ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে প্রবল মেঘ বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যার পর আটকা পড়া কয়েক ডজন লোককে উদ্ধারকারীরা খুঁজছেন। এর ফলে চার জন নিহত এবং ৫০ জনেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার ধরালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, ঘটনায় ৪০ থেকে ৫০টি বাড়ি ভেসে গেছে এবং ৫০ জনেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। ‘সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীসহবিভিন্ন উদ্ধারকারী দল উত্তরকাশী জেলার ধরলি গ্রামে পৌঁছেছে যা বন্যার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ বলে মনে করা হচ্ছে।’
দুর্যোগের ভিডিওতে দেখা গেছে যে, বিশাল এক জলরাশি ওই এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে, যার ফলে ভবনগুলো ভেঙে পড়ছে। পর্যটন কেন্দ্র ধরলিতে অনেকে হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আস্থা পাওয়ার জানিয়েছেন, তার চোখের সামনে বেশ কয়েকটি হোটেল ভেসে গেছে এবং কর্তৃপক্ষের দিক থেকে কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি।
ভূমিধসের কারণে উত্তরাখণ্ড জুড়ে পাঁচটি জাতীয় মহাসড়ক, সাতটি রাজ্য মহাসড়ক এবং দুটি সীমান্ত সড়ক সহ ১৬৩টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে উদ্ধারকাজ আরও ব্যাহত হচ্ছে।
হিমাচল প্রদেশে, কিন্নৌরের নিগুলসারির কাছে ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কটি ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধসের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শিমলার চাক্কি মোড়ে ভূমিধসের কারণে চণ্ডীগড়-শিমলা জাতীয় সড়কটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোলান জেলার পারওয়ানুর কাছে চাক্কি মোড়ে ধ্বংসাবশেষ পড়ে যাওয়ার কারণে এ মহাসড়কটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীর তথ্যমতে, ভূমিধস ও মেঘ ভাঙনের ফলে নিকটবর্তী সেনা ক্যাম্পের একটি অংশ এবং উদ্ধারকারী দলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং ত্রাণ দল মোতায়েন করা হয়েছে।
মেঘ ভাঙন হলো অল্প সময়ের মধ্যে একটি ছোট এলাকায় হঠাৎ করেই বৃষ্টিপাত, যা প্রায়শই আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি করে।
ডিএস./