১১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনার চাপেই শেষ পর্যন্ত খালেদা গ্যাস রপ্তানি করতে পারেনি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা‌‌ দেশের গ্যাস সম্পদ রপ্তানি নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, সে প্রসঙ্গে‌ গতকাল কথা বলতে গিয়ে নিজের অবদানের কথাটি বলেননি। খালেদা জিয়া যে শেখ হাসিনার অনঢ় অবস্থানের কারণেই শেষ পর্যন্ত গ্যাস রপ্তানি করতে পারেনি, আত্মপ্রচার বিমুখ শেখ হাসিনা তার সেই অবদানের কথা সেখানে উল্লেখ করেননি। দেশের গ্যাস সম্পদ বিদেশে রপ্তানি করতে রাজি না হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ২০০১ সালের ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, ২০০১ সালের ১লা অক্টোবরের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা দেশের সীমিত গ্যাস সম্পদ বিদেশে রপ্তানির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেন। তার এই দৃঢ় অবস্থানের কারণেই শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়া গ্যাস রপ্তানি করতে পারেনি।

শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গ্যাস রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিলে জনগণ সরকার পতনের আন্দোলনে নামবে। দেশের নিজস্ব চাহিদা মেটানোর জন্য ৫০ বছরের গ্যাস মজুদ রাখতে হবে। ডেইলি স্টার ২০০৩ সালের ৮ আগস্ট রিপোর্ট করেছিল, ‘Hasina warns against gas export.’ এছাড়া ২০০৩ সালে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়াতে গ্যাস রপ্তানির সিদ্ধান্তের কারণে গণঅভ্যুত্থানে সে দেশের সরকারের পতন হয়েছিল। সেই খবর সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল।

দেশের সীমিত গ্যাস সম্পদ বিদেশে বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসলেও খালেদা জিয়ার সরকারের সময় দেশে ব্যাপক গ্যাস সংকট শুরু হয়। নতুন কোন গ্যাস ক্ষেত্রও আবিষ্কৃত হয়নি। বিদেশে রপ্তানি করার মতো কোন গ্যাস বাংলাদেশের ছিল না। তা সত্ত্বেও খালেদা জিয়া দেশের সীমিত গ্যাস সম্পদ বিদেশে রপ্তানি করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। খালেদার নির্দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা প্রস্তুত করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করেছিল। এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। ১৯৯৮ সালে বিশ্বব্যাংকের এক রিপোর্টে বাংলাদেশকে ২০০২ সালের মধ্যে বিদেশে গ্যাস রপ্তানির পরামর্শ দেওয়া হয়। বিএনপি’র ২০০১ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের ইংরেজি সংস্করণে গ্যাস রপ্তানির ক্ষেত্রে তাদের অঙ্গীকারের বিষয়টি উল্লেখ করেছিল।

গ্যাস রপ্তানির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক গণআন্দোলন শুরু হবে এবং এ আন্দোলনে বলিভিয়ার মতো সরকার পতনের ঘটনা ঘটতে পারে, এ ধরনের তথ্য খালেদার কাছে ছিল। তাই শেষ পর্যন্ত খালেদা ২০০৩ সালের অক্টোবরে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। ‌

বিএনপি-জামাত জোট সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে সরকার পতনের আশঙ্কা না থাকলে তারা অবশ্যই গ্যাস রপ্তানি করতো। আর সেই সময় যদি খালেদা জিয়া আমাদের সীমিত গ্যাস সম্পদ রপ্তানি করতে পারতো, তাহলে বহু আগেই দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে দেশ দেউলিয়া হয়ে যেতো।‌ ইতিহাস বলে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পর তার কন্যা শেখ হাসিনাই বারবার দেশকে রক্ষা করেছেন।

লেখক: ড. সেলিম মাহমুদ

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

শেখ হাসিনার চাপেই শেষ পর্যন্ত খালেদা গ্যাস রপ্তানি করতে পারেনি

প্রকাশিত : ০৩:৪৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা‌‌ দেশের গ্যাস সম্পদ রপ্তানি নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, সে প্রসঙ্গে‌ গতকাল কথা বলতে গিয়ে নিজের অবদানের কথাটি বলেননি। খালেদা জিয়া যে শেখ হাসিনার অনঢ় অবস্থানের কারণেই শেষ পর্যন্ত গ্যাস রপ্তানি করতে পারেনি, আত্মপ্রচার বিমুখ শেখ হাসিনা তার সেই অবদানের কথা সেখানে উল্লেখ করেননি। দেশের গ্যাস সম্পদ বিদেশে রপ্তানি করতে রাজি না হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ২০০১ সালের ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, ২০০১ সালের ১লা অক্টোবরের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা দেশের সীমিত গ্যাস সম্পদ বিদেশে রপ্তানির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেন। তার এই দৃঢ় অবস্থানের কারণেই শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়া গ্যাস রপ্তানি করতে পারেনি।

শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গ্যাস রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিলে জনগণ সরকার পতনের আন্দোলনে নামবে। দেশের নিজস্ব চাহিদা মেটানোর জন্য ৫০ বছরের গ্যাস মজুদ রাখতে হবে। ডেইলি স্টার ২০০৩ সালের ৮ আগস্ট রিপোর্ট করেছিল, ‘Hasina warns against gas export.’ এছাড়া ২০০৩ সালে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়াতে গ্যাস রপ্তানির সিদ্ধান্তের কারণে গণঅভ্যুত্থানে সে দেশের সরকারের পতন হয়েছিল। সেই খবর সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল।

দেশের সীমিত গ্যাস সম্পদ বিদেশে বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসলেও খালেদা জিয়ার সরকারের সময় দেশে ব্যাপক গ্যাস সংকট শুরু হয়। নতুন কোন গ্যাস ক্ষেত্রও আবিষ্কৃত হয়নি। বিদেশে রপ্তানি করার মতো কোন গ্যাস বাংলাদেশের ছিল না। তা সত্ত্বেও খালেদা জিয়া দেশের সীমিত গ্যাস সম্পদ বিদেশে রপ্তানি করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। খালেদার নির্দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা প্রস্তুত করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করেছিল। এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। ১৯৯৮ সালে বিশ্বব্যাংকের এক রিপোর্টে বাংলাদেশকে ২০০২ সালের মধ্যে বিদেশে গ্যাস রপ্তানির পরামর্শ দেওয়া হয়। বিএনপি’র ২০০১ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের ইংরেজি সংস্করণে গ্যাস রপ্তানির ক্ষেত্রে তাদের অঙ্গীকারের বিষয়টি উল্লেখ করেছিল।

গ্যাস রপ্তানির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক গণআন্দোলন শুরু হবে এবং এ আন্দোলনে বলিভিয়ার মতো সরকার পতনের ঘটনা ঘটতে পারে, এ ধরনের তথ্য খালেদার কাছে ছিল। তাই শেষ পর্যন্ত খালেদা ২০০৩ সালের অক্টোবরে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। ‌

বিএনপি-জামাত জোট সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে সরকার পতনের আশঙ্কা না থাকলে তারা অবশ্যই গ্যাস রপ্তানি করতো। আর সেই সময় যদি খালেদা জিয়া আমাদের সীমিত গ্যাস সম্পদ রপ্তানি করতে পারতো, তাহলে বহু আগেই দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে দেশ দেউলিয়া হয়ে যেতো।‌ ইতিহাস বলে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পর তার কন্যা শেখ হাসিনাই বারবার দেশকে রক্ষা করেছেন।

লেখক: ড. সেলিম মাহমুদ