ভারতের মাটিতে দীর্ঘদিন পর খেলতে গিয়ে উড়ন্ত ফর্ম ছিল পাকিস্তানের। পরপর দুই ম্যাচ জয়ের পর তারা হোঁচট খেয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে। রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে পাকিস্তানের ওয়ানডে বিশ্বকাপের চিত্রটা অবশ্য বরাবরই তিক্ততার। আটবারের দেখায় কোনটিতেই তারা জয় পায়নি। সর্বশেষ আহমেদাবাদে ভারতীয় দর্শকে ভর্তি গ্যালারির সামনেও অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন বাবর আজমরা। এরপর পুরো আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার। তার ভাষায়, ‘মনে হচ্ছে বিশ্বকাপ নয়, এটি কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ।’
ক্রিকেট বিশ্বের বৃহৎ ভেন্যু আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শকের অধিকাংশই ছিল ভারতীয়। দীর্ঘদিন ভিসা না পাওয়া পাকিস্তানের সমর্থকদের সংখ্যা ছিল তাই হাতেগোনা কয়েকজন। এমনকি টসের সময় পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে দুয়ো-ও শুনতে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভারতের পক্ষেই পুরো পরিবেশটা সাজানো হয়েছে বলে মত মিকি আর্থারের।
ম্যাচ শেষে দলীয় পারফরম্যান্স ভালো ছিল না উল্লেখ করে পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর বলেন, ‘সত্যি বলতে এটি দেখে ঠিক আইসিসি ইভেন্ট মনে হয়নি। মনে হয়েছে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, যেন এটি বিসিসিআইয়ের ইভেন্ট। আজ রাতে লাউড স্পিকারে “দিল দিল পাকিস্তান” খুব একটা শুনিনি।’
Mickey Arthur: "It didn't seem like an ICC event tonight" 🗣️#INDvPAK | #CWC23 pic.twitter.com/12PdMEcs0E
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) October 14, 2023
যদিও বিষয়টিকে ঠিক অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না আর্থার। একইসঙ্গে এমন পরিবেশ তৈরির জন্য সরাসরি অভিযোগও করেননি সাবেক এই প্রোটিয়া ক্রিকেটার, ‘হ্যাঁ, (ম্যাচে) এটির ভূমিকা ছিল, তবে একে অজুহাত হিসেবে দেখাতে চাই না। কারণ, সবাইকে ওই নির্দিষ্ট মুহূর্তে বাঁচতে হয়, পরবর্তী বলে কী হচ্ছে, কীভাবে ভারতীয়দের বিপক্ষে, ভারতের খেলোয়াড়দের বিপক্ষে লড়াই করব, সেটিই বড় ব্যাপার ছিল। এ (পুরো পরিবেশ) ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারব বলে মনে হয় না। আমি জরিমানা দিতে চাই না।’
পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ভুল ধরার পাশাপাশি ভারতীয়দের কৃতিত্ব দিতে ভুললেন না আর্থার, ‘আমার মনে হয়, আমাদের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে ঠিক নিজেদের মেলে ধরতে পারিনি। বড় একটা উপলক্ষ্য যেহেতু, আমাদের আরেকটু নিয়ন্ত্রণ নিতে হতো। আমরা একটু খোলসে ঢুকে গিয়েছিলাম। ২ উইকেটে ১৫৫ থেকে ১৯০-এর আশপাশে গিয়ে অলআউট হয়ে যাওয়া—মোটেও নেওয়া যায় না। ভারতকে কৃতিত্ব দিতে হয়, তারা অনেক ভালো বোলিং করেছে।’
আগামী ১৯ নভেম্বরে একই ভেন্যুতে বিশ্বকাপের শিরোপানির্ধারণী ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেও ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আশা করছেন আর্থার, ‘ভারত দলটি অনেক, অনেক ভালো একটা ক্রিকেট দল। আমার মনে হয় রাহুল (দ্রাবিড়) ও রোহিত (শর্মা) তাদের বেশ ভালোভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাদের দেখে বেশ ভালো মনে হচ্ছে। সবকিছুই আছে তাদের। ফাইনালে আবার তাদের সঙ্গে খেলতে মুখিয়ে আছি।’
বিজনেস বাংলাদেশ/একে