৯-৮১ সালে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিগত ১৯৮১-৮২ সালে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ১৯৮৫-৯২ সাল পর্যন্ত শহর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
পরবর্তীতে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি যুগ্ম সম্পাদক ও একই সাল থেকে আজ পর্যন্ত তিনি শহর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি ১৯৯২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত¦ও পালন করেছেন।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে হামলা মামলা ও কারাবরণ করেছেন তিনি। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় ২ মাস কারাবরণ করেন তিনি। ১৯৭৬ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১ম শাহাদত বার্ষিকীতে জেলায় প্রথম বঙ্গবন্ধুর ছবি সংম্বলিত পোস্টার লাগানো ও দেয়াল লিখনের ফলে পুলিশী হয়রানী ও দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকতে হয় তাকে।

১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে বিএনপি’র সন্ত্রাসীদের হামলায় নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান।
১৯৮১-৮২ সালে স্বৈরাচার সামরিক সরকারের সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তদের দ্বারা একাধিকবার হামলার শিকার হন তিনি।
১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে মিছিলের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশি নির্যাতনে হাতের দুটি আঙুল ভেঙে যায় ফলে র্দীঘদিন চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাকে। বিগত ২০০৭ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার পতনের আন্দোলন ও ওয়ান ইলেভেনের সময় টাঙ্গাইল জেলায় আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গসংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক হিসেবে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন এই তৃনমূলের ত্যাগী নেতা সিরাজুল হক আলমগীর। টাঙ্গাইলের রাজপথে তার এই তীব্র আন্দোলনের চাপের মুখে পড়ে সেই সময়ে খালেদা জিয়া সিরাজগঞ্জ থেকে নির্ধারিত গতিপথ পরিবর্তন করে পাবনা হয়ে ঢাকা যেতে বাধ্য হন।

১/১১ এর সামরিক শাষন চলমান সময়ে সময় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের র্দীঘদিনের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল নিজস্ব উৎস হতে পরিশোধ করেন এবং সেই সাথে অফিসের বিদ্যুত বিল নিয়মিত পরিশোধের দ্বায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন তিনি।

আওয়ামী লীগের এই ত্যাগী নেতা সিরাজুল হক আলমগীর টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগ অফিসের জমি ক্রয় করার সময় এক লক্ষ টাকা প্রদানসহ অফিসের দাপ্তরিক রুম নির্মাণ, পানির টিউবয়েল স্থাপন, ওয়াশরুমসহ যাবতীয় নির্মাণ কাজ পরিচালনা করেন ।

বিগত দিনগুলোতে তার এই বর্ণাঢ্য আওয়ামী রাজনীতির মাঠে সর্বদা বিচরন ও ত্যাগের উপর ভর করেই আসন্ন টাঙ্গাইল পৈৗরসভা নির্বাচনে আ.লীগ থেকে নৈৗকা প্রতীক প্রাপ্তির প্রার্থী সিরাজুল হক আলমগীর বলেন, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও উপজেলা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করতে সভা-সমাবেশসহ নির্বাচনী সকল কার্যক্রম সক্রিয়ভাবে পরিচালনা করেছি। তিনি আক্ষেপ করে এও বলেন, বর্তমান মেয়র ও তৎকালীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা জামিলুর রহমান মিরণের নেতৃত্বে আমার মোটরসাইকেলের শো-রুম সন্ত্রাসীরা ভাংচুর করে। দুঃখজনক হলেও সত্য, সেই মিরন আজকে দল কর্তৃক মনোনিত হয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র হয়েছে।

২০১৯ সালের ২২ জুলাই মাসব্যাপী আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সমাপনী মিছিলে আমার নেতৃত্বে বিশাল মিছিল করেছি এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা মিছিল শেষে আমার উপর হামলা চালায়। এতে আমি মারাত্মকভাবে আহত হই। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। এতো জুলুম নির্যাতনের পরেও থেমে যাননি বরং প্রানের সংগঠন আওয়ামী লীগের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতেও পিছপা হবেন না বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সিরাজুল হক আলমগীর তৃণমূলের সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের জনমানুষের সাথে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইল শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদ, টাঙ্গাইল পুরাতন বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ, লায়ন্স ক্লাব অব টাঙ্গাইল, টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, জেলা মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি বোয়ালী হোসাইনী জামিয়া মাদ্রাসা, টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, টাঙ্গাইল শহর সমাজসেবা উন্নয়ন সমন্বয় পরিষদের সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও টাঙ্গাইল চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনসহ তিনি মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের গভনিং বডি, জেলা শিল্পকলা একাডেমির এডহক কমিটি, এফবিসিসিআই এর সাধারণ পরিষদ, জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি, জেলা এলজিএসপি, জেলা অপরাধ দমন ও সংশোধন কমিটি এবং জেলা বাস-কোচ মালিক সমিতির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি করোনেশন ড্রামাটিক ক্লাব, সাধারণ গ্রন্থাগার ও কেন্দ্রীয় গোরস্থান কমিটির কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি টাঙ্গাইল চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক, এলিট ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা ব্যবসায়ী ঐক্যজোটের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সিরাজুল হক আলমগীর আরও বলেন, আমার সততা আছে, আছে বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও সততা নিয়ে শেখ হাসিনীর নির্দেশনায় ট্ঙ্গাাইল পৌরবাসীর কল্যান ও শান্তির সংস্কৃতি এবং শান্তির জনপথ গড়ে তুলতে চাই।
আওয়ামী লীগ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা আসন্ন টাঙ্গাইল পৌরসভা নির্বাচনে তাকে আ’লীগ থেকে দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন দিলে টাঙ্গাইলে আওয়ামীলীগ এবং আ’লীগের সকল অঙ্গ ও সহযোগ সংগঠনেরী নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করবে এবং সেই সাথে তিনি বর্তমানে পৌরসভার জনমানুষের বিভিন্ন দুর্ভোগ লাঘব করে একটি সুন্দর আধুনিক তিলোওমা নগরী গড়ে তুলবো যার মাধ্যমে পৌরবাসীর সকল নাগরিক সুযোগ সুবিধা এবং সর্বস্তরের মানুষের সম্মান ও মর্যাদা সমন্বত রেখে উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ ইএম