স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে “ফিউচারমেকার্স বাংলাদেশ” প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত সোমবার (২৪ অক্টোবর) গুলশানে এই উদ্বোধনের আয়োজন করা হয়। এই প্রকল্পটি দক্ষতা প্রশিক্ষণ, কর্মজীবন নির্দেশিকা এবং চাকরির নিয়োগের মাধ্যমে শ্রমবাজারে প্রতিবন্ধী যুবকদের প্রবেশ করতে সহায়তা করবে।

সাইটসেভার্স এবং বিবিডিএন ২০২২ সালের জুলাই থেকে মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ এবং টাঙ্গাইল এই তিনটি জেলায় ১৮ মাসব্যাপী প্রকল্পনটি বাস্তবায়ন করা হবে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের ফিউচারমেকার্স এর অধীনে এই প্রকল্প ৭২০ জন প্রতিবন্ধী নারী ও পুরুষকে নতুন দক্ষতা শিখতে এবং তাদের বাড়ি থেকে স্থানান্তর করার প্রয়োজন ছাড়াই একটি চাকরি বা তাদের নিজস্ব উদ্যোগ শুরু করার সম্ভাবনা উন্নত করতে সহায়তা করবে।

সাইটসেভার্স এর ফিউচারমেকার্স প্রকল্পের ম্যানেজার উৎপল মল্লিকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মাহফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আর্দাশির কবির।

অনুষ্ঠানে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রতিনিধি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বেসরকারি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন (ওপিডি) এর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

সাইটসেভার্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিও তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, তাদের সমবয়সীদের সঙ্গে তুলনা করলে, প্রতিবন্ধী যুবকদের কর্মসংস্থান বা উপযুক্ত পরিস্থিতিতে কাজ করার সম্ভাবনা অনেক কম। কোভিড-১৯ মহামারী তাদের আরও অসহায় করে তুলেছে।

আর্দাশির কবির বলেন, কোভিড ১৯ সংকটের আগেও বাংলাদেশের তরুণরা শ্রমবাজারে দুর্বল ছিল এবং শিক্ষা থেকে কর্মসংস্থানে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হয়েছিল। তরুণদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বাড়ানো সত্ত্বেও, যুবকদের যে দক্ষতা রয়েছে এবং নিয়োগকর্তারা যে প্রতিভা চান তার মধ্যে একটি অমিল রয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মো. মাহফিজুর রহমান বলেন, ‘এসএমই ফাউন্ডেশন আমাদের প্রোগ্রামিংয়ে নারী ও যুব উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দেয় এবং আমরা যৌথ সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে বিশেষ করে প্রতিবন্ধী যুবকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ফিউচারমেকার্স প্রকল্পের সাথে আমরা একসাথে কাজ করব। ফিউচারমেকার্স স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের বৈশ্বিক উদ্যোগ যার লক্ষ্য বৃহত্তর অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বৈষম্য মোকাবেলা। এই উদ্যোগ সুবিধাবঞ্চিত তরুণদের, বিশেষ করে মেয়ে এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের, নতুন দক্ষতা শিখতে এবং তাদের চাকরি পাওয়ার বা তাদের নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার সম্ভাবনা উন্নত করতে সহায়তা করে। এই উদ্যোগের অংশ হিসাবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ৪৩টি বাজারে ২০১৯ থেকে ২০২২ এর মাঝামাঝি ৮৪৯,০০০ জনেরও বেশি তরুণের কাছে পৌঁছেছে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব