০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

পড়াশোনার খরচ জোগাতে মাদক ব্যবসায় শিক্ষার্থী!

পরিবার অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল নয়। তাই পড়াশুনার খরচ মেটানো কঠিন। এ জন্য স্টুডেন্ট লোন নেন যুক্তরাজ্যের হ্যারি। আর সেই লোন পরিশোধ করতে মাদকের ব্যবসা করেন। তবে তার আয়ের অধিকাংশই ব্যয় হয়ে যায় দৈনন্দিন খরচ চালাতে।

হ্যারির বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই ব্যাপকভাবে মাদকের চল রয়েছে।

হ্যারি বলেন, কারো না কারো কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের মাদক পেয়েই যায়। তাই সেই কেউ না কেউ আমি হলে ক্ষতি কি!

এই ছাত্র আরো বলেন, আপনি যখন শিক্ষার্থী, তখন দেখবেন আপনার আশেপাশে কেউ না কেউ মাদক গ্রহণ করছে। তাই এই বাজারটা ধরতে পারা সহজ। তিনি এও জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যায় গড়ে ২০ জনের মত গ্রাহককে মাদকদ্রব্য সরবরাহ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ায় অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তার কাছ থেকে মাদক কিনতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।

এদিকে হ্যারির এই ব্যবসা সম্পূর্ণ অবৈধ। বেআইনিভাবে কোকেন, এমডিএমএ বা ম্যাজিক মাশরুমের মাদক সরবরাহ করার অপরাধে যুক্তরাজ্যে বিশাল অঙ্কের অর্থ জরিমানা বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি হতে পারে।

এই ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত হ্যারি। তাই তিনি চান বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকিয়ে ফেলার পাশাপাশি এই কাজও থামিয়ে দেবেন। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ বহন করার জন্যই এই পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।

হ্যারি মনে করেন মাদক ব্যবসা তাকে যতটা সাহায্য করছে, তার চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ফেলছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই পেশা ত্যাগ করতে চান তিনি।

হ্যারি বলেন, আমি অবশ্যই আমার বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রির ওপর ভিত্তি করে ক্যারিয়ার গঠন করতে চাই।

গতবছরের ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের অপরাধ গবেষণার তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী ১২ লাখ মানুষ বেআইনি মাদক গ্রহণ করেছে। খবর: বিবিসি বাংলা

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

পড়াশোনার খরচ জোগাতে মাদক ব্যবসায় শিক্ষার্থী!

প্রকাশিত : ০৬:৫১:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

পরিবার অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল নয়। তাই পড়াশুনার খরচ মেটানো কঠিন। এ জন্য স্টুডেন্ট লোন নেন যুক্তরাজ্যের হ্যারি। আর সেই লোন পরিশোধ করতে মাদকের ব্যবসা করেন। তবে তার আয়ের অধিকাংশই ব্যয় হয়ে যায় দৈনন্দিন খরচ চালাতে।

হ্যারির বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই ব্যাপকভাবে মাদকের চল রয়েছে।

হ্যারি বলেন, কারো না কারো কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের মাদক পেয়েই যায়। তাই সেই কেউ না কেউ আমি হলে ক্ষতি কি!

এই ছাত্র আরো বলেন, আপনি যখন শিক্ষার্থী, তখন দেখবেন আপনার আশেপাশে কেউ না কেউ মাদক গ্রহণ করছে। তাই এই বাজারটা ধরতে পারা সহজ। তিনি এও জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যায় গড়ে ২০ জনের মত গ্রাহককে মাদকদ্রব্য সরবরাহ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ায় অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তার কাছ থেকে মাদক কিনতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।

এদিকে হ্যারির এই ব্যবসা সম্পূর্ণ অবৈধ। বেআইনিভাবে কোকেন, এমডিএমএ বা ম্যাজিক মাশরুমের মাদক সরবরাহ করার অপরাধে যুক্তরাজ্যে বিশাল অঙ্কের অর্থ জরিমানা বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি হতে পারে।

এই ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত হ্যারি। তাই তিনি চান বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকিয়ে ফেলার পাশাপাশি এই কাজও থামিয়ে দেবেন। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ বহন করার জন্যই এই পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।

হ্যারি মনে করেন মাদক ব্যবসা তাকে যতটা সাহায্য করছে, তার চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ফেলছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই পেশা ত্যাগ করতে চান তিনি।

হ্যারি বলেন, আমি অবশ্যই আমার বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রির ওপর ভিত্তি করে ক্যারিয়ার গঠন করতে চাই।

গতবছরের ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের অপরাধ গবেষণার তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী ১২ লাখ মানুষ বেআইনি মাদক গ্রহণ করেছে। খবর: বিবিসি বাংলা