০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

১ বছর জামিন বাড়ল সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছরের দণ্ডিত ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদের জামিনের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট । রোববার, ৫ মার্চ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে হারুন-অর-রশীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। গত বছরের ১২ মে বিচারিক আদালতে ডেসটিনির মামলার রায় হয়। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও তাদের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে হারুন-অর-রশীদকে দেওয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ড। সেই সঙ্গে তাকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করলে গত বছরের ৯ জুন তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। তবে ওইদিন তাকে জামিন দেননি আদালত। এরপর ২৯ জুন তার মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর গত বছরের ৩০ আগস্ট হারুন-অর-রশীদকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে ১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন। এরপর তিনি জামিনে মুক্তি পান। সম্প্রতি জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ফের হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে রোববার এক বছরের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য ধার্য করেন হাইকোর্ট।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের নামে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি। বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড ও ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ‍দিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা

১ বছর জামিন বাড়ল সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের

প্রকাশিত : ১২:১৭:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছরের দণ্ডিত ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদের জামিনের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট । রোববার, ৫ মার্চ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে হারুন-অর-রশীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। গত বছরের ১২ মে বিচারিক আদালতে ডেসটিনির মামলার রায় হয়। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও তাদের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে হারুন-অর-রশীদকে দেওয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ড। সেই সঙ্গে তাকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করলে গত বছরের ৯ জুন তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। তবে ওইদিন তাকে জামিন দেননি আদালত। এরপর ২৯ জুন তার মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর গত বছরের ৩০ আগস্ট হারুন-অর-রশীদকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে ১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন। এরপর তিনি জামিনে মুক্তি পান। সম্প্রতি জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ফের হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে রোববার এক বছরের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য ধার্য করেন হাইকোর্ট।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের নামে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি। বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড ও ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব