০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

ইশরাককে বিজয়ী ঘোষণা: গেজেট প্রকাশে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাল ইসি

ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত জানতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।

এর আগে ২৭ মার্চ ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফল বাতিল করে সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত।

ইশরাক হোসেন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ে মেয়র হিসেবে বিজয়ী হওয়ার পর আদালতেই তিনি বিজয় মিছিল করেন।

ইশরাক হোসেনের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের প্রার্থী ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা করা হয়, ইভিএম মেশিনে ভোট জালিয়াতি করা হয়, নির্বাচনে ভোটারদের ভোটগ্রহণে বাধা দেয়া হয়, নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি করা হয়। এতসব জালিয়াতির পরেও নির্বাচন কমিশন শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র ঘোষণা করে। নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে ২০২০ সালের ৩ মার্চ ইশরাক হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালত পূর্ণাঙ্গ শুনানি নিয়ে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করেছেন।

ইশরাক মামলার আবেদনে অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ছিলেন একজন মেয়র প্রার্থী। ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী কর্মী, তাদের এজেন্টদের মারধর করা হয়। এ নিয়ে তখন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও সেগুলো আমলে নেয়া হয়নি। বরং নির্বাচন কমিশন নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন। নির্বাচনের দিন তার এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়।ৎ

মামলায় তিনি আরও দাবি করেন, ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি শেখ ফজলে নূর তাপস নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করে রঙিন পোস্টার লাগান। এ বিষয়ে ইশরাক নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও দিয়েছিলেন। এরপর ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি ইশরাক হোসেনের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা। তার নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহৃত মাইক ভাঙচুর করা হয়।

ইশরাক অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ছিলেন একজন মেয়র প্রার্থী। ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী কর্মী, তাদের এজেন্টদের মারধর করা হয়। এ নিয়ে তখন গণমাধ্যমে প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও সেগুলো আমলে নেয়া হয়নি। বরং নির্বাচন কমিশন নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন। নির্বাচনের দিন তার এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়।

ডিএস./

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ করে আন্দোলন করছে বিএনপি : উপদেষ্টা আসিফ

ইশরাককে বিজয়ী ঘোষণা: গেজেট প্রকাশে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাল ইসি

প্রকাশিত : ০২:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত জানতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।

এর আগে ২৭ মার্চ ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফল বাতিল করে সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত।

ইশরাক হোসেন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ে মেয়র হিসেবে বিজয়ী হওয়ার পর আদালতেই তিনি বিজয় মিছিল করেন।

ইশরাক হোসেনের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের প্রার্থী ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা করা হয়, ইভিএম মেশিনে ভোট জালিয়াতি করা হয়, নির্বাচনে ভোটারদের ভোটগ্রহণে বাধা দেয়া হয়, নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি করা হয়। এতসব জালিয়াতির পরেও নির্বাচন কমিশন শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র ঘোষণা করে। নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে ২০২০ সালের ৩ মার্চ ইশরাক হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালত পূর্ণাঙ্গ শুনানি নিয়ে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করেছেন।

ইশরাক মামলার আবেদনে অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ছিলেন একজন মেয়র প্রার্থী। ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী কর্মী, তাদের এজেন্টদের মারধর করা হয়। এ নিয়ে তখন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও সেগুলো আমলে নেয়া হয়নি। বরং নির্বাচন কমিশন নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন। নির্বাচনের দিন তার এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়।ৎ

মামলায় তিনি আরও দাবি করেন, ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি শেখ ফজলে নূর তাপস নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করে রঙিন পোস্টার লাগান। এ বিষয়ে ইশরাক নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও দিয়েছিলেন। এরপর ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি ইশরাক হোসেনের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা। তার নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহৃত মাইক ভাঙচুর করা হয়।

ইশরাক অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ছিলেন একজন মেয়র প্রার্থী। ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী কর্মী, তাদের এজেন্টদের মারধর করা হয়। এ নিয়ে তখন গণমাধ্যমে প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও সেগুলো আমলে নেয়া হয়নি। বরং নির্বাচন কমিশন নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন। নির্বাচনের দিন তার এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়।

ডিএস./