০৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

বিষখালীর ভাঙনে পল্টনসহ ছয় দোকান নদীর পেটে

ঝালকাঠির রাজাপুরে টানা তিন দিন থেমে থেমে বৃষ্টি ও নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে দুর্ভোগে পরেছে নিম্ম আয়ের মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিষখালি নদীর রাজাপুর অংশে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের মঠবাড়ি এলাকায় অবস্থিত লঞ্চে উঠার একমাত্র পল্টনটি সহ পাশে থাকা ছয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

এ ঘটনার পর থেকে বাদুরতলা এলাকায় নদীতীরের বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক নাসির হাওলাদার, জুয়েল শরীফ, শাহজাহান শরীফ, জামাল হাওলাদার, আবু খলিফা এবং বাবুল ঋষি বলেন, দুপুর ৩টার পরে আস্তে আস্তে নদীর পার দেবে যায়। তখন আমরা মালামাল সড়াতে থাকি। বিকেলে হঠাৎ দোকান ঘরগুলো ভেসে যায়। তখনও চা এবং মুদি দোকানে কিছু মালামাল ছিলো। প্রত্যক্ষদর্শী মো. রুহুল আমিন, তরিকুল ইসলাম সুমন ও আব্দুল গফুর বলেন, আমরা দোকান মালিকদের সাথে নিয়ে হাতে হাতে নদী থেকে দোকানঘর ও কিছু মালামাল উদ্ধার করে তুলে আনতে পেরেছি।

রাজাপুরের মঠবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শাহ জালাল হাওলাদার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই বাদুরতলা বাজারের দোকানগুলো ভেঙে বিলীন হচ্ছিলো। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আজকে হঠাৎ ৬টি দোকান বিলীন হয়ে গেছে। আজকের ঘটনায় প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনও ওই বাজারের অনেক দোকান ঝুকিতে রয়েছে। কয়েক দফা জিও ব্যাগ ফেলেও ভাঙন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মান করা প্রয়োজন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ‘নুসরাত জাহান খান বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলেছি তাদের জন্য পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

দুদকের ২ উপপরিচালক বরখাস্ত

বিষখালীর ভাঙনে পল্টনসহ ছয় দোকান নদীর পেটে

প্রকাশিত : ০৩:৪২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঝালকাঠির রাজাপুরে টানা তিন দিন থেমে থেমে বৃষ্টি ও নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে দুর্ভোগে পরেছে নিম্ম আয়ের মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিষখালি নদীর রাজাপুর অংশে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের মঠবাড়ি এলাকায় অবস্থিত লঞ্চে উঠার একমাত্র পল্টনটি সহ পাশে থাকা ছয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

এ ঘটনার পর থেকে বাদুরতলা এলাকায় নদীতীরের বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক নাসির হাওলাদার, জুয়েল শরীফ, শাহজাহান শরীফ, জামাল হাওলাদার, আবু খলিফা এবং বাবুল ঋষি বলেন, দুপুর ৩টার পরে আস্তে আস্তে নদীর পার দেবে যায়। তখন আমরা মালামাল সড়াতে থাকি। বিকেলে হঠাৎ দোকান ঘরগুলো ভেসে যায়। তখনও চা এবং মুদি দোকানে কিছু মালামাল ছিলো। প্রত্যক্ষদর্শী মো. রুহুল আমিন, তরিকুল ইসলাম সুমন ও আব্দুল গফুর বলেন, আমরা দোকান মালিকদের সাথে নিয়ে হাতে হাতে নদী থেকে দোকানঘর ও কিছু মালামাল উদ্ধার করে তুলে আনতে পেরেছি।

রাজাপুরের মঠবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শাহ জালাল হাওলাদার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই বাদুরতলা বাজারের দোকানগুলো ভেঙে বিলীন হচ্ছিলো। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আজকে হঠাৎ ৬টি দোকান বিলীন হয়ে গেছে। আজকের ঘটনায় প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনও ওই বাজারের অনেক দোকান ঝুকিতে রয়েছে। কয়েক দফা জিও ব্যাগ ফেলেও ভাঙন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মান করা প্রয়োজন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ‘নুসরাত জাহান খান বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলেছি তাদের জন্য পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব