মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনবান্ধব নীতিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেকে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও কৃষকদের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছেন রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ‘ফেয়ার প্রাইস মুভমেন্টে’র চালকের আসনে এই উদ্ভাবনী ব্যাংকার। তাঁর উদ্ভাবিত কৃষি ঋণ মডেল আজ ব্যাংক খাতে অনুকরণীয়। এখানেই শেষ নয়; রূপালী ব্যাংককে নানা খাতে ঈর্ষণীয় সাফল্য এনে দিয়ে সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসিয়েছেন তিনি। নিজের কর্মপদ্ধতি, রূপালী ব্যাংক নিয়ে পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন আজকের বিজনেস বাংলাদেশ-এর সঙ্গে।
বিস্তারিত জানাচ্ছেন আজকের বিজনেস বাংলাদেশের প্রধান প্রতিবেদক তাকী জোবায়ের।
আমরা দেখেছি কৃষকের মাঝে আপনারা শূন্য সুদে ঋণ বিতরণ করছেন যা সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হয়েও কৃষকের মাঝে কিভাবে বিনা সুদের ঋণ বিতরণ করছেন?
ফেয়ার প্রাইস মুভমেন্ট নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে কথা বলে আসছি। আমরা যখন কাজ করতে গিয়েছি তখন দেখেছি, টমেটোর দাম এত কম যে ভাল দাম না পেয়ে তারা ফেলে দেয়। কারণ, এসব মৌসুমি সবজি বাজারে নিয়ে যেতে যে পরিবহন ব্যয় হয় সেই খরচও তারা উঠাতে পারেনা। তাই আমরা চিন্তা করলাম, বিপণন ব্যবস্থায় যদি কোন একটা উদ্যোগ নিতে পারি, মধ্যসত্তভোগীদের যদি সরিয়ে দিতে পারি, এবং সুদের একটা বোঝা আছে, এটা যদি কমিয়ে দিতে পারি, তাহলে ফেয়ার প্রাইস মুভমেন্টে একটা বড় ভূমিকা রাখা যায় এবং কৃষকরা ন্যায্য দামে তাদের পণ্য বিক্রি করার একটা বড় সুযোগ পায়। তখন আমরা একটা প্রোডাক্ট বের করলাম। আমরা কৃষি ঋণ বিভাগের সঙ্গে কথা বললাম, এমন একটা প্রোডাক্ট করা যায় কিনা যেখানে সুদের কোন বোঝা থাকবে না; ঋণটা শূন্য সুদে হবে। তখন কৃষি ঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে একটা ফর্মুলা বের করা হলো। আপনি যে বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কিভাবে শূন্য সুদে ঋণ দিতে পারে। বিষয়টা এরকম, যেসকল প্রতিষ্ঠান টমোটো থেকে ক্যাচাপ বানায় এরকম একটি প্রতিষ্ঠান প্রাণ গ্রুপকে খুঁজে বের করলাম এবং পাইলট প্রকল্পের জন্য আমরা নাটোর জেলাকে চিহ্নিত করলাম। এক থেকে দেড়শ টমেটো চাষীর মাঝে প্রায় ৬৩ লাখ টাকা বিতরণের প্রোগ্রাম করলাম। এখানে প্রোগ্রামটা হচ্ছে, আমরা সর্বশেষ ক্রেতাকে সরাসরি কৃষকের সঙ্গে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে নিয়ে আসলাম, যে কারণে এখানে কোন মধ্যসত্ত্বভোগী থাকলো না। এতে যারা কৃষি উদ্যোক্তা তারা একটা ভাল দাম পাচ্ছে। ৪ টাকার জায়গায় তারা ৫০ থেকে ৬০ টাকা প্রতি কেজি টমেটোতে পাচ্ছে। আবার ক্যাচাপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যেহেতু মধ্যসত্ত্বাভোগীর পরিবর্তে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে টমেটো পাচ্ছে তাই সেও ৮০ বা ৯০ টাকার টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে পাচ্ছে। ফলে যে ক্যাচাপ প্রতিষ্ঠান, সে যেহেতু কম দামে টমেটো পাচ্ছে, সে তখন ব্যাংককে সুদ দিতে রাজি হয়ে গেল। আমাদের ঋণ বিতরণকারী শাখাগুলো শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সুদ পাচ্ছে। অন্যদিকে কৃষকও একটা ভাল দাম পাচ্ছে। আবার শূন্য সুদের সুবিধাটাও ভোগ করছে।
করোনাকালে কৃষি দেশকে বাঁচাবো করোনা মহামারির সময় এই স্লোগানটা আপনাকে দিতে দেখা গেছে এবং কৃষি ও কৃষকদের নিয়ে মাঠে-ময়দানে আপনাদের কাজ করতে দেখা গেছে। করোনাকালে আপনারা কৃষিকে কেন বার বার প্রাধান্য দিয়েছেন?
কৃষিকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রেরণাটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকেই পাওয়া। এবং কৃষিমন্ত্রী মহোদয়ও এটা বার বার বলতেন। আমরা একটা জিনিস বিস্ময়করভাবে খেয়াল করেছি, করোনাতে প্রথম ধাক্কায় সকল শিল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কৃষি হচ্ছে একমাত্র খাত যেখানে এক ঘণ্টার জন্যও উৎপাদন বন্ধ থাকেনি। এর কারণ হচ্ছে, যুদ্ধাবস্থায় এবং মহামারি অবস্থায় খাদ্য এবং ওষুধের চাহিদা বন্ধ থাকেনা এবং উৎপাদনও বন্ধ থাকেনা। আরেকটা বিষয় হলো, করোনার সঙ্গে সূর্যালোক এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সম্পর্ক রয়েছে। মাঠে যারা কাজ করেন তাদের কায়িক পরিশ্রম বেশি এবং তারা রোদের মধ্যে থাকেন। ফলে তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক শক্তিশালী এবং তারা করোনায়ও কম আক্রান্ত হয়েছে। ফলে তারা সুস্থ অবস্থায়ই কৃষি কাজটি চালিয়ে যেতে পেরেছেন। এ কারণেই আমরা বলেছিলাম, অন্য কোন খাত না হলেও কৃষি কাত দেশটিকে বাঁচিয়ে দেবে। আমাদের জিডিপি’র হার টা দেখেন। আমরা বিস্ময়করভাবে লক্ষ্য করেছি, করোনাকালে অনেক দেশের জিডিপি মাইনাসে চলে গেছে। স্বাভাবিক অবস্থায় যেখানে আমাদের দেশের জিডিপি সাড়ে ৮ শতাংশ, সেখানে আমি ধারনা করেছিলাম করোনায় সাড়ে ৩ শতাংশ হবে। কিন্তু সেটা সাড়ে ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এর মূল কারণ কৃষি। কৃষি খাতের উৎপাদন এক দিনের জন্যও বন্ধ থাকেনি। কৃষির এই মহাসম্ভাবনার কারণেই করোনার শুরু থেকেই আমরা কৃষির ওপরে জোর দিয়েছি।
আমরা দেখেছি, ২০২০ সালে করোনা মহামারির মাঝেও রূপালী ব্যাংকের রেমিট্যান্স আয়ে ২৭৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে যা দেশের সকল ব্যাংকের মধ্যে সর্বোচ্চ। আপনারা প্রবাসীদের কিভাবে উদ্বুদ্ধ করলেন রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে বেশি বেশি টাকা পাঠাতে?
সোনালী ব্যাংক সহ পূর্বে আমি যেসব ব্যাংকের কাজ করেছি সেগুলোতে যা করেছিলাম, এখানেও তাই করেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল। আমাদের শাখার সংখ্যা অন্য অনেক ব্যাংকের তুলনায়ই বেশ কম। আমরা প্রতিটি ব্রাঞ্চকে একেকটি দূর্গ হিসেবে ধরে নিয়েছি। আমরাতো যুদ্ধ করতে যাচ্ছিনা। আমাদের যুদ্ধটা হচ্ছে বাণিজ্যিক, যুদ্ধটা হচ্ছে দেশের উন্নয়ন। আমাদের প্রতিটি শাখাকে মুনাফার কেন্দ্র হিসেবে এবং রেমিট্যান্স সংগ্রহ কেন্দ্র হিসেবে পরিণত করেছি। দ্বিতীয় বিষয় হলো, এই যে প্রতিটি শাখাতে আমরা দূর্গ গড়ে তুলেছি, প্রধান কার্যালয়ে রেমিট্যান্স বিভাগে যে টিম আছে তারা অসাধারণ কাজ করেছে। তাদের মধ্যে টিম স্পিরিট সৃষ্টি হয়েছে। এখানকার প্রতিটি কর্মীর মাঝে একটি করে এক্সচেঞ্জ হাউজ তদারকির দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী মহোদয় এবং রাষ্ট্রের একটি পদক্ষেপ ছিল রেমিটারদের জন্য; যারা রেমিট্যান্স পাঠাবে তাদেরকে ২ শতাংশ করে নগদ প্রণোদনা দেওয়া হবে। এটা বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। সরকারের এই ছোট একটি সিদ্ধান্ত করোনা মহামারির সময়ও দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে কাজ করেছে।
আইসিএমএবি সম্প্রতি রূপালী ব্যাংককে সেরা সরকারি ব্যাংকের স্বীকৃতি দিয়েছে। সীমিত সম্পদ নিয়ে কঠোর প্রতিযোগিতার বাজারে কিভাবে রূপালী ব্যাংককে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়ালেন?
