০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

কৃষক যেন গুদামে ধান নিয়ে এসে হয়রানির না হয়: খাদ্যমন্ত্রী

চালের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা থেকে চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৬০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। নতুন ধান বাজারে উঠতে শুরু করেছে, ধানের দামও এখন কম। এ অবস্থায় চালের দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আমনের ফলনও ভালো হয়েছে। দেশে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাদ্য মজুত আছে। চালের বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে। অজুহাত দিয়ে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।’

মিলমালিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘কোয়ালিটির মানদণ্ডে উত্তীর্ণ না হলে সেই চাল গুদামে পাঠাবেন না। চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো আপস হবে না।’ এ সময় তিনি খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ধান-চাল সংগ্রহের পরামর্শ দেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষক যেন গুদামে ধান নিয়ে এসে হয়রানির শিকার না হয়, সেটা খাদ্য কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করতে হবে। ফুডগ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া কেউ যেন ধান-চালের অবৈধ ব্যবসা করতে না পারে, সেদিকে প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে হবে।’ এ সময় পাক্ষিক মজুত-বিক্রির প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি।

এর আগে ৮ অক্টোবর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় চলতি বছর আমন ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি আমন ধান ৩০ টাকা, প্রতি কেজি আমন সেদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং আমন আতপ চালের দাম ৪৩ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হয়।

এ বছর আমন মৌসুমে ২ লাখ টন আমন ধান, ৪ লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং ১ লাখ টন আতপ চাল কেনা হবে। সরকারের ধান-চাল সংগ্রহের এই কার্যক্রম চলবে আগামী ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং নওগাঁসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মিলাররা।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি

জনপ্রিয়

কৃষক যেন গুদামে ধান নিয়ে এসে হয়রানির না হয়: খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৪:০৪:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

চালের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা থেকে চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৬০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। নতুন ধান বাজারে উঠতে শুরু করেছে, ধানের দামও এখন কম। এ অবস্থায় চালের দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আমনের ফলনও ভালো হয়েছে। দেশে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাদ্য মজুত আছে। চালের বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে। অজুহাত দিয়ে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।’

মিলমালিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘কোয়ালিটির মানদণ্ডে উত্তীর্ণ না হলে সেই চাল গুদামে পাঠাবেন না। চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো আপস হবে না।’ এ সময় তিনি খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ধান-চাল সংগ্রহের পরামর্শ দেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষক যেন গুদামে ধান নিয়ে এসে হয়রানির শিকার না হয়, সেটা খাদ্য কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করতে হবে। ফুডগ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া কেউ যেন ধান-চালের অবৈধ ব্যবসা করতে না পারে, সেদিকে প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে হবে।’ এ সময় পাক্ষিক মজুত-বিক্রির প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি।

এর আগে ৮ অক্টোবর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় চলতি বছর আমন ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি আমন ধান ৩০ টাকা, প্রতি কেজি আমন সেদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং আমন আতপ চালের দাম ৪৩ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হয়।

এ বছর আমন মৌসুমে ২ লাখ টন আমন ধান, ৪ লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং ১ লাখ টন আতপ চাল কেনা হবে। সরকারের ধান-চাল সংগ্রহের এই কার্যক্রম চলবে আগামী ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং নওগাঁসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মিলাররা।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি