১২:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

নড়াইলে গৃহবধূ মর্জিনা বেগম বীথি হত্যার দায়ে তার স্বামী মো. ফোরকান উদ্দিনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সি মো. মশিউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় মৃত্যুদ-ে দ-িত করে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন তিনি।

মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি ফোরকান উদ্দিন ওরফে সাকিল খান পিরোজপুরের তেজদাকাটি গ্রামের মৃত তোফায়েল উদ্দিন খানের ছেলে ।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মর্জিনা বেগম ও ফোরকান উদ্দিন লোহাগড়া উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের খলির শেখের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ফোরকান লক্ষ্মীপাশার মিথুন হোটেলে বাবুর্চির কাজ করতেন।

মর্জিনার আগের ঘরের পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলে ছিল। সেও তাদের সঙ্গেই থাকত।

২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর মর্জিনা রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পর দিন সকালে বাড়ির মালিক খলির শেখ তার ভাড়া ঘরে মর্জিনার রক্তাক্ত দেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়।

পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এর পর ভুক্তভোগীর ছেলে শিশু মো. মোস্তাফিজুর (০৫) বলেন, ফোরকান মাকে বঁটি-ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

এর পর অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠানো হয়। সিআইডি ফোরকানকে গ্রেফতার করে। সিআইডি পেনাল কোডে ৩০২ ধারায় অভিযোগ দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

ট্যাগ :

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

প্রকাশিত : ১২:০১:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১

নড়াইলে গৃহবধূ মর্জিনা বেগম বীথি হত্যার দায়ে তার স্বামী মো. ফোরকান উদ্দিনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সি মো. মশিউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় মৃত্যুদ-ে দ-িত করে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন তিনি।

মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি ফোরকান উদ্দিন ওরফে সাকিল খান পিরোজপুরের তেজদাকাটি গ্রামের মৃত তোফায়েল উদ্দিন খানের ছেলে ।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মর্জিনা বেগম ও ফোরকান উদ্দিন লোহাগড়া উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের খলির শেখের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ফোরকান লক্ষ্মীপাশার মিথুন হোটেলে বাবুর্চির কাজ করতেন।

মর্জিনার আগের ঘরের পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলে ছিল। সেও তাদের সঙ্গেই থাকত।

২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর মর্জিনা রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পর দিন সকালে বাড়ির মালিক খলির শেখ তার ভাড়া ঘরে মর্জিনার রক্তাক্ত দেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়।

পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এর পর ভুক্তভোগীর ছেলে শিশু মো. মোস্তাফিজুর (০৫) বলেন, ফোরকান মাকে বঁটি-ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

এর পর অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠানো হয়। সিআইডি ফোরকানকে গ্রেফতার করে। সিআইডি পেনাল কোডে ৩০২ ধারায় অভিযোগ দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।