এখানে আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে রূপালী ব্যাংকের জনবল। বিদেশে এটাকে ‘নন ফিন্যানশিয়াল অ্যাসেট’ বলে। আমরা বলি হিউম্যান রিসোর্স। এই নন ফিন্যানশিয়াল অ্যাসেট যদি আপনি বিবেচনা করেন, অন্য অনেক ব্যাংকের চেয়ে রূপালী ব্যাংকে তরুণ প্রজন্মের সদস্য সংখ্যা বেশি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেটা ঘটেছে, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট; অর্থাৎ বর্তমানে বাংলাদেশে কর্মক্ষম তরুণ প্রজন্মের সদস্য সংখ্যা বেশি। বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের নেতৃত্বে এখন তরুণ প্রজন্মের সদস্যরা। এবং রূপালী ব্যাংকের ক্ষেত্রে এটা সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য। আমি তরুণদের উদ্বুদ্ধ করেছি, প্রতিষ্ঠান বড় না ছোট এটা বিষয় নয়। আপনি যেটুকু কাজ করেন সেটা যদি নিষ্ঠার সঙ্গে করেন, আন্তরিকতার সঙ্গে করেন, তাহলে ভাল ফলাফল আসতে বাধ্য। আমরা সেটা পেয়েছি এই তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগিয়ে।
রূপালী ব্যাংক নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কি এবং ব্যাংকটিকে আপনি কোথায় নিয়ে যেতে চান বা কোন অবস্থানে দেখতে চান?
আমাদের রূপালী ব্যাংকের শাখা কম। আমরা জানি, শাখা যদি বাড়াই, তাহলে আমাদের আর্থিক অন্তর্ভূক্তি বাড়বে। আমরা আরও বেশি জনগণের কাছে যেতে পারবো। রাষ্ট্রের একটি সিদ্ধান্ত আছে, ব্যয় সংকোচ করার জন্য শাখা না করে উপ-শাখার অনুমোদন এখন দেওয়া হচ্ছে। আমাদের পরিকল্পনা, ‘রূপালী ব্যাংক মেলুক পাখা, শতবর্ষে শত শাখা’। আমরা শাখা যেহেতু পাবো না, তাই আমরা শত উপ-শাখা খুলবো। নতুন নতুন গ্রাহকের কাছে যাবো। যদিও আমরা কৃষি ব্যাংক না, আমরা বাণিজ্যিক ব্যাংক; তারপরও দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার কারণে কৃষি খাতের জন্য আমরা নতুন নতুন কনসেপ্ট দিয়ে যাবো। আপনারা জানেন, বান্দরবানে একটি এনজিওর মাধ্যমে আদাতে ঋণ দিয়েছি। ঘুর্নিঝড় আম্ফানের পর রাজশাহী অঞ্চলে আমরা আম চাষীদের ঋণ দিয়েছি। সেখানেও আমাদের খুব সুন্দর একটি স্লোগান আছে। ‘মধুমাসে ঝড়ুক মধু, ফলাও বেশি আম; মুকুল থেকে সকল স্তরে পাবে সঠিক দাম।’ এটাও একটা ‘ফেয়ার প্রাইস মুভমেন্ট’। এখানে আমরা ১০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছি এবং সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এসব ঋণের একটিও খেলাপি হয়নি। আমরা কৃষি ব্যাংকের মতো বেশি ঋণ দিতে পারবো না, কিন্তু দেশের জন্য কাজে লাগে এমন নতুন নতুন কনসেপ্ট দেব। আর আমরা আরও বেশি গ্রাহকের কাছে পৌঁছাব, এটা আমাদের দ্বিতীয় লক্ষ্য।
আপনি যখন ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেছেন তখনকার ব্যাংক ব্যবস্থা আর বর্তমান ব্যাংক ব্যবস্থার মধ্যে কোন পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে কি? এই বর্তমান ব্যাংকিং সিস্টেম নিয়ে আপনি খুশি কি না?
