০৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতে বোমারু মিজানের ২৯ বছরের কারাদণ্ড

দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে ঘোষণা করা হলো খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার রায়। এই হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ জাহিদুল ইসলাম ওরফে শেখ কাওসার ওরফে বোমারু মিজানকে ২৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভারতের একটি আদালত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতোমধ্যে ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। তাদের মধ্যে ৩০ জনের সাজা ঘোষণা হয়েছে আগেই, বাকি ছিলেন কাওসার। বুধবার ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) বিশেষ আদালত শেখ কাওসারকে দেশদ্রোহিতা, বিস্ফোরক আইন ও বিদেশি আইনের ধারায় মোট ২৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন, পাশাপাশি ২৯ হাজার রুপি জরিমানাও করা হয়েছে তাকে। ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বর্ধমানের খাগড়াগড়। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কাওসার ওরফে বোমারু মিজানকে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে গ্রেফতার করে এনআইএ। ২০১৫ সালে বুদ্ধ গয়া বিস্ফোরণ কাণ্ডেও হাত ছিল তার। তদন্তে উঠে আসে, কাওসার বাংলাদেশের নাগরিক এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) অন্যতম শীর্ষ নেতা। তিনি বোমা ও আইইডি তৈরিতে ওস্তাদ। খাগড়াগড়ে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ কাওসারই দিয়েছিলেন। সেখানকার বোমা মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে পাচারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তার। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরপরই বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন কাওসার। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে মনে করে আবারো ভারতে চলে যান জেএমবির এ নেতা। এরপরই বেঙ্গালুরুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ফাঁদে ধরা পড়েন তিনি। তার সন্ধানের জন্য সেসময় ১০ লাখ রুপি পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল এনআইএ।

ট্যাগ :

৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে 

ভারতে বোমারু মিজানের ২৯ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত : ১২:০১:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে ঘোষণা করা হলো খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার রায়। এই হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ জাহিদুল ইসলাম ওরফে শেখ কাওসার ওরফে বোমারু মিজানকে ২৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভারতের একটি আদালত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতোমধ্যে ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। তাদের মধ্যে ৩০ জনের সাজা ঘোষণা হয়েছে আগেই, বাকি ছিলেন কাওসার। বুধবার ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) বিশেষ আদালত শেখ কাওসারকে দেশদ্রোহিতা, বিস্ফোরক আইন ও বিদেশি আইনের ধারায় মোট ২৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন, পাশাপাশি ২৯ হাজার রুপি জরিমানাও করা হয়েছে তাকে। ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বর্ধমানের খাগড়াগড়। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কাওসার ওরফে বোমারু মিজানকে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে গ্রেফতার করে এনআইএ। ২০১৫ সালে বুদ্ধ গয়া বিস্ফোরণ কাণ্ডেও হাত ছিল তার। তদন্তে উঠে আসে, কাওসার বাংলাদেশের নাগরিক এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) অন্যতম শীর্ষ নেতা। তিনি বোমা ও আইইডি তৈরিতে ওস্তাদ। খাগড়াগড়ে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ কাওসারই দিয়েছিলেন। সেখানকার বোমা মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে পাচারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তার। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরপরই বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন কাওসার। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে মনে করে আবারো ভারতে চলে যান জেএমবির এ নেতা। এরপরই বেঙ্গালুরুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ফাঁদে ধরা পড়েন তিনি। তার সন্ধানের জন্য সেসময় ১০ লাখ রুপি পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল এনআইএ।