১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ক্ষতিকর তামাকের পরিবর্তে ভুট্টা চাষে‌ ঝুঁকছেন কৃষক

লালমনিরহাটে পাটগ্রাম উপজেলায় কৃষকরা ক্ষতিকর তামাকের পরিবর্তে ভুট্টা চাষের দিকে আগ্রহ বাড়ছে। বাজারে ভালো মূল্য পাওয়ায় এই বছরে উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে পুষ্টিকর এই খাদ্যশস্যের চাষ বেড়েছে কয়েক গুণ।

বিভিন্ন তামাকজাত কোম্পানির প্রলোভনে এক দশকের বেশি সময় ধরে এ উপজেলায় চাষ হয়ে আসছে ক্ষতিকর তামাক। দেরিতে হলেও কোম্পানিগুলোর ঠকবাজি বুঝতে পেরে কৃষকরা তামাক চাষের বিকল্প হিসেবে বেছে নিচ্ছেন ভুট্টাসহ মৌসুমি রবি শস্য চাষ।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৬০০ হেক্টরে। এ ছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪ হাজার ৩০০ হেক্টরে ও ২০২২-২৩ অর্থবছর ৩ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়।

জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪, দহগ্রাম, জগতবেড়, কুচলিবাড়ি, পাটগ্রাম ও জোংড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে সরিষা ও ভুট্টার ক্ষেত বেশি। অনেক জমি ফাঁকা রয়েছে, যেখানে বোরো ধান আবাদের প্রস্তুতি চলছে। বড় মসজিদের পাড় গ্রামের কৃষক মোঃ সাইফুল বলেন, ‘তামাক চাষে যে নিজের ও পরিবারের লোকজনের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় তা বুঝতে পেরেছি। এজন্য এখন তামাক ছেড়ে ভুট্টার চাষ করছি। এতে লাভও বেশি হচ্ছে।’

কালিরহাট বাজার এলাকার কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, ‘আমি ২ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করার জন্য বীজতলা তৈরি করেছি। ২ বিঘা জমিতে ভুট্টা লাগাব। বাকি জমিতে সরিষা ও শাকসবজি চাষ করেছি।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল গফ্ফার জানান, প্রতি মৌসুমেই তামাকের চাষ কমে যাচ্ছে। কৃষকরা ভুট্টা চাষের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। তা ছাড়া অন্য রবি ফসল চাষের পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

জনপ্রিয়

ক্ষতিকর তামাকের পরিবর্তে ভুট্টা চাষে‌ ঝুঁকছেন কৃষক

প্রকাশিত : ০২:৫৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

লালমনিরহাটে পাটগ্রাম উপজেলায় কৃষকরা ক্ষতিকর তামাকের পরিবর্তে ভুট্টা চাষের দিকে আগ্রহ বাড়ছে। বাজারে ভালো মূল্য পাওয়ায় এই বছরে উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে পুষ্টিকর এই খাদ্যশস্যের চাষ বেড়েছে কয়েক গুণ।

বিভিন্ন তামাকজাত কোম্পানির প্রলোভনে এক দশকের বেশি সময় ধরে এ উপজেলায় চাষ হয়ে আসছে ক্ষতিকর তামাক। দেরিতে হলেও কোম্পানিগুলোর ঠকবাজি বুঝতে পেরে কৃষকরা তামাক চাষের বিকল্প হিসেবে বেছে নিচ্ছেন ভুট্টাসহ মৌসুমি রবি শস্য চাষ।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৬০০ হেক্টরে। এ ছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪ হাজার ৩০০ হেক্টরে ও ২০২২-২৩ অর্থবছর ৩ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়।

জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪, দহগ্রাম, জগতবেড়, কুচলিবাড়ি, পাটগ্রাম ও জোংড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে সরিষা ও ভুট্টার ক্ষেত বেশি। অনেক জমি ফাঁকা রয়েছে, যেখানে বোরো ধান আবাদের প্রস্তুতি চলছে। বড় মসজিদের পাড় গ্রামের কৃষক মোঃ সাইফুল বলেন, ‘তামাক চাষে যে নিজের ও পরিবারের লোকজনের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় তা বুঝতে পেরেছি। এজন্য এখন তামাক ছেড়ে ভুট্টার চাষ করছি। এতে লাভও বেশি হচ্ছে।’

কালিরহাট বাজার এলাকার কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, ‘আমি ২ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করার জন্য বীজতলা তৈরি করেছি। ২ বিঘা জমিতে ভুট্টা লাগাব। বাকি জমিতে সরিষা ও শাকসবজি চাষ করেছি।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল গফ্ফার জানান, প্রতি মৌসুমেই তামাকের চাষ কমে যাচ্ছে। কৃষকরা ভুট্টা চাষের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। তা ছাড়া অন্য রবি ফসল চাষের পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে