০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সিপিএ’র রেজুলেশন নেওয়ার প্রস্তাব

সদস্যদেশগুলোর ব্যাপক আগ্রহের ফলে সিপিএর সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি রেজুলেশন গ্রহণ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিপিএর নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

নির্বাহী কমিটিতে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিপিএ চেয়ারপার্সন সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানান। এছাড়া ইংল্যান্ড ও মালয়শিয়া সিপিএ ডেলিগেটদের কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরির্দশনের উদ্যোগ নেওয়ারও প্রস্তাব করেছেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের তৃতীয় কমিটিতে এ বিষয়ে পেশ করা বাংলাদেশের প্রস্তাবের প্রতি সিপিএভুক্ত দেশগুলোর সরকারকে সমর্থন দেওয়ার জন্য আহবান জানানো হয়। প্রস্তাবটি চলতি মাসের শেষের দিকে ভোটাভুটিতে উঠবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহম্মুদ আলী।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া সেন্টারে রোববার (৫ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাংসদ কাজী নাবিল আহমেদ, সাবেক তথ্য মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেছা, পঙ্কজ দেবনাথ প্রমুখ।

উপস্থিত সদস্যগণকে রোহিঙ্গা ইস্যুটি নিয়ে নিজ দেশের সংসদে আলোচনা করে সমন্বিতভাবে মিয়ানমসারের উপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানানো হয়। তিনি বলেন, জাতিসংঘ, ইউএন এস ইআর, ইউনিসেভ, ওয়াল্ড ফুড প্রগ্রাম, রেডক্রমসহ সকলেই বিষয়টি সম্পর্বে অবগত, তারা কাজ কওে যাচ্ছেন। জাতিসংঘে এনিয়ে আমরা প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। যা ভোটাভুটি হবে। যেহেতু বিষয়টি মিয়ানমার সৃষ্ট তাই এর সমাধন তাদেরকে করতে হবেই। কথা বার্তা চলছে। কিছু অগ্রগতিও রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে নাবিল আহমেদ বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে ইংল্যান্ড, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, পাকিস্তান, মালয়শিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ক্যামেরুন, উগান্ডা, মালেসহ ১৮টি দেশ এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। সবাই এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেনে এবং এ বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য সিপিএর জেনারেল এসেম্বলিতে রেজুলেশন গ্রহণের প্রস্তাব করেন। বিশেষ করে আলোচনার সময় অনেকেই বিষয়টি গণহত্যা, জেনোসাইড ও ইথনিক্যাল ক্লিনজিং হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সবাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক অবস্থান ও দেশবাসীর উদারতার প্রতি সমর্থন করে বক্তব্য রেখেছেন।

তিনি জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুটি জানার বিষয়ে সিপিএ ডেলিগেটদের আগ্রহ ছিল প্রবল।

ট্যাগ :

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সিপিএ’র রেজুলেশন নেওয়ার প্রস্তাব

প্রকাশিত : ০৮:২৩:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৭

সদস্যদেশগুলোর ব্যাপক আগ্রহের ফলে সিপিএর সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি রেজুলেশন গ্রহণ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিপিএর নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

নির্বাহী কমিটিতে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিপিএ চেয়ারপার্সন সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানান। এছাড়া ইংল্যান্ড ও মালয়শিয়া সিপিএ ডেলিগেটদের কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরির্দশনের উদ্যোগ নেওয়ারও প্রস্তাব করেছেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের তৃতীয় কমিটিতে এ বিষয়ে পেশ করা বাংলাদেশের প্রস্তাবের প্রতি সিপিএভুক্ত দেশগুলোর সরকারকে সমর্থন দেওয়ার জন্য আহবান জানানো হয়। প্রস্তাবটি চলতি মাসের শেষের দিকে ভোটাভুটিতে উঠবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহম্মুদ আলী।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া সেন্টারে রোববার (৫ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাংসদ কাজী নাবিল আহমেদ, সাবেক তথ্য মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেছা, পঙ্কজ দেবনাথ প্রমুখ।

উপস্থিত সদস্যগণকে রোহিঙ্গা ইস্যুটি নিয়ে নিজ দেশের সংসদে আলোচনা করে সমন্বিতভাবে মিয়ানমসারের উপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানানো হয়। তিনি বলেন, জাতিসংঘ, ইউএন এস ইআর, ইউনিসেভ, ওয়াল্ড ফুড প্রগ্রাম, রেডক্রমসহ সকলেই বিষয়টি সম্পর্বে অবগত, তারা কাজ কওে যাচ্ছেন। জাতিসংঘে এনিয়ে আমরা প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। যা ভোটাভুটি হবে। যেহেতু বিষয়টি মিয়ানমার সৃষ্ট তাই এর সমাধন তাদেরকে করতে হবেই। কথা বার্তা চলছে। কিছু অগ্রগতিও রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে নাবিল আহমেদ বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে ইংল্যান্ড, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, পাকিস্তান, মালয়শিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ক্যামেরুন, উগান্ডা, মালেসহ ১৮টি দেশ এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। সবাই এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেনে এবং এ বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য সিপিএর জেনারেল এসেম্বলিতে রেজুলেশন গ্রহণের প্রস্তাব করেন। বিশেষ করে আলোচনার সময় অনেকেই বিষয়টি গণহত্যা, জেনোসাইড ও ইথনিক্যাল ক্লিনজিং হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সবাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক অবস্থান ও দেশবাসীর উদারতার প্রতি সমর্থন করে বক্তব্য রেখেছেন।

তিনি জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুটি জানার বিষয়ে সিপিএ ডেলিগেটদের আগ্রহ ছিল প্রবল।