১২:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন ৩০২ কেজি ওজনের মাখন মিয়া

অস্বাভাবিক ওজন নিয়ে জীবন যুদ্ধে হেরে অবশেষে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাখন মিয়া। মৃত্যুকালে তার ওজন ছিল ৩০২ কেজি। মাত্র ৪০ বছর বয়সে জীবনের ইতি টানেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মাখন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলের মিলন মিয়ার ছেলে। মাখন মিয়া জীবনের শুরুতে ওজন স্বাভাবিক থাকলেও পরে ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। মৃত্যুকালে তার ওজন দাঁড়ায় ৩০২ কেজি। অস্বাভাবিক এই ওজন নিয়ে দীর্ঘদিন মানবেতর জীবন কাটিয়ে ছিল মাখন মিয়া। মাখন মিয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে মাখন মিয়া প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। ২০ বছর বয়স পর্যন্ত স্বাভাবিকই ছিলেন মাখন মিয়া। এরপর থেকে বাড়তে থাকে তার শরীরের ওজন। শেষ পর্যন্ত তার ওজন ৩০২ কেজিতে দাঁড়ায়। অস্বাভাবিক ওজনের কারণে ব্যাহত হচ্ছিল তার চিকিৎসা। চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে গিয়ে এখন নিঃস্ব মাখন মিয়ার পরিবার। দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাই ছিল কষ্টকর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মাখন গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার ওজনের কারণে হাসপাতালের ভেতরে জরুরী বিভাগে ঢুকানো সম্ভব হয়নি। হাসপাতালের গেইটেই তাকে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। মাখনের শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা ছিল। ইসিজি করার কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু নিশ্চিত হয়।’

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন ৩০২ কেজি ওজনের মাখন মিয়া

প্রকাশিত : ১২:০০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

অস্বাভাবিক ওজন নিয়ে জীবন যুদ্ধে হেরে অবশেষে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাখন মিয়া। মৃত্যুকালে তার ওজন ছিল ৩০২ কেজি। মাত্র ৪০ বছর বয়সে জীবনের ইতি টানেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মাখন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলের মিলন মিয়ার ছেলে। মাখন মিয়া জীবনের শুরুতে ওজন স্বাভাবিক থাকলেও পরে ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। মৃত্যুকালে তার ওজন দাঁড়ায় ৩০২ কেজি। অস্বাভাবিক এই ওজন নিয়ে দীর্ঘদিন মানবেতর জীবন কাটিয়ে ছিল মাখন মিয়া। মাখন মিয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে মাখন মিয়া প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। ২০ বছর বয়স পর্যন্ত স্বাভাবিকই ছিলেন মাখন মিয়া। এরপর থেকে বাড়তে থাকে তার শরীরের ওজন। শেষ পর্যন্ত তার ওজন ৩০২ কেজিতে দাঁড়ায়। অস্বাভাবিক ওজনের কারণে ব্যাহত হচ্ছিল তার চিকিৎসা। চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে গিয়ে এখন নিঃস্ব মাখন মিয়ার পরিবার। দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাই ছিল কষ্টকর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মাখন গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার ওজনের কারণে হাসপাতালের ভেতরে জরুরী বিভাগে ঢুকানো সম্ভব হয়নি। হাসপাতালের গেইটেই তাকে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। মাখনের শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা ছিল। ইসিজি করার কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু নিশ্চিত হয়।’