২০০১ থেকে ২০০৬—এই পাঁচ বছর ছিল বিএনপির তৃণমূল পুনর্জাগরণের স্বর্ণ অধ্যায়। জনাব তারেক রহমান তখন ঘুরে বেড়িয়েছেন গ্রামের মেঠোপথ থেকে শহরের জনপদে, সংগঠিত করেছেন তরুণদের, জাগিয়েছেন জাতীয়তাবাদের অগ্নিশিখা। যুব সমাজকে শক্তি ও সাহস দিয়েছেন—যারা দেশের জন্য স্বপ্ন দেখতে শিখেছে তাঁর হাত ধরেই।কিন্তু ২০০৭ সালে ষড়যন্ত্রের কালো ঝড় বইল। দেশপ্রেমিক এই নেতাকে রাজনৈতিকভাবে নির্মূল করার জন্য সাজানো হলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা। গ্রেফতারের পর নির্যাতনের নির্মম অধ্যায় তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি—বরং তাঁর সংকল্পকে করে তুলেছিল আগুনের মতো দৃঢ়।
২০১৮ সালে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফরমাইশী রায়ে কারাগারে পাঠিয়ে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলিত করার চেষ্টা করা হয়। ঠিক তখনই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন জনাব তারেক রহমান। তিনি বুঝেছিলেন—দলকে বাঁচাতে হলে তৃণমূল থেকে অঙ্গসংগঠন পর্যন্ত নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি আবার দাঁড়ায় শক্ত ভিতের ওপর, জনগণের হৃদয়ে ফিরে আসে বিশ্বাস ও আস্থা।
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে তিনি শুধু বিএনপিকে নয়—সমস্ত বিরোধী শক্তিকে এক মঞ্চে নিয়ে আসেন। তাঁর দূরদর্শী চিন্তাধারায় জন্ম নেয় ৩১ দফা রাষ্ট্র মেরামতের সংস্কার প্রস্তাব—যা বিশেষজ্ঞদের মতে এক প্রজন্মের জন্য পথনকশা, একটি জাতির পুনর্জন্মের ঘোষণা।
ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তাঁর বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত স্লোগান—“দফা এক, দাবি এক—খুনী হাসিনার পদত্যাগ”—বাংলাদেশের আকাশে-বাতাসে বজ্রপাতের মতো প্রতিধ্বনিত হয়। তাঁর নেতৃত্বেই গণঅভ্যুত্থান সফল হয়, আর পতনের মুখে পালিয়ে যায় এক দশকের স্বৈরশাসন।
আজ গোটা জাতি তাকিয়ে আছে ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনের দিকে—যেখানে তারা দেখতে চায় এক নতুন ভোরের প্রধানমন্ত্রী, তারেক রহমান। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ, প্রগতিশীল ও আওয়ামী জঞ্জালমুক্ত—এই বিশ্বাসে বুক ভরে উঠছে কোটি মানুষের।
দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে নগরের অলি-গলিতে, প্রত্যাশার ঢেউ একটাই—খুব শিগগিরই প্রবাসের মাটি ছেড়ে দেশের মাটিতে পা রাখবেন তিনি, হাতে তুলে নেবেন আগামীর বাংলাদেশের হাল। আর সেই দিনটি হবে—বাংলাদেশের নবজাগরণের সূর্যোদয়।
লেখক:
ড. খন্দকার মারুফ হোসেন
সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিএনপি