১২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

বিয়ের শর্তে ধর্ষকের জামিন

ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এক আলোচিত বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আবু আহসান হাবিবের নির্দেশে ও বিয়ের শর্তে জামিন লাভ করেন নাজমুল হোসেন নামে এক ধর্ষণ মামলার আসামী। ছেলে ও মেয়ের আত্মীয় স্বজন ও উভয় পক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতিতে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন আসামী পক্ষের আইনজীবী আমিনুর ইসলাম নুরুল। তিনি জানান, গত বছরের জানুয়ারী মাসে ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর পাড়ার জাহিদ বিশ্বাসের ছেলে নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়। মামলায় বলা হয় পবহাটী গ্রামের আজিজুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনকে প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে পাশবিক নির্যাতন করে নাজমুল। এই মামলা আসামী কারাগারে ছিলেন। এক বছর এক মাস পর ধর্ষিতার সঙ্গে ধর্ষকের বিয়ের শর্তে জামিন লাভ করেন নাজমুল। জামিনের পরে আদালতেই কাজী মুফতি আরিফ বিল্লাহর উপস্থিতিতে তিন লাখ টাকার দেন মোহরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিষয়টি নিয়ে সরকার পক্ষের আইনজীবী (পিপি) এড ইসমাইল হোসেন খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিয়ের পর খাওয়া দাওয়া শেষে কন্যা জামাইকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠানো হয়। এ ধরণের বিয়ে ঝিনাইদহের আদালতে এই প্রথম বলে আইনজীবীরা জানান।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

বিয়ের শর্তে ধর্ষকের জামিন

প্রকাশিত : ১২:০০:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এক আলোচিত বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আবু আহসান হাবিবের নির্দেশে ও বিয়ের শর্তে জামিন লাভ করেন নাজমুল হোসেন নামে এক ধর্ষণ মামলার আসামী। ছেলে ও মেয়ের আত্মীয় স্বজন ও উভয় পক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতিতে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন আসামী পক্ষের আইনজীবী আমিনুর ইসলাম নুরুল। তিনি জানান, গত বছরের জানুয়ারী মাসে ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর পাড়ার জাহিদ বিশ্বাসের ছেলে নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়। মামলায় বলা হয় পবহাটী গ্রামের আজিজুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনকে প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে পাশবিক নির্যাতন করে নাজমুল। এই মামলা আসামী কারাগারে ছিলেন। এক বছর এক মাস পর ধর্ষিতার সঙ্গে ধর্ষকের বিয়ের শর্তে জামিন লাভ করেন নাজমুল। জামিনের পরে আদালতেই কাজী মুফতি আরিফ বিল্লাহর উপস্থিতিতে তিন লাখ টাকার দেন মোহরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিষয়টি নিয়ে সরকার পক্ষের আইনজীবী (পিপি) এড ইসমাইল হোসেন খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিয়ের পর খাওয়া দাওয়া শেষে কন্যা জামাইকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠানো হয়। এ ধরণের বিয়ে ঝিনাইদহের আদালতে এই প্রথম বলে আইনজীবীরা জানান।