চাঁদপুরে বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম লিমিটেড কোম্পানির অধীনে অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় গত ১৫ দিনে ৩০৭ টি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
সম্প্রতি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সভায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও বকেয়া বিলের বিষয়ে আলোচনা হয়।
এরই প্রেক্ষিতে গত ৩০ মে থেকে চাঁদপুর শহরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বকেয়া বিল আদায়ে অভিযানে নামে বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম কোম্পানি লিমিটেড চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের একাধিক টিম। টিমের সদস্যরা প্রতিদিন শহরের নতুন বাজার ও পুরান বাজার এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন ভাবে অভিযান পরিচালনা করছে।
এ বিষয়ে বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম কোম্পানি লিমিটেড চাঁদপুরের ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) প্রকৌশলী মোঃ মাহমুদুজ্জামান জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও বকেয়া বিল আদায়ের লক্ষ্যে গত ৩০ মে থেকে আমরা অভিযান শুরু করেছি। গত ১৫ দিনের অভিযানে নতুনবাজার ও পুরান বাজার এলাকায় ৩’শ ৭টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরমধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় ২১০ টি ও অবৈধ সংযোগ স্থাপনের জন্য ৯৭টি। চলমান অভিযানে ৪৭ লক্ষ টাকা বকেয়া বিল আদায় করা হয়েছে। এ অভিযান একমাস অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে এর মেয়াদ ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করা হবে। পর্যায়ক্রমে যে সকল উপজেলায় গ্যাস সংযোগ রয়েছে ওই উপজেলাগুলোতেও অভিযান চালানো হবে।
তিনি আরো জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগের পেছনে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করছে। এদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
গ্যাস সংযোগ সংক্রান্ত যে কোন সমস্যা সমাধানে অসাধু কোনো সিন্ডিকেট কিংবা দালালের দ্বারস্থ না হয় সরাসরি অফিসে এসে সেবা গ্রহনের জন্য গ্রাহকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রকৌশলী মাহমুদুজ্জামান।
তিনি আরো জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও বকেয়া বিলের জন্য গ্রাহকদেরকে আমরা সতর্ক করে দিয়েছি। পরবর্তীতে কোনো গ্রাহকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।
গ্যাস বিল পরিশোধে গ্রাহকদের সুবিধার্থে এখন থেকে যে কোন গ্রাহক অনলাইনে মুঠোফোনের মাধ্যমে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই বিল পরিশোধ করতে পারবে।
উল্লেখ্য অভিযান শুরু হওয়ার পূর্বে। চাঁদপুর অফিসে কর্মরত গ্যাস বিতরণ কেন্দ্রের ১৯ কর্মকর্তাকে একযোগে চাঁদপুর থেকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। অন্য জেলা থেকে ওই পদগুলোতে নতুন করে কর্মকর্তা যোগদান করেছেন। তাদের মাধ্যমেই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।