সাতক্ষীরায় বিরামহীন বৃষ্টিতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ৪৫ দিনের শিশু করোনা পজেটিভ হয়েছে।কেবলমাত্র তাই নয় ঐ শিশুর মা ও দাদী পজেটিভ হয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তত্বাবধায়ক ডাঃ খুদরত-এ-খোদা। এতে প্রশাসনের চরম উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে।
এ দিকে ১৯ জুন সকাল ৮ টা থেকে ২০ জুন সকাল পর্যন্ত সর্বনিম্ন টেষ্ট হয়েছে জেলায় ২৮ জন। আক্রান্ত হয়েছে ১৪ জন।মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।তাছাঁড়া গত কাল টেষ্ট ৯২ জনের আক্রান্ত হয়েছিল ৫৬ জন।আর উপসর্গ সহ মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের।সাতক্ষীরায় উদ্বেগ জনক হারে করোনা বৃদ্ধি পেলেও প্রশাসনেরর অবহেলা পরিলক্ষিত হয়েছে।আজ বিকালে সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড়,লাবনী মোড়,নারকেলতলা মোড় সহ সবখানেই নামেমাত্র লকডাউন সাইনবোর্ডে সীমাবদ্ধ দেখা গেছে।চেকপোস্ট গুলোতে পুলিশ থাকলেও দায়িত্ব পালন না করে বসে থাকতে দেখা যায়।
অপরদিক সব ধরনের থ্রি- হুউলার মোটরযান সহ জনসাধারণ কে অবাদে চলাচল করতে দেখা গেছে।৪৫ দিনের শিশু করোনা আক্রান্ত এ তথ্য জানতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ কুদরত -এ – খোদার নিকট মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি জানতেন না বলে জানিয়ে বিস্তারিত জানাবেন এ আশ্বস্ত করেন। পরে করোনা ইউনিট এর প্রধান ডাঃ মানষ কুমার মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করে ৪৫ দিনের শিশু সিয়াম তাঁর মা ও দাদির করোনা পজেটিভ এর বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হলেও প্রদানে সময় লাগবে বলে জানান।প্রতিউত্তরে যে রুমে চিকিৎসা নিচ্ছেন ও রুম ইনচার্জের নাম্বার চাওয়া হলে জানান,ফোনটি গতকালই নষ্ট হয়েছে।এ দিকে জেলার প্রতি ওয়ার্ড পর্যায়ে করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হলেও তাঁদের কোন কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে সচেতন মহলের দাবী সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস,এম,মোস্তফা কামালের বদলী জনিত কারণে লকডাউন কার্যকর হচ্ছে না।এ ছাঁড়া সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ০১৯৪৩৪৩৯৭৭৭ সেল ফোন নাম্বার সহ সকল জরুরী নাম্বার বন্ধ রাখা হয়েছে। শিশু সিয়াম গত ১৭ তারিখে পজেটিভ হলেও তা প্রচার তো দুরের কথা তাঁর পরিবারের পরিচয়ও গোপন রাখার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন হুসাইন শাফায়ৎ এর ফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও রিসিভ হয়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিশু সহ তাঁর পরিবারের পরিচয় জানানো হয়নি।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ




















