০১:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক দুর্যোগ মোকাবিলায় খাদ্য অপচয় কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সরকার ভর্তুকি দিয়ে কৃষি উৎপাদন সচল রাখার চেষ্টা করছে। যুদ্ধের কারণে যেন খাদ্যাভাব দেখা না দেয়, তার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

সোমবার ১৭ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২২ এর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন, সামরিক শাসকরা দেশকে খাদ্য আমদানি নির্ভর করে তোলে, তারা গণমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। অতীতের সরকারগুলো স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি বলেই দেশকে সফল হতে দেয়নি, পরনির্ভরশীল করে রেখেছিল সবক্ষেত্রে।

বৈশ্বিক দুর্যোগের কথা চিন্তা করে সরকার বর্তমানে খাদ্য রপ্তানিতে বেশি জোর দিচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন আর আশ্বিন-কার্তিক মাসে দেশে মঙ্গা হয় না, কৃষি গবেষকরা যে কষ্ট করেছেন তার সুফল পাচ্ছেন দেশবাসী। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে আরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

সরকার পুষ্টিকর, নিরাপদ ও সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে চায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। কারণ সুষম খাদ্য পাবার ফলে দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০২:২৬:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক দুর্যোগ মোকাবিলায় খাদ্য অপচয় কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সরকার ভর্তুকি দিয়ে কৃষি উৎপাদন সচল রাখার চেষ্টা করছে। যুদ্ধের কারণে যেন খাদ্যাভাব দেখা না দেয়, তার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

সোমবার ১৭ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২২ এর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন, সামরিক শাসকরা দেশকে খাদ্য আমদানি নির্ভর করে তোলে, তারা গণমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। অতীতের সরকারগুলো স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি বলেই দেশকে সফল হতে দেয়নি, পরনির্ভরশীল করে রেখেছিল সবক্ষেত্রে।

বৈশ্বিক দুর্যোগের কথা চিন্তা করে সরকার বর্তমানে খাদ্য রপ্তানিতে বেশি জোর দিচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন আর আশ্বিন-কার্তিক মাসে দেশে মঙ্গা হয় না, কৃষি গবেষকরা যে কষ্ট করেছেন তার সুফল পাচ্ছেন দেশবাসী। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে আরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

সরকার পুষ্টিকর, নিরাপদ ও সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে চায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। কারণ সুষম খাদ্য পাবার ফলে দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব