০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আনন্দের বন্যা বইছে সাবিনা-মাসুরার জেলা সাতক্ষীরায়

বাংলাদেশের ফুটবল খেলায় লেখা হয়েছে নতুন এক ইতিহাস। এই প্রথম নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এ টুর্নামেন্ট। শিরোপা জিতেছে বাংলার বাঘিনিরা। যাঁর কাঁধে ভর দিয়ে বাংলার বাঘিনারা বাংলাদেশের কোটি মানুষের স্বপ্নটা পূরণ করেছে তিনি সাবিনা খাতুন। সাবিনা খাতুনের নিজের শহর সাতক্ষীরার মানুষরাও দারুণ খুশি তাঁদের মেয়ের হাতে শিরোপা দেখার। উৎসব মূখর পরিবেশ বিরাজ করছে এখন সাবিনার পরিবারে।মেয়ের হাতে শিরোপা দেখে খুশি মা ও বোনরা।

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ নারী দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আনন্দের বন্যা বইছে সাবিনা-মাসুরার জেলা সাতক্ষীরায়। ফাইনালে গোল না পেলেও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার গৌরবে গৌরবান্বিত সাবিনার পরিবারসহ ফুটবলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই।

সাবিনার মা মমতাজ জানান, বাংলাদেশের সাফল্যে তিনি খুবই উচ্ছ্বসিত। মেয়েটার ধ্যান-জ্ঞান এই ফুটবলকে নিয়ে। ৮ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ায় অপরিসীম আনন্দ উপভোগ করছেন তিনি।

পিতাহীন সাবিনার বড় বোন সালমা খাতুন বলেন, সারা দিন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছি জয়ের খবরের জন্য। অবশেষে টিভির পর্দায় যখন ভেসে এল বাংলাদেশ ৩-১ গোলে জয়ী, তখন মনে হয়েছিল স্বপ্ন সার্থক হয়েছে আমার বোনটার।

অন্যদিকে, সাতক্ষীরা সদরের বিনেরপোতায় নারী ফুটবল দলের অপর খেলোয়াড় মাসুরাদের বাড়িতেও চলছে জয়ের উৎসব। বাবা রজব আলী মাসুরাকে খেলতে দিতে চাইতেন না। কিন্তু স্থানীয় কোচ আকবার আলী ও মা ফাতেমা খাতুনের উৎসাহে নারী দলে শক্ত জায়গা করে নিয়েছেন মাসুরা।

মাসুরার মা ফাতেমা খাতুন জানান, ‘আমরা গরীব মানুষ। ছোটবেলা থেকে মাসুরার খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ দেখে আমি তাঁকে খেলা চালিয়ে যেতে বলেছিলাম। কোচ আকবার আলীই আমার মেয়েকে এ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। দুর্ভাগ্য হলো, এত বড় জয় আকবার আলী দেখে যেতে পারলেন না। দুই বছর আগে তিনি মারা গেছেন।

সাতক্ষীরা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন প্রিন্স বলেন,নারী ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় গর্ব অনুভব করছি। সাবিনা ও মাসুরার মতো খেলোয়াড়েরা সাতক্ষীরার মাটি থেকে আজ জাতীয় দলে শক্ত জায়গা করে নিয়েছে। তাদের এই সফলতার ধারা অব্যাহত থাকুক।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

ঢাকা কলেজের পুকুরে গোসল করতে নেমে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

আনন্দের বন্যা বইছে সাবিনা-মাসুরার জেলা সাতক্ষীরায়

প্রকাশিত : ০৩:৫৪:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

বাংলাদেশের ফুটবল খেলায় লেখা হয়েছে নতুন এক ইতিহাস। এই প্রথম নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এ টুর্নামেন্ট। শিরোপা জিতেছে বাংলার বাঘিনিরা। যাঁর কাঁধে ভর দিয়ে বাংলার বাঘিনারা বাংলাদেশের কোটি মানুষের স্বপ্নটা পূরণ করেছে তিনি সাবিনা খাতুন। সাবিনা খাতুনের নিজের শহর সাতক্ষীরার মানুষরাও দারুণ খুশি তাঁদের মেয়ের হাতে শিরোপা দেখার। উৎসব মূখর পরিবেশ বিরাজ করছে এখন সাবিনার পরিবারে।মেয়ের হাতে শিরোপা দেখে খুশি মা ও বোনরা।

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ নারী দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আনন্দের বন্যা বইছে সাবিনা-মাসুরার জেলা সাতক্ষীরায়। ফাইনালে গোল না পেলেও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার গৌরবে গৌরবান্বিত সাবিনার পরিবারসহ ফুটবলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই।

সাবিনার মা মমতাজ জানান, বাংলাদেশের সাফল্যে তিনি খুবই উচ্ছ্বসিত। মেয়েটার ধ্যান-জ্ঞান এই ফুটবলকে নিয়ে। ৮ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ায় অপরিসীম আনন্দ উপভোগ করছেন তিনি।

পিতাহীন সাবিনার বড় বোন সালমা খাতুন বলেন, সারা দিন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছি জয়ের খবরের জন্য। অবশেষে টিভির পর্দায় যখন ভেসে এল বাংলাদেশ ৩-১ গোলে জয়ী, তখন মনে হয়েছিল স্বপ্ন সার্থক হয়েছে আমার বোনটার।

অন্যদিকে, সাতক্ষীরা সদরের বিনেরপোতায় নারী ফুটবল দলের অপর খেলোয়াড় মাসুরাদের বাড়িতেও চলছে জয়ের উৎসব। বাবা রজব আলী মাসুরাকে খেলতে দিতে চাইতেন না। কিন্তু স্থানীয় কোচ আকবার আলী ও মা ফাতেমা খাতুনের উৎসাহে নারী দলে শক্ত জায়গা করে নিয়েছেন মাসুরা।

মাসুরার মা ফাতেমা খাতুন জানান, ‘আমরা গরীব মানুষ। ছোটবেলা থেকে মাসুরার খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ দেখে আমি তাঁকে খেলা চালিয়ে যেতে বলেছিলাম। কোচ আকবার আলীই আমার মেয়েকে এ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। দুর্ভাগ্য হলো, এত বড় জয় আকবার আলী দেখে যেতে পারলেন না। দুই বছর আগে তিনি মারা গেছেন।

সাতক্ষীরা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন প্রিন্স বলেন,নারী ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় গর্ব অনুভব করছি। সাবিনা ও মাসুরার মতো খেলোয়াড়েরা সাতক্ষীরার মাটি থেকে আজ জাতীয় দলে শক্ত জায়গা করে নিয়েছে। তাদের এই সফলতার ধারা অব্যাহত থাকুক।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব