০২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিস্তেজ অবস্থায় রওশন, কাছে ক্ষমা চাইলেন বিদিশা

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চিফ প্যাট্রন রওশন এরশাদের কাছে ক্ষমা চাইলেন প্রয়াত এইচএম এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা।

হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) প্রায় নিস্তেজ অবস্থায় থাকা ৭৮ বছর বয়সী রওশনকে রবিবার দেখতে গিয়ে তাকে ছুঁয়ে বিদিশা ক্ষমা চান। পুত্র এরিক ও ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট’এর চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশিদ এ সময় বিদিশার সঙ্গে ছিলেন।

প্রাপ্ত ছবিতে দেখা যায়, রওশনের শয্যার সামনে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন বিদিশা, চোখ গড়িয়ে অশ্রু ঝরছে। বার্ধক্যসহ নানা জটিলতায় জীবন সংকটে থাকা রওশনের শয্যার সামনে দাঁড়িয়ে তার সুস্থতা কামনায় এরিক ও কাজী মামুনকে নিয়ে দোয়া পড়ে মোনাজাত করেন বিদিশা।

অশ্রুসজল বিদিশা  বলেন, প্রথমে এরিক ওনাকে (রওশনকে) স্পর্শ করে বলেন- মা, আমি এসেছি। রওশন এরশাদ চোখ মেললেন, কিন্তু কথা বলার মতো শক্তি নেই, শুধু ক্ষীণ কণ্ঠে একটি শব্দ উচ্চারণের চেষ্টা করলেন, কিন্তু শব্দটি অত্যন্ত অস্পষ্ট।’

বিদিশা বলেন, ‘পরে আমি ওনাকে ছুঁয়ে বললাম- আমি ক্ষমা চাই, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। আপনি চিন্তা করবেন না, সাদ (রওশন পুত্র রাহ্গীর আল মাহি সাদ এরশাদ) আমারও সন্তান, আমি ওকে দেখে রাখবো। উনি ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলেন আর কাঁদলেন।’

সিএমএইচ থেকে বেরিয়ে ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট’-এর চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘রওশন ম্যাডামকে দেখে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। উনি খুব কষ্ট পাচ্ছেন, আল্লাহ ওনাকে ক্ষমা করুন।’

প্রসঙ্গত, গত ১৪ আগস্ট থেকে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রওশন এরশাদ।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

ঢাকা কলেজের পুকুরে গোসল করতে নেমে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

নিস্তেজ অবস্থায় রওশন, কাছে ক্ষমা চাইলেন বিদিশা

প্রকাশিত : ০৬:৫৩:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চিফ প্যাট্রন রওশন এরশাদের কাছে ক্ষমা চাইলেন প্রয়াত এইচএম এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা।

হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) প্রায় নিস্তেজ অবস্থায় থাকা ৭৮ বছর বয়সী রওশনকে রবিবার দেখতে গিয়ে তাকে ছুঁয়ে বিদিশা ক্ষমা চান। পুত্র এরিক ও ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট’এর চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশিদ এ সময় বিদিশার সঙ্গে ছিলেন।

প্রাপ্ত ছবিতে দেখা যায়, রওশনের শয্যার সামনে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন বিদিশা, চোখ গড়িয়ে অশ্রু ঝরছে। বার্ধক্যসহ নানা জটিলতায় জীবন সংকটে থাকা রওশনের শয্যার সামনে দাঁড়িয়ে তার সুস্থতা কামনায় এরিক ও কাজী মামুনকে নিয়ে দোয়া পড়ে মোনাজাত করেন বিদিশা।

অশ্রুসজল বিদিশা  বলেন, প্রথমে এরিক ওনাকে (রওশনকে) স্পর্শ করে বলেন- মা, আমি এসেছি। রওশন এরশাদ চোখ মেললেন, কিন্তু কথা বলার মতো শক্তি নেই, শুধু ক্ষীণ কণ্ঠে একটি শব্দ উচ্চারণের চেষ্টা করলেন, কিন্তু শব্দটি অত্যন্ত অস্পষ্ট।’

বিদিশা বলেন, ‘পরে আমি ওনাকে ছুঁয়ে বললাম- আমি ক্ষমা চাই, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। আপনি চিন্তা করবেন না, সাদ (রওশন পুত্র রাহ্গীর আল মাহি সাদ এরশাদ) আমারও সন্তান, আমি ওকে দেখে রাখবো। উনি ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলেন আর কাঁদলেন।’

সিএমএইচ থেকে বেরিয়ে ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট’-এর চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘রওশন ম্যাডামকে দেখে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। উনি খুব কষ্ট পাচ্ছেন, আল্লাহ ওনাকে ক্ষমা করুন।’

প্রসঙ্গত, গত ১৪ আগস্ট থেকে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রওশন এরশাদ।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