আমেরিকা ৯মাস মাস থাকার পর বুধবার (১৭ আগস্ট) দেশে ফিরছেন সুপারস্টার শাকিব খান। দুপুর ১২টার দিকে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
দীর্ঘদিন পর প্রিয় নায়ক দেশে ফেরায় শাকিব-ভক্তদের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। তাকে সংবর্ধনার প্রস্তুতি চলছে। প্রিয় নায়কে দেখতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে বিমানবন্দরে হাজির থাকবেন তারা। জানা গেছে, অন্তত দুই হাজার শাকিবিয়ান জড়ো হবেন সেখানে।
জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়া, নতুন সিনেমার প্রি-প্রোডাকশন এবং আগের সিনেমার শুটিংসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন শাকিব খান। আমেরিকা থেকে বিমানে ওঠার আগে সোমবার (১৬ আগস্ট) সকালে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে তোলা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন শাকিব। সেই সঙ্গে লিখেছেন নিজের জীবনের কিছু উপলব্ধির কথা। বিজনেস বাংলাদেশ পাঠকের জন্য তা তুলেধরা হল-
‘জীবন যখনই আমাকে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে অথবা নিজেই যখন নিজেকে দিয়েছি ভেঙে গড়ার চ্যালেঞ্জ ওপরওয়ালার রহমতে এবং আমার লাখো-কোটি ভক্তের ভালোবাসায় সবসময় আমি জয়ী হয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রে বিগত নয়টা মাসও আমার জীবনে ছিল একটি চ্যালেঞ্জের মতোই এবং আবারও আমি আপনাদের ভালোবাসায় তা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।’
মহান ব্যক্তিদের উদাহরণ টেনে তিনি লিখেছেন, ‘তবে এই নয়টা মাস ছিল অনেকটা অদৃশ্য শেকলে বাঁধা পড়ে থাকা জীবনের মতো। খেয়াল করেছি, মহান ব্যক্তিরা যখন বড় কিছু করেন, তার আগে এমন বিচ্ছিন্ন থাকেন! তারা যখনই নতুন উপলব্ধি নিয়ে আবার শুরু করেন তখনই তাদের সকাল।’
দূর দেশে থেকে শাকিবের বিশেষ কিছু উপলব্ধি হয়েছে। চিনেছেন তার প্রকৃত শুভাকাঙ্ক্ষী। তিনি আরও লিখেছেন, ‘দূর দেশে এই সময়ে অনেককে পেয়েছি, যারা আমাকে তাদের পরিবারের মানুষ ভেবে আপন করে নিয়েছে, সাপোর্ট দিয়েছে মানসিকভাবে। অন্যদিকে এও বুঝেছি, যাদের এতদিন আপন মনে করতাম তারা কেউ কেউ সত্যিকার অর্থে আমার আপন ছিল না। এর মাঝেও আমার এগিয়ে চলার এই জীবনে অন্ধের মতো সবচেয়ে বড় সাপোর্ট ছিল, দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা লাখো-কোটি ভক্ত-অনুসারী— যারা সবসময় আমার পাশে থেকেছে, নিস্বার্থভাবে ভালোবেসেছে।’
দীর্ঘ সময় যুক্তরাষ্ট্রে থেকে নিজের মধ্যে পরিবর্তন অনুভব করছেন শাকিব। তার মতে, এই পরিবর্তনটা দরকার ছিল। কিং খান লিখেছেন, ‘কেন জানি মনে হয় নিজের জীবন-দর্শন, বাস্তবতা ও সবকিছুকে নতুন করে চেনা-জানা এবং বোঝার জন্য আমার এই পরিবর্তন ভীষণ প্রয়োজন ছিল। এ সময়ে খুব কাছ থেকে নিজের জীবনের সবকিছু নতুন করে কল্পনায় এঁকেছি, যেমনটা সিনেমায় করে থাকি। এ সময়টা আমায় পৃথিবী ও নিজের সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে সাহায্য করেছে। আজ ফিরছি প্রিয় মাতৃভূমিতে। বেঁচে থাকলে আগামী দিনগুলো আরও সুন্দর হবে ইনশাআল্লাহ।’
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