০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

বাঁশখালীর পুঁইছড়ি সড়কের বেহাল দশা

বাঁশখালী উপজেলার ১১নম্বর পুঁইছড়ি ইউনিয়ন গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে পড়া একটি জনপদ। এখনো পুঁইছড়ির অধিকাংশ অভ্যন্তরীণ সড়ক কাঁচামাটির। পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ১০ হাজার মানুষের চলাচল করা ৩ কিলোমিটার সড়ক অর্ধপাকা ও কাঁচা। এই সড়কটি এলাকার মানুষের জনদূর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, বিগত ২০০২ সালে ৩ কিলোমিটারের সড়কটির ১ কিলোমিটার পরিমাণ পাকা ইট বসলেও তাও এখন নড়বড়ে। ধুলাবালির কাঁচামাটির সড়কটিই এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়া সড়ক দিয়ে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নিত্যদিন। বাদশা সাওদাগরের দোকান থেকে বটতলিশিয়া পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উদ্যোগে ২০১৮-১৯’ অর্থ বছরে বটতলিশিয়া ঘোনা সংলগ্ন সড়কে একটি ব্রিজ নির্মিত হলেও স্থানীয় ভূমিদস্যুরা ব্রিজের গোড়া থেকে মাটি কেটে সড়ক থেকে ব্রিজকে আলাদা করে ফেলে। গ্রামীণ মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা কাঁচামালটির সড়কটি ভূমিদস্যুদের কবলে পড়ে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক চলাচল। ৪ থেকে ৫শত বসতঘরের একমাত্র ভরসা কাঁচামাটির এই সড়কটির উন্নয়নে এলাকাবাসীদের সমস্যার কথা শুনেনি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিরা এমন অভিযোগের তীর স্থানীয়দের।

স্থানীয় রোটারিয়ান মুবিনুল হক মুবিন বলেন, ‘আমাদের পুঁইছড়ি ইউনিয়ন একটি অবহেলিত জনপদ। এখনো এখানকার অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক কাঁচামাটির। বর্ষায় কাদামাটিতে অতীব কষ্টে চলাচল করে এলাকার লোকজন। গ্রীষ্মে ধুলাবালির নরকযন্ত্রণা নিয়ে পাড়ি দেয় পথ। ৪ থেকে ৫শত বসতঘরের প্রায় ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শামশিয়াঘোনা-বটতলিশিয়া সংলগ্ন সড়কটি। সড়ক সংলগ্ন ব্রিজের গোড়া থেকে মাটি কেটে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার সংস্কৃতি খুবই দুঃখজনক। অচিরেই জনদূর্ভোগ লাঘবে সড়কের সংস্কার করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের নিকট আমার আকুল দাবী রইলো।’

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য শেয়ার আলীবলেন- ‘আমার পুঁইছড়ি এলাকাটি এখনো পিছিয়ে পড়া জনপদের কাতারে। আমার নির্বাচনী এলাকার এ সড়কটির বেহাল অবস্থা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের গাফিলতির কারণে এ সড়কটি এখনো সংস্কারের মুখ দেখেনি। এমনিতেই সড়কের বেহালদশা, তার উপর দিয়ে ভূমিদস্যুরা প্রতিনিয়ত পাহাড় কেটে মাটিবোঝাই ডেম্পার চলাচল করার কারণে ধুলাবালির রাজ্যে পরিণত করেছে সড়কটিকে। ভূমিদস্যুরা নবনির্মিত ব্রিজের গোড়া থেকে মাটি কেটে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে করেছে আরও দুর্বিসহ। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় সাংসদের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

ট্যাগ :

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

বাঁশখালীর পুঁইছড়ি সড়কের বেহাল দশা

প্রকাশিত : ১২:০১:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বাঁশখালী উপজেলার ১১নম্বর পুঁইছড়ি ইউনিয়ন গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে পড়া একটি জনপদ। এখনো পুঁইছড়ির অধিকাংশ অভ্যন্তরীণ সড়ক কাঁচামাটির। পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ১০ হাজার মানুষের চলাচল করা ৩ কিলোমিটার সড়ক অর্ধপাকা ও কাঁচা। এই সড়কটি এলাকার মানুষের জনদূর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, বিগত ২০০২ সালে ৩ কিলোমিটারের সড়কটির ১ কিলোমিটার পরিমাণ পাকা ইট বসলেও তাও এখন নড়বড়ে। ধুলাবালির কাঁচামাটির সড়কটিই এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়া সড়ক দিয়ে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নিত্যদিন। বাদশা সাওদাগরের দোকান থেকে বটতলিশিয়া পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উদ্যোগে ২০১৮-১৯’ অর্থ বছরে বটতলিশিয়া ঘোনা সংলগ্ন সড়কে একটি ব্রিজ নির্মিত হলেও স্থানীয় ভূমিদস্যুরা ব্রিজের গোড়া থেকে মাটি কেটে সড়ক থেকে ব্রিজকে আলাদা করে ফেলে। গ্রামীণ মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা কাঁচামালটির সড়কটি ভূমিদস্যুদের কবলে পড়ে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক চলাচল। ৪ থেকে ৫শত বসতঘরের একমাত্র ভরসা কাঁচামাটির এই সড়কটির উন্নয়নে এলাকাবাসীদের সমস্যার কথা শুনেনি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিরা এমন অভিযোগের তীর স্থানীয়দের।

স্থানীয় রোটারিয়ান মুবিনুল হক মুবিন বলেন, ‘আমাদের পুঁইছড়ি ইউনিয়ন একটি অবহেলিত জনপদ। এখনো এখানকার অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক কাঁচামাটির। বর্ষায় কাদামাটিতে অতীব কষ্টে চলাচল করে এলাকার লোকজন। গ্রীষ্মে ধুলাবালির নরকযন্ত্রণা নিয়ে পাড়ি দেয় পথ। ৪ থেকে ৫শত বসতঘরের প্রায় ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শামশিয়াঘোনা-বটতলিশিয়া সংলগ্ন সড়কটি। সড়ক সংলগ্ন ব্রিজের গোড়া থেকে মাটি কেটে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার সংস্কৃতি খুবই দুঃখজনক। অচিরেই জনদূর্ভোগ লাঘবে সড়কের সংস্কার করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের নিকট আমার আকুল দাবী রইলো।’

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য শেয়ার আলীবলেন- ‘আমার পুঁইছড়ি এলাকাটি এখনো পিছিয়ে পড়া জনপদের কাতারে। আমার নির্বাচনী এলাকার এ সড়কটির বেহাল অবস্থা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের গাফিলতির কারণে এ সড়কটি এখনো সংস্কারের মুখ দেখেনি। এমনিতেই সড়কের বেহালদশা, তার উপর দিয়ে ভূমিদস্যুরা প্রতিনিয়ত পাহাড় কেটে মাটিবোঝাই ডেম্পার চলাচল করার কারণে ধুলাবালির রাজ্যে পরিণত করেছে সড়কটিকে। ভূমিদস্যুরা নবনির্মিত ব্রিজের গোড়া থেকে মাটি কেটে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে করেছে আরও দুর্বিসহ। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় সাংসদের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।