০২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ভুট্টা খেতে ‘মেসি’ ফুটিয়ে তুললেন কৃষক

আর্জেন্টিনারই এক কৃষক এমন এক বিস্ময়কর ঘটনার জন্ম দিয়েছেন, যা এরই মধ্যে ফুটবল দুনিয়াকে বিস্ময়ে হতবাক করে দিয়েছে। ঐ কৃষক যে মেসিকে ফুটিয়ে তুলেছেন ফসলের খেতে। ভুট্টারখেতে ভুট্টার চারায় চারায় এঁকেছেন মেসির দাড়ি-গোঁফ সমৃদ্ধ মুখখানা। যেন ভুট্টার খেতে শুয়ে আছেন জীবন্ত মেসি!

তা-ও এক-দুই বিঘা জমিতে নয়, ঐ কৃষক মেসিকে ফুটিয়ে তুলেছেন ১২৪ একর, তা ৩৭২ বিঘা জমিতে! বিস্তীর্ণ খেত জুড়ে মেসির মুখটি পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে ড্রোন ক্যামেরায়। মানে ভুট্টার খেতটিতে গেলেও আপনি খালি চোখে মেসির মুখ দেখতে পাবেন না। খেতের পাশে দাঁড়িয়ে তা দেখা সম্ভব নয়। ভুট্টার চারায় অঙ্কিত মেসিকে দেখতে হলে আপনাকেও ড্রোন ক্যামেরাসমেত বিমান নিয়ে যেতে হবে।

বিস্ময়কর এই কাজটি সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করা কৃষকের নাম ম্যাক্সিমিলিয়ানো স্পিনাজ্জি। তার বাড়ি আর্জেন্টিনার মধ্য করদোবা রাজ্যের লস কনদোরেসে। তিনি মূলত ভুট্টা চাষি। কাজটি সম্পন্ন করেছেন তিনিই। তবে ফসলের খেতে জীবন্ত মেসিকে ফুটিয়ে তোলার ভাবনাটা প্রথম আসে কৃষি প্রকৌশলী কার্লোস ফারিকেল্লি। তিনি আর্জেন্টিনার অনেক কৃষকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। পরে চ্যালেঞ্জটা নেন ম্যাক্সিমিলিয়ানো স্পিনাজ্জি। এর পর দুজনে মিলে শুরু করেন গবেষণা, মেসিকে ফুটিয়ে তুলতে কীভাবে বীজ ছিটাতে হবে, কোথায় বেশি করে বীজ ছিটাতে হবে, কোথায় কম বীজ ছিটাতে হবে—গবেষণার মাধ্যমে সবকিছুই করা হয়েছে পরিকল্পনা মতো। দাড়ি, গোঁফ, চোখের ভ্রু, মাথার চুল—এসব জায়গার জন্য বেশি করে বীজ ছিটানো হয়, যাতে চারাগাছ ঘন হয়। মুখায়বের বাকি অংশগুলোর জন্য বীজ ছিটানো হয় পাতলা করে।

নিজেদের প্রচেষ্টায় সফল হওয়ায় ভীষণ খুশি তারা। তারা খুশি মেসিকে এভাবে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে। কৃষক ম্যাক্সিমিলিয়ানো স্পিনাজ্জি বলেছেন, ‘আমার কাছে মেসি অপরাজেয়। তারা এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। মেসির মুখ শস্যখেতে ফুটিয়ে তুলতে পেরে সত্যিই আমি উচ্ছ্বসিত।’ প্রকৌশলী ফারকেল্লি বলেছেন, ‘ফসলের মাঠে মেসিকে ফুটিয়ে তুলতে কীভাবে শস্যদানা ছিটাতে হবে, এই ধারণাটা আমারই। এটি মেসির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা। ভুট্টাই আর্জেন্টিনার প্রধান কৃষিপণ্য। ভুট্টা রপ্তানিতে মেসিদের দেশ বিশ্বে তৃতীয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