ব্যাংক ব্যবস্থায় বিরাট পরিবর্তন এসেছে। এখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ বারবার এসে যায়। তিনি যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন, আমরা তখন মনে করেছিলাম এটা নিছক একটা স্বপ্ন। ডিজিটাল বাংলাদেশ যদি কোথায় কায়েম হয়ে থাকে তাহলে সেটা ব্যাংক খাত। কোর ব্যাংকিং সিস্টেম ডিজিটালাইজড হয়েছে। রেমিট্যান্সের প্রসঙ্গটা এখানে এসেছে। আমি যখন অগ্রণী ব্যাংকের ফরেন রেমিট্যান্স বিভাগের দায়িত্বে ছিলাম তখন দেখেছি, ছেলেরা সারারাত বসে রেমিট্যান্সের ভাউচারগুলো লিখতো।
পরের দিন কুরিয়ার সার্ভিসের লোক আসতো। কাধের ব্যাগে ভাউচারগুলো ভরে নিত। ২/৩ দিন বসে সে ওগুলো মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিত। ছয়-সাত দিনের আগে কেউ রেমিট্যান্স পেত না। এখন প্রবাসীদের পাঠানো টাকা মুহূর্তের মধ্যে অ্যাকাউন্টে চলে আসে। যেহেতু কোর ব্যাংকিং আছে এবং বিদেশের রেমিট্যান্স হাউজগুলোর সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে। উত্তরায় যে ছেলেটা আছে যে কোন কারণে মতিঝিলের কোন শাখায় অ্যাকাউন্ট খুলেছে, তাকে টাকা তুলতে বা জমা দিতে উত্তরা থেকে মতিঝিলেই আসতে হতো। এখন ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের কারণে উত্তরা বসেই সে টাকাটা তুলে ফেলতে পারছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা দেশের জনগণ পাচ্ছে। বাসায় যারা কাজ করেন তাদের বেতনও ডিজিটাল মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে পারছি।
ব্যাংকিং সেবায় জনগণকে আরও বেশি অন্তর্ভূক্ত করতে কি করা উচিত?
ব্যাংকিং সেবা ইতোমধ্যে জনগণের দ্বোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। আরও বেশি মানুষকে ব্যাংকিং সেবায় অন্তর্ভূক্ত করতে আরও বেশি শাখা খুলতে হবে। আর নতুন নতুন প্রোগ্রাম দিতে হবে। কৃষিতে আমরা যেটা অনুভব করেছি, বড় ঋণগুলো বিতরণে আমরা যেভাবে সফল হয়েছি সেভাবে কৃষিতে এবং এসএমই’তে হইনি। এর কারণ হচ্ছে, সংখ্যা এবং টাকার স্বল্পতা। কৃষকের সংখ্যা অনেক বেশি। এত বেশি কৃষকের কাছে পৌঁছাতে হলে আপনার কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের কোন বিকল্প নেই। আমরা যে ২/৩ টি কাজ করেছি সবগুলোই কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের আওতায়। বান্দরবানে যে আদা ঋণটা দিচ্ছি সেখানে একাটি এনজিওর সাহায্য নিয়েছি। কারণ তাদের অনেক বড় নেটওয়ার্ক আছে। মিল্ক ভিটার মাধ্যমে দুগ্ধ খামারিদের ঋণ দিয়েছি। টমোটো চাষীদের মাঝে প্রাণের মাধ্যমে ঋণ দিয়েছি। আগামী দিনে কৃষি ঋণকে যেকোন ভাবে যদি কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের আওতায় আনা যায়, তাহলে ঋণ বিতরণের পরিমাণ, মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার পরিমাণটা বেড়ে যাবে।
সরকারি ব্যাংক হিসেবে আপনারা রাষ্ট্র এবং জনগণের প্রতি কি কি দায়িত্ব পালন করছেন?
সরকারের যত প্রোগ্রাম আছে সবগুলোতেই আমরা সক্রিয়ভাব অংশগ্রহণ করছি। রাষ্ট্র যখন যে আদেশ করেন তা আমরা শতভাগ বাস্তবায়নের জোর প্রচেষ্টা চালাই। আমরা যেমন প্রণোদনায় ঝাঁপিয়ে পড়েছি। কৃষি প্রণোদনা আমরাই সব ব্যাংকের আগে বিতরণ করেছি এবং কৃষি ক্ষেত্রে আমাদের প্রণোদনার শতভাগ বাস্তবায়ন করেছি। রাষ্ট্রের যত দায়িত্ব সবগুলোই আমরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছি।
বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক