০৩:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

কাউন্সিলর পদে আ.লীগের ৬ বিএনপির ১ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতায়

পৌরসভা নির্বাচনে যশোরের কেশবপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৭ জন প্রার্থীর প্রচারণায় নির্বাচনী মাঠ সরগরম হয়ে উঠেছে। এই ওয়ার্ডে আ.লীগের ৬ জন ও বিএনপি থেকে ১ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী।
কেশবপুর শহরের পূর্বদিকে বালিয়াডাঙ্গা উত্তর ও ব্রহ্মকাটি এলাকা নিয়ে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড গঠিত। কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ ওয়ার্ডে অবস্থিত হওয়ায় এটি গুরুত্বপূর্ণ। এই ওয়ার্ডের মোট ভোটার ২ হাজার ৩‘শ ৬ জন। বর্তমান সরকারের সময়ে এ ওয়ার্ডে পাকা রাস্তা, আরসিসি ঢালাই রাস্তা, ড্রেনসহ অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এ ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান কাউন্সিলর মফিজুর রহমান (উটপাখি), সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল হালিম মোড়ল (ডালিম), ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল গফুর মোড়ল (ব্লাকবোর্ড), মিজানুর রহমান দফাদার (পাত্র), সেলিম খান (টেবিল ল্যাম্প), শেখ আমিনুর রহমান (বোতল), মফিদুল ইসলাম খন্দকার (ব্রিজ)। এরমধ্যে আ.লীগ থেকে বর্তমান কাউন্সিলর মফিজুর রহমান ও বিএনপি থেকে সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল হালিম মোড়লকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারী আ.লীগের এক বর্ধিক সভায় অন্য প্রার্থীদের মনোনয়পত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু এ ঘোষণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জোনেসোরেই নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিদ্রোহী প্রার্থীদের দাপটে কোনঠাসা হবার উপক্রম হয়েছে দলীয় প্রার্থীর। এ অবস্থা চলতে থাকলে এ ওয়ার্ডে আ.লীগের প্রার্থীর ভরাডুবির আশঙ্কা করছেন সচেতন ভোটাররা। এ ব্যাপারে বিএনপির মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হালিম মোড়ল বলেন, তিনি ইতিপূর্বে ২ বার ওই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়ে রাস্তা, মন্দির, শ্মশানের উন্নয়ন করেছেন। করোনাভাইরাস ও আম্ফানে মানুষের সাহায্য সহযোগিতা করেছেন বলেই ভোটারদের কাছে তার একনও সমান গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এছাড়া তার পিতা হাজি লস্কর মোড়ল ছিলেন একজন দানবীর ব্যক্তি। তাদের দানের ১৬ বিঘা জমির ওপর কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। ভোট সুষ্ঠু হলে তার বিজয় সুনিশ্চিত। বর্তমান কাউন্সিলর মফিজুর রহমান বলেন, তার ওয়ার্ডে ইতোপূর্বে কোন পাকা রাস্তা ছিল না। তিন কাউন্সিলর হয়ে অসংখ্য পাকা রাস্তা করেছেন। জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে কাজ করেছেন। দল যেহেতু আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে সেহেতু আওয়ামীলীগের ভোটাররা বিদ্রোহীদের ভোট দেবে না বলে তিনি আশাবাদি। ভোটে তার বিজয় সুনিশ্চিত।

ট্যাগ :

বিএফআইইউ প্রধানের ‘ভিডিও ফাঁস’ বিশেষজ্ঞদের দাবি এআই দারা নির্মিত ষড়যন্ত্র

কাউন্সিলর পদে আ.লীগের ৬ বিএনপির ১ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতায়

প্রকাশিত : ১২:০০:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

পৌরসভা নির্বাচনে যশোরের কেশবপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৭ জন প্রার্থীর প্রচারণায় নির্বাচনী মাঠ সরগরম হয়ে উঠেছে। এই ওয়ার্ডে আ.লীগের ৬ জন ও বিএনপি থেকে ১ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী।
কেশবপুর শহরের পূর্বদিকে বালিয়াডাঙ্গা উত্তর ও ব্রহ্মকাটি এলাকা নিয়ে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড গঠিত। কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ ওয়ার্ডে অবস্থিত হওয়ায় এটি গুরুত্বপূর্ণ। এই ওয়ার্ডের মোট ভোটার ২ হাজার ৩‘শ ৬ জন। বর্তমান সরকারের সময়ে এ ওয়ার্ডে পাকা রাস্তা, আরসিসি ঢালাই রাস্তা, ড্রেনসহ অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এ ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান কাউন্সিলর মফিজুর রহমান (উটপাখি), সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল হালিম মোড়ল (ডালিম), ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল গফুর মোড়ল (ব্লাকবোর্ড), মিজানুর রহমান দফাদার (পাত্র), সেলিম খান (টেবিল ল্যাম্প), শেখ আমিনুর রহমান (বোতল), মফিদুল ইসলাম খন্দকার (ব্রিজ)। এরমধ্যে আ.লীগ থেকে বর্তমান কাউন্সিলর মফিজুর রহমান ও বিএনপি থেকে সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল হালিম মোড়লকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারী আ.লীগের এক বর্ধিক সভায় অন্য প্রার্থীদের মনোনয়পত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু এ ঘোষণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জোনেসোরেই নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিদ্রোহী প্রার্থীদের দাপটে কোনঠাসা হবার উপক্রম হয়েছে দলীয় প্রার্থীর। এ অবস্থা চলতে থাকলে এ ওয়ার্ডে আ.লীগের প্রার্থীর ভরাডুবির আশঙ্কা করছেন সচেতন ভোটাররা। এ ব্যাপারে বিএনপির মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হালিম মোড়ল বলেন, তিনি ইতিপূর্বে ২ বার ওই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়ে রাস্তা, মন্দির, শ্মশানের উন্নয়ন করেছেন। করোনাভাইরাস ও আম্ফানে মানুষের সাহায্য সহযোগিতা করেছেন বলেই ভোটারদের কাছে তার একনও সমান গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এছাড়া তার পিতা হাজি লস্কর মোড়ল ছিলেন একজন দানবীর ব্যক্তি। তাদের দানের ১৬ বিঘা জমির ওপর কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। ভোট সুষ্ঠু হলে তার বিজয় সুনিশ্চিত। বর্তমান কাউন্সিলর মফিজুর রহমান বলেন, তার ওয়ার্ডে ইতোপূর্বে কোন পাকা রাস্তা ছিল না। তিন কাউন্সিলর হয়ে অসংখ্য পাকা রাস্তা করেছেন। জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে কাজ করেছেন। দল যেহেতু আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে সেহেতু আওয়ামীলীগের ভোটাররা বিদ্রোহীদের ভোট দেবে না বলে তিনি আশাবাদি। ভোটে তার বিজয় সুনিশ্চিত।