০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ফুফাতো বোনকে অপহরণপূর্বক ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামী ইলিয়াস মাতবার’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৩ বিভিন্ন হত্যাকান্ডের দীর্ঘদিন যাবৎ আত্মগোপনে থাকা ধর্ষর্ণ মামলাসহ বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ও ক্লু-লেস হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনপূর্বক হত্যাকারীদেরকে গ্রেফতার করে দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে র্যাব-৩ সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৩ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর ডেমরা থানাধীন এলাকায় ফুফাতো বোনকে অপহরণ পূর্বক ধর্ষণ মামলায় প্রধান সহযোগী ইলিয়াস মাতবর (৪০)’কে ঢাকা মহানগরীর দারুস-সালাম থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও মামলার সূত্রে জানা যায় যে, মামলার বাদী রুমা বেগম ও তার কন্যা সোনালী আক্তার আইরিন (১৬) দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানীর ডেমরা থানাধীন এলাকায় বসবাস করত। একই এলাকায় তার ভাইপো মোঃ রিয়াজ মাদবর মামুন (২২) বসবাস করত। রুমা বেগম এর কন্যা ভিকটিম সোনালী আক্তার আইরিন ডেমরা থানাধীন শান্তিবাগস্থ রেনেসা একাডেমীতে ৯ম শ্রেনীতে পড়াশোনা করত। সে স্কুলে যাওয়ার পথে তার মামাতো ভাই মোঃ রিয়াজ মাদবর বারবার প্রেমের প্রস্তাব দিত এবং মোবাইলে কল দিয়ে ডিস্টার্ব করত। বিষয়টি ভিকটিম সোনালী তার মা রুমা বেগমকে জানালে রুমা বেগম তার ভাইপো রিয়াজ মাদবরকে ডিস্টার্ব না করার জন্য বলে। এতে করে রিয়াজ ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে দেখে নেবে বলে হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে সে এবং ধৃত ইলিয়াস মাতবর গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং সকালে ভিকটিম সোনালীকে স্কুলের রাস্তায় একা পেয়ে ফুসলিয়ে জোরপূর্বক অপহরন করে দারুস-সালাম এলাকায় নিয়ে যায়। দীর্ঘসময় ভিকটিম বাড়িতে না যাওয়ায় তার মা রুমা বেগম বিভিন্ন স্থানে তাকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে লোকমুখে জানতে পারে তার মেয়ে সোনালীকে শান্তিবাগ মসজিদের সামনে রাস্তার উপর থেকে রিয়াজ মাদবর ও আরও কয়েকজন ব্যক্তি মিলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা রুমা বাদী হয়ে ডেমরা থানায় রিয়াজ মাদবর এবং ১/২ জন ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত শেষে জানা যায় যে, রিয়াজ মাদবর ভিকটিম সোনালীকে অপহরণ করে এবং তার অপহরণের সকল কাজে ধৃত ইলিয়াস মাদবর সহযোগিতা করে। ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট ও ভিকটিমের জবানবন্দিতে জানা যায় রিয়াজ ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিক বার ধর্ষণ করে। আর এ কাজে ধৃত ইলিয়াস মাতবর সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে। অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই ধৃত ইলিয়াস এলাকা পরিবর্তন করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পলাতক জীবন যাপন করে আসছিল।গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

দাউদকান্দিতে মেধাবী অন্বেষণ পরীক্ষার কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধণা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

ফুফাতো বোনকে অপহরণপূর্বক ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামী ইলিয়াস মাতবার’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

প্রকাশিত : ০৮:২৯:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৩ বিভিন্ন হত্যাকান্ডের দীর্ঘদিন যাবৎ আত্মগোপনে থাকা ধর্ষর্ণ মামলাসহ বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ও ক্লু-লেস হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনপূর্বক হত্যাকারীদেরকে গ্রেফতার করে দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে র্যাব-৩ সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৩ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর ডেমরা থানাধীন এলাকায় ফুফাতো বোনকে অপহরণ পূর্বক ধর্ষণ মামলায় প্রধান সহযোগী ইলিয়াস মাতবর (৪০)’কে ঢাকা মহানগরীর দারুস-সালাম থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও মামলার সূত্রে জানা যায় যে, মামলার বাদী রুমা বেগম ও তার কন্যা সোনালী আক্তার আইরিন (১৬) দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানীর ডেমরা থানাধীন এলাকায় বসবাস করত। একই এলাকায় তার ভাইপো মোঃ রিয়াজ মাদবর মামুন (২২) বসবাস করত। রুমা বেগম এর কন্যা ভিকটিম সোনালী আক্তার আইরিন ডেমরা থানাধীন শান্তিবাগস্থ রেনেসা একাডেমীতে ৯ম শ্রেনীতে পড়াশোনা করত। সে স্কুলে যাওয়ার পথে তার মামাতো ভাই মোঃ রিয়াজ মাদবর বারবার প্রেমের প্রস্তাব দিত এবং মোবাইলে কল দিয়ে ডিস্টার্ব করত। বিষয়টি ভিকটিম সোনালী তার মা রুমা বেগমকে জানালে রুমা বেগম তার ভাইপো রিয়াজ মাদবরকে ডিস্টার্ব না করার জন্য বলে। এতে করে রিয়াজ ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে দেখে নেবে বলে হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে সে এবং ধৃত ইলিয়াস মাতবর গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং সকালে ভিকটিম সোনালীকে স্কুলের রাস্তায় একা পেয়ে ফুসলিয়ে জোরপূর্বক অপহরন করে দারুস-সালাম এলাকায় নিয়ে যায়। দীর্ঘসময় ভিকটিম বাড়িতে না যাওয়ায় তার মা রুমা বেগম বিভিন্ন স্থানে তাকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে লোকমুখে জানতে পারে তার মেয়ে সোনালীকে শান্তিবাগ মসজিদের সামনে রাস্তার উপর থেকে রিয়াজ মাদবর ও আরও কয়েকজন ব্যক্তি মিলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা রুমা বাদী হয়ে ডেমরা থানায় রিয়াজ মাদবর এবং ১/২ জন ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত শেষে জানা যায় যে, রিয়াজ মাদবর ভিকটিম সোনালীকে অপহরণ করে এবং তার অপহরণের সকল কাজে ধৃত ইলিয়াস মাদবর সহযোগিতা করে। ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট ও ভিকটিমের জবানবন্দিতে জানা যায় রিয়াজ ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিক বার ধর্ষণ করে। আর এ কাজে ধৃত ইলিয়াস মাতবর সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে। অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই ধৃত ইলিয়াস এলাকা পরিবর্তন করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পলাতক জীবন যাপন করে আসছিল।গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন