আইনি জটিলতায় দীর্ঘ ১৪ বছর পর পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কুপিয়ে হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। এ রায়ের আওতায় ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সাথে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৮ জনকে মুক্তিও দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১১টায় পাবনার বিশেষ জজ আদালতের (জেলা জজ) বিচারক আহসান তারেক এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ঈশ্বরদী উপজেলার বাবুলচারা গ্রামের ইউসুফ আলী শাহর ছেলে জিয়া শাহ ও মজিবর শাহ, মৃত গেদু শাহের ছেলে শাহজাহান শাহ, মৃত তফু শাহের ছেলে আতু শাহ, পরশ উল্লা শাহের সেন্টু শাহ ও মৃত গফুর শাহের ছেলে ইয়ারুল শাহ। আসামিরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
এজাহারে সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কৃষি জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ক্ষেতের মধ্যেই বাবুলচারা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান শাহের ছেলে সিকেন্দার শাহকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে আসামিরা। এঘটনায় নিহতের ভাই জিন্নাত শাহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দুই আসামি মৃত্যু হওয়ায় ২০১১ সালের ৪ জানুয়ারি ১৪ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক এবং আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কাজী সাইদুর রহমান। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও আসামিরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন দাবি করেন উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
বিজনেস বাংলাদেশ/একে




















