সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারের সরকারি খাদ্য গুদাম দখলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর অভিযোগ করেছেন ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে গুদামটির বৈধ ইজারাদার মুরাদ মিয়া।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ্য করেন ২০১৬-১৭ সালে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারে অবস্থিত ২৫০ মেট্রিকটন খাদ্য গুদামটি এলজিইডির কাছ থেকে সরকারি বিধি মোতাবেক ইজারা গ্রহন করি। ওই এলাকার ভূমি খেকো হানিফ মিয়া,মিছবাহ মিয়া ও খোকন মিয়া। অবৈধভাবে সরকারি ভূমি গ্রাস করার লক্ষ্যে ইজারা নেয়া গুদাম ঘরটির সিকিউরিটি ঘর ভেঙে সেখানে বিল্ডিং নির্মাণ ও জায়গা দখলে নিয়ে যায় তারা। সিকিউরিটি রুমের ইট, রড ও রক্ষিত অন্যান্য আসবাবপত্র লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মুরাদ মিয়া বলেন, এই গুদাম ঘরটি আমি ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে জন্য সুনামগঞ্জ জেলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে বৈধভাবে লিজ নিয়েছিলাম কিন্তু আজ পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারি নাই। স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র ও ভূমি খেকো ওই এলাকার হানিফ মিয়া,মিছবাহ মিয়া ও খোকন মিয়ার কারণে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ওই জায়গার দখল করে রেখেছন তারা। দারোয়ানের থাকার কক্ষটি ভেঙে সেখানে নিজেদের থাকার ঘর বানিয়েছে যেটা সম্পূর্ণ অবৈধ, আমি চাই সরকারি এই জায়গাটি যেনো সরকারের হাত থেকে বেদখল না হয় সেজন্য আমি জেলা প্রশাসক ও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মহোদর দৃষ্টি কামনা করছি।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত হানিফ মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া বলেন, অভিযোগে যা উল্লেখ্য করা হয়েছে এগুলো মিথ্যা জায়গাটি আমাদের এবং এই জায়গার উপর সরকারের সাথে আমাদের মামলা হাইকোর্টে চলমান আছে এবং ইতিমধ্যে দুইটি রায় আমাদের পক্ষে এসেছে, জায়গাটি আমাদের সব বৈধ কাগজ দলিল আমাদের কাছে রয়েছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম জানান, এ বিষয়ে আমার জানা নেই কবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।