০৩:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত রয়েছে: যুক্তরাষ্ট্র

ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িতেদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার খুবই কম পদক্ষেপ নিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনবিষয়ক একটি প্রতিবেদন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে  প্রকাশ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেআইনি বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নিখোঁজ হওয়া, নির্যাতন বা অমানবিক আচরণ, বেআইনি গ্রেপ্তার বা আটকসহ ভারতে নানা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।

প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রিস্টান কুকি ও প্রধানত হিন্দু মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সংঘাত চলতে থাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত সংঘাতে ৪৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। সংঘাত নিরসনে সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ স্টান গান ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে।

এ ছাড়া বিক্ষোভের পর রাজ্যের কিছু এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করে সরকার। মণিপুরে মানবিক সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত একটি প্যানেলও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে, বেআইনি বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নিখোঁজ হওয়া, নির্যাতন বা অমানবিক আচরণ, বেআইনি গ্রেপ্তার বা আটক, বিদেশে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আন্তঃদেশীয় দমন, সংঘাতে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন, মাওবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোতে শিশুদের অবৈধভাবে নিয়োগ বা ব্যবহার, মতপ্রকাশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় গুরুতর বাধা; যার মধ্যে সাংবাদিকদের ওপর হামলা বা হত্যার হুমকি, অযৌক্তিক গ্রেপ্তার বা মামলা, সেন্সরশিপ এবং জোরপূর্বক গর্ভপাত বা বন্ধ্যাকরণের ঘটনাও রয়েছে।

এ ছাড়া ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মিরে তারা ২০ জন নিরাপত্তা সদস্য ও ১৮ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসবাদ-সংক্রান্ত এসব অপরাধের তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম চালিয়েছে।

ডিএস./

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রার প্রথম চারটিই মুসলিম দেশের!

ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত রয়েছে: যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত : ১২:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িতেদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার খুবই কম পদক্ষেপ নিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনবিষয়ক একটি প্রতিবেদন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে  প্রকাশ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেআইনি বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নিখোঁজ হওয়া, নির্যাতন বা অমানবিক আচরণ, বেআইনি গ্রেপ্তার বা আটকসহ ভারতে নানা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।

প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রিস্টান কুকি ও প্রধানত হিন্দু মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সংঘাত চলতে থাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত সংঘাতে ৪৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। সংঘাত নিরসনে সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ স্টান গান ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে।

এ ছাড়া বিক্ষোভের পর রাজ্যের কিছু এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করে সরকার। মণিপুরে মানবিক সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত একটি প্যানেলও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে, বেআইনি বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নিখোঁজ হওয়া, নির্যাতন বা অমানবিক আচরণ, বেআইনি গ্রেপ্তার বা আটক, বিদেশে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আন্তঃদেশীয় দমন, সংঘাতে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন, মাওবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোতে শিশুদের অবৈধভাবে নিয়োগ বা ব্যবহার, মতপ্রকাশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় গুরুতর বাধা; যার মধ্যে সাংবাদিকদের ওপর হামলা বা হত্যার হুমকি, অযৌক্তিক গ্রেপ্তার বা মামলা, সেন্সরশিপ এবং জোরপূর্বক গর্ভপাত বা বন্ধ্যাকরণের ঘটনাও রয়েছে।

এ ছাড়া ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মিরে তারা ২০ জন নিরাপত্তা সদস্য ও ১৮ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসবাদ-সংক্রান্ত এসব অপরাধের তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম চালিয়েছে।

ডিএস./