০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

স্ত্রী-শ্যালিকাকে ‘বিধবা’ দেখিয়ে ভাতা নিচ্ছেন মেম্বার

ফেনীতে স্ত্রী ও শ্যালিকার নামে বিধবা ভাতা, ছেলের নামে প্রতিবন্ধী ভাতাসহ স্বজনদের নামে ভুয়া তথ্য দিয়ে সরকারি বিভিন্ন ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ইউপি মেম্বারের নাম কামরুজ্জামান মজুমদার। তিনি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে দরবারপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্যপদে নির্বাচিত হন কামরুজ্জামান মজুমদার। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, শালিস বাণিজ্যসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে চালু হওয়া সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তহবিলের বিভিন্ন তালিকা যাচাই করে দেখা যায়, ইউপি সদস্য কামরুজ্জামানের স্ত্রী সালমা তাহিনুরের নামে রয়েছে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা কার্ড। তার ছেলে নাহিদুল হাসানের রয়েছে প্রতিবন্ধী ভাতা। শ্যালিকা উম্মে রুমান ও উম্মে কুলসুম দাম্পত্য জীবনে সুখে-স্বাচ্ছন্দে থাকলেও তাদের নামে মাসিক হারে উত্তোলন হচ্ছে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতার ভাতা। বউয়ের বড় ভাই আনিসুজ্জামানের নামেও রয়েছে প্রতিবন্ধী ভাতা। এছাড়াও শ্বশুর নুরুজ্জামান ও শাশুড়ি আয়েশা আক্তার ভোগ করছেন বয়স্ক ভাতা।
স্থানীয়দের অভিযোগ সরকারী সুযোগ-সুবিধা বন্টণে এই ইউপি সদস্য তার পরিবার ও স্বজনদের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

ট্যাগ :

বিএফআইইউ প্রধানের ‘ভিডিও ফাঁস’ বিশেষজ্ঞদের দাবি এআই দারা নির্মিত ষড়যন্ত্র

স্ত্রী-শ্যালিকাকে ‘বিধবা’ দেখিয়ে ভাতা নিচ্ছেন মেম্বার

প্রকাশিত : ১২:০০:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ফেনীতে স্ত্রী ও শ্যালিকার নামে বিধবা ভাতা, ছেলের নামে প্রতিবন্ধী ভাতাসহ স্বজনদের নামে ভুয়া তথ্য দিয়ে সরকারি বিভিন্ন ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ইউপি মেম্বারের নাম কামরুজ্জামান মজুমদার। তিনি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে দরবারপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্যপদে নির্বাচিত হন কামরুজ্জামান মজুমদার। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, শালিস বাণিজ্যসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে চালু হওয়া সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তহবিলের বিভিন্ন তালিকা যাচাই করে দেখা যায়, ইউপি সদস্য কামরুজ্জামানের স্ত্রী সালমা তাহিনুরের নামে রয়েছে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা কার্ড। তার ছেলে নাহিদুল হাসানের রয়েছে প্রতিবন্ধী ভাতা। শ্যালিকা উম্মে রুমান ও উম্মে কুলসুম দাম্পত্য জীবনে সুখে-স্বাচ্ছন্দে থাকলেও তাদের নামে মাসিক হারে উত্তোলন হচ্ছে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতার ভাতা। বউয়ের বড় ভাই আনিসুজ্জামানের নামেও রয়েছে প্রতিবন্ধী ভাতা। এছাড়াও শ্বশুর নুরুজ্জামান ও শাশুড়ি আয়েশা আক্তার ভোগ করছেন বয়স্ক ভাতা।
স্থানীয়দের অভিযোগ সরকারী সুযোগ-সুবিধা বন্টণে এই ইউপি সদস্য তার পরিবার ও স্বজনদের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।