১২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪
অবৈধ সম্পদ অর্জন

সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শামসুদ্দোহা ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার ও তার স্ত্রীর ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।

 

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেনের কাছে চার্জশিট দাখিল করে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা।

 

২০১৯ সালে এই দম্পত্তির বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

 

দুদক বলছে, এ দম্পতি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের মালিক। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১ হাজার ২৭ শতক জমি আছে তাদের নামে। দলিলে এসব জমির দাম ৭০ কোটি টাকা দেখানো হলেও আদতে বাজারদর প্রায় ৫শ কোটি টাকার বেশি।

 

এছাড়া রাজধানীর গুলশানের ১৩৫ নম্বর রোডের এসইএস (এ) ৬ নম্বর প্লটে ১ বিঘা জমির ওপর নির্মিত একটি সরকারি ডুপ্লেক্স বাড়ি আট বছর ধরে দখলে রেখেছেন শামসুদ্দোহা, যার মূল্য প্রায় ২শ কোটি টাকা। এই আট বছরের সরকারকে কোনো ভাড়া দেনইনি উল্টো বাড়িটি বরাদ্দ চেয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন পুলিশের এই সাবেক কর্মকর্তা।

 

গত ১৮ মার্চ আদালত তাদের এসব সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ দেয়। পরদিন শামসুদ্দোহা খন্দকার উচ্চ আদালতে আপিল করলে ঐ আদেশ স্থগিত হয়ে যায়।

 

জানা গেছে, দেশে নেই এই দম্পতি। সম্প্রতি পুলিশের সাবেক র্শীষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্ণীতি অভিযোগ ওঠার পর দুদকের তৎপরতার মধ্যেই পরিবার নিয়ে কানাডা চলে গেছেন শামসুদ্দোহা। সেখানে তার এক মেয়ে ও ছোট ছেলে পড়াশোনা করে।

 

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ইএম /এমএইচ

ট্যাগ :

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ‍দিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা

অবৈধ সম্পদ অর্জন

সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শামসুদ্দোহা ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

প্রকাশিত : ০৩:৫৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার ও তার স্ত্রীর ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।

 

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেনের কাছে চার্জশিট দাখিল করে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা।

 

২০১৯ সালে এই দম্পত্তির বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

 

দুদক বলছে, এ দম্পতি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের মালিক। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১ হাজার ২৭ শতক জমি আছে তাদের নামে। দলিলে এসব জমির দাম ৭০ কোটি টাকা দেখানো হলেও আদতে বাজারদর প্রায় ৫শ কোটি টাকার বেশি।

 

এছাড়া রাজধানীর গুলশানের ১৩৫ নম্বর রোডের এসইএস (এ) ৬ নম্বর প্লটে ১ বিঘা জমির ওপর নির্মিত একটি সরকারি ডুপ্লেক্স বাড়ি আট বছর ধরে দখলে রেখেছেন শামসুদ্দোহা, যার মূল্য প্রায় ২শ কোটি টাকা। এই আট বছরের সরকারকে কোনো ভাড়া দেনইনি উল্টো বাড়িটি বরাদ্দ চেয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন পুলিশের এই সাবেক কর্মকর্তা।

 

গত ১৮ মার্চ আদালত তাদের এসব সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ দেয়। পরদিন শামসুদ্দোহা খন্দকার উচ্চ আদালতে আপিল করলে ঐ আদেশ স্থগিত হয়ে যায়।

 

জানা গেছে, দেশে নেই এই দম্পতি। সম্প্রতি পুলিশের সাবেক র্শীষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্ণীতি অভিযোগ ওঠার পর দুদকের তৎপরতার মধ্যেই পরিবার নিয়ে কানাডা চলে গেছেন শামসুদ্দোহা। সেখানে তার এক মেয়ে ও ছোট ছেলে পড়াশোনা করে।

 

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ইএম /এমএইচ