ভুট্টা খেতে ‘মেসি’ ফুটিয়ে তুললেন কৃষক

প্রকাশিত : ১১:২০:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

আর্জেন্টিনারই এক কৃষক এমন এক বিস্ময়কর ঘটনার জন্ম দিয়েছেন, যা এরই মধ্যে ফুটবল দুনিয়াকে বিস্ময়ে হতবাক করে দিয়েছে। ঐ কৃষক যে মেসিকে ফুটিয়ে তুলেছেন ফসলের খেতে। ভুট্টারখেতে ভুট্টার চারায় চারায় এঁকেছেন মেসির দাড়ি-গোঁফ সমৃদ্ধ মুখখানা। যেন ভুট্টার খেতে শুয়ে আছেন জীবন্ত মেসি!

তা-ও এক-দুই বিঘা জমিতে নয়, ঐ কৃষক মেসিকে ফুটিয়ে তুলেছেন ১২৪ একর, তা ৩৭২ বিঘা জমিতে! বিস্তীর্ণ খেত জুড়ে মেসির মুখটি পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে ড্রোন ক্যামেরায়। মানে ভুট্টার খেতটিতে গেলেও আপনি খালি চোখে মেসির মুখ দেখতে পাবেন না। খেতের পাশে দাঁড়িয়ে তা দেখা সম্ভব নয়। ভুট্টার চারায় অঙ্কিত মেসিকে দেখতে হলে আপনাকেও ড্রোন ক্যামেরাসমেত বিমান নিয়ে যেতে হবে।

বিস্ময়কর এই কাজটি সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করা কৃষকের নাম ম্যাক্সিমিলিয়ানো স্পিনাজ্জি। তার বাড়ি আর্জেন্টিনার মধ্য করদোবা রাজ্যের লস কনদোরেসে। তিনি মূলত ভুট্টা চাষি। কাজটি সম্পন্ন করেছেন তিনিই। তবে ফসলের খেতে জীবন্ত মেসিকে ফুটিয়ে তোলার ভাবনাটা প্রথম আসে কৃষি প্রকৌশলী কার্লোস ফারিকেল্লি। তিনি আর্জেন্টিনার অনেক কৃষকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। পরে চ্যালেঞ্জটা নেন ম্যাক্সিমিলিয়ানো স্পিনাজ্জি। এর পর দুজনে মিলে শুরু করেন গবেষণা, মেসিকে ফুটিয়ে তুলতে কীভাবে বীজ ছিটাতে হবে, কোথায় বেশি করে বীজ ছিটাতে হবে, কোথায় কম বীজ ছিটাতে হবে—গবেষণার মাধ্যমে সবকিছুই করা হয়েছে পরিকল্পনা মতো। দাড়ি, গোঁফ, চোখের ভ্রু, মাথার চুল—এসব জায়গার জন্য বেশি করে বীজ ছিটানো হয়, যাতে চারাগাছ ঘন হয়। মুখায়বের বাকি অংশগুলোর জন্য বীজ ছিটানো হয় পাতলা করে।

নিজেদের প্রচেষ্টায় সফল হওয়ায় ভীষণ খুশি তারা। তারা খুশি মেসিকে এভাবে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে। কৃষক ম্যাক্সিমিলিয়ানো স্পিনাজ্জি বলেছেন, ‘আমার কাছে মেসি অপরাজেয়। তারা এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। মেসির মুখ শস্যখেতে ফুটিয়ে তুলতে পেরে সত্যিই আমি উচ্ছ্বসিত।’ প্রকৌশলী ফারকেল্লি বলেছেন, ‘ফসলের মাঠে মেসিকে ফুটিয়ে তুলতে কীভাবে শস্যদানা ছিটাতে হবে, এই ধারণাটা আমারই। এটি মেসির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা। ভুট্টাই আর্জেন্টিনার প্রধান কৃষিপণ্য। ভুট্টা রপ্তানিতে মেসিদের দেশ বিশ্বে তৃতীয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব